পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনি প্রজাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কোন কোন কাজ করিবেন বলিয়া কথা দিয়াছিলেন। কিন্তু র্তাহার মন্ত্রিসভার দ্বারা প্রজাদের স্বার্থরক্ষা তিনি কি প্রকারে করিবেন বুঝা স্বায় না। এই মন্ত্রিসভায় কেহ বলেন দেড় গণ্ডা কেহ বলেন দুই গণ্ডা জমীদার আছেন। প্রজাপাটীর প্রতিনিধি কেহ বলেন এক জন কেহ বলেন দুই জন আছেন । আমরা এরূপ মনে করি না, যে, জমাদার ও প্রজার স্বার্থ নিশ্চয়ই পরস্পরবিরোধী। উভয়ের স্বার্থের সামঞ্জস্য হইতে পারে মনে করি। কিন্তু যে কারণেই হউক, উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধিতা জন্মিয়াছে। বিরোধের ক্ষেত্রে যে-কেহ প্রজার স্বার্থরক্ষা করিবেন বলিয়াছেন, তাহারই দেখা উচিত প্রজার দল পুরু কিনা। কিন্তু বঙ্গের মন্ত্রিসভায় জমাদারের দলই পুরু। মৌলবী ফজলল হক প্রজাপাটীর প্রতিনিধিরূপে প্রজাদের স্বfর্থরক্ষীয় মনোযোগী হইতে পারিবেন না বলিয়া ঐ দ। ৮ জন সদস্য র্তাহাকে একটি খোল চিঠিতে কিঞ্চিৎ o কথা শুনাইয়াছেন । শিক্ষা-বিভাগ সৰ্ব্বত্রই একটি অত্যাবগুক বিভাগ । বঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার উপদ্রবে উহার দ্বারা মুসলমানদের প্রকৃত কল্যাণ হইতেছে না, অথচ হিন্দুদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ন্তাধ্য আর্থিক সাহায্য ও উৎসাহ পাইতেছে না। শুনা গিয়াছিল, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভাইসচ্যান্সেলার খামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে শিক্ষামন্ত্রী করা হইবে । তাহ হইলে এক জন বাস্তবিক যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ হইত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটে ও ভূতপূৰ্ব্ব বঙ্গী ব্যবস্থাপক সভায় তিনি হিন্দুর উপর আক্রমণ নীরবে সহ করেন নাই—যদিও মুসলমানের কোন অনিষ্টও করেন নাই। সুতরাং সাম্প্রদায়িকতাগ্রস্ত মুসলমানের তাহাকে পছন্দ করে না । সম্ভবতঃ এই কারণে তাহাকে মন্ত্রী করা হয় নাই। হয়ত লাটসাহেবও তাহার উপর খুব সন্তুষ্ট মহেন। গত কনভোকেশ্বনে তিনি দেশকে অপপ্রেশ্বন (অত্যাচার) এবং সাভিলিটি (দাসত্ব ) হইতে মুক্ত করা শিক্ষিত যুবকদের কাজ বলিয়াছিলেন। অবশু, এইরূপ কথার রাজনৈতিক অর্থই একমাত্র অর্থ নহে-অন্য অর্থ৪ হইতে পারে ; কিন্তু রাজনৈতিক অর্থণ্ড হইতে পারে। এবং t=മ്മബ সেরূপ অর্থ করিলে এরূপ কথাখিনি বলেন তাহার:জী তন্ত্রের প্রিয় না হইবার কথা। - নিৰ্ব্বাচন যখন চলিতেছিল তখন প্রজাপাটীর পক্ষ হইতে এইরূপ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছিল, ধে, বিনা বিচারে বন্দীদিগকে মুক্তি দেওয়া হইবে। কিন্তু এই অঙ্গীকার পালন করা যে কৰ্ত্তব্য, তাহা বর্তমান মন্ত্রিসভা মনে করিবেন বলিয়| মনে হয় না । বিনাবিচারে বন্দী হওয়াটা আমলাতন্ত্রের মত মুসলমানেরাও সাধারণতঃ একটা হিন্দু সমাজের সংক্রামক ব্যাধি মনে করেন। মন্ত্রিসভা প্রধানত মুসলমান। বিনাবিচারে বীদের মুক্তি বিশেষ করিয়া কংগ্রেস দলের একটি দাবী । কিন্তু বর্তমান মন্ত্রিসভায় কংগ্রেস দলের কেহ নাই। শ্রযুক্ত নলিনীরঞ্জন সরকার আগে কংগ্রেসওয়াল ছিলেন বটে এবং তাছার অর্থনৈতিক বিষয়ে যোগ্যতাও আছে ; কিন্তু তিনি কংগ্রেস দলের অন্যতম লোকরূপে নিৰ্ব্বাচিত হন নাই ও নির্বাচিত হইবার পরে কংগ্রেসের সভ্যত্ব ত্যাগ করিয়াছেন। তাহ হইলেও তিনি বিন-বিচারে বন্দীদের মুক্তিপ্রয়াসী হইতে পারেন । কিন্তু এক আধ জনের চেষ্টায় কি হইবে } বিশেষত যখন আমলাতন্ত্র বিরোধী এবং ভূতপূৰ্ব্ব গবন্মেন্টের সহিত একাত্মতাসম্পন্ন থোআজ নাজিমুদিন সাহেব আইন ও শৃঙ্খলা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী। বঙ্গের মন্ত্রিসভায় তফসিলভুক্ত জাতিদের প্রতিনিধি বঙ্গের মস্ত্রিসভায় তফসিলভুক্ত জাতিদের দুই জন প্রতিনিধি আছেন । র্তাহারা শিক্ষায় অনগ্রসর জাতিদের শিক্ষার জন্য সরকারী টাকা বেশী করিয়া দেওয়াইতে পারিলে তাহাদের মন্ত্রী হওয়া কতকটা সার্থক হইবে । পাটকল শ্রমিকদের ধৰ্ম্মঘট পাটকলগুলার আশী হাজার শ্রমিক ধৰ্ম্মঘট করিয়াছে। দরিদ্র শ্রমিকরা বিশেষ অস্ববিধ অনুভব না করিলে অৰ্দ্ধাশ । ও অনশনের সম্ভাবন সত্ত্বে৪ ধৰ্ম্মঘট করে না । স্বতরাং ব্যাপ , ধৰ্ম্মঘট হইলেই সাধারণতঃ বুঝা উচিত যে শ্রমিকদের সড়