পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিক্রমপুরের শিপসম্পদ ঐযোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত 蠟 বিক্রমপুর অতি প্রাচীন কাল হইতেই শিল্পসম্পদে শ্রেষ্ঠ ছিল । বিক্রমপুরের শিল্পবিজ্ঞান নানা দিক্ দিয়া নানা ভাবে দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠালাভ করিতে পারিয়াছিল। প্রাচীন বাংলার রাজধানী ( বর্তমান রামপাল নামে পরিচিত ) বিক্রমপুরের চারি দিকে শিল্পীদের বাসপল্লী বর্তমান ছিল, এখনও তার স্মৃতি সেই সকল পল্লীর নামের সহিত সংশ্লিষ্ট বহিয়াছে । ঢাকার প্রসিদ্ধ শঙ্খ বণিকেরা এক সময়ে বিক্রমপুরে বাস করিতেন। ঢাকার বিখ্যাত মসলিন নিৰ্মাণ করিবার কার্পাস বিক্রমপুরের অন্তর্গত পাচগাও গ্রামের নিকটবৰ্ত্তী মাঠে উৎপন্ন হইত। সে বেশী দিনের কথা নয়, সত্তর-পচাত্তর বৎসর পূৰ্ব্বেও শিক্ষিত-অশিক্ষিত ভদ্র-অভদ্র বিক্রমপুরের প্রায় সকলের ঘরেই চরকা ঘুরিত। মহারাজ রাজবল্লভের রাজনগরের পিত্তলের বাসনের প্রকাণ্ড কারখানা ছিল । সেখানে নানা প্রকারের পিত্তলের বাসন প্রস্বত হইত। রাজনগরের ঘটি প্রভৃতির বড় সমাদর ও স্বনাম ছিল। এই বাসনের কাবধান যেখানে ছিল সেখানকার নিকটবৰ্ত্তী লোকের দিবারাত্রি শত শত হাতুড়ির ঠক্ ঠক্‌ ও ধাতু-প্রব্যের ঝন ঝন শব্দে অস্থির হঠয়া পড়িত। কীৰ্ত্তিনাশা রাজনগর গ্রাস করিবার পর সেই শিল্পসমূদ্ধি হ্রাস পাইলেও বিলুপ্ত হয় নাই। দক্ষিণবিক্রমপুরে এই শিল্পটি শহীন হইয়া পড়িলেও বর্তমান সময়ে বাইঘ, ইসের কান্দী, পালং প্রভৃতি স্থানে এই কারবার চলিতেছে। উত্তর-বিক্রমপুরে এই শিল্পটির অবস্থা এখনও সন্তোষজনক। পূৰ্ব্বে ঢাল পিত্তল ও তাম পিটিয়া দেশীয় তৈজসাদি প্রস্তুত করা হইত ; ইহাতে জিনিষগুলিও যেমন দীর্ঘকাল স্থায়ী হইত, দেশের অনেক অর্থও দেশেই থাকিয়া যাইত। যেমন বিদেশ হইতে পিত্তল ও তামার চাদরের ( পাত) আমদানী হইল, অমনি পুরাতন প্রণালী পরিত্যাগ করিয়া পরিশ্রম লাঘবের জন্য একটু স্থবিধার লোভে দেশীয় 8 * ---- و) কারিগরগণ ঐ চাদর দ্বারা সমুদয় জিনিষ প্রস্তুত করিতে আরম্ভ করিল। এই ভাবে ধীরে ধীরে শিল্পের অবনতি হইতে আরম্ভ করিল। কলম গ্রামের বুড়াকালী মন্দিরের কাঠের কপাট ঐবিনোদেশ্বর দাশগুপ্ত ও চিত্রশিল্পী ঐচিত্তরঞ্জন দাশের সৌজন্ধে