পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫ్చిన్స్డ সৰ্ব্বপ্রকার পদার্থকে আত্মসাৎ করে উর্বর হবার ক্ষমতা যেমন মাটির মধ্যে আছে, জীবনের ভাল-মন্দ সমস্ত অভিজ্ঞতা থেকে শক্তি সঞ্চয় ক’রে আপনাকে ঐশ্বৰ্য্যশালী করবার একটি অদ্ভূত ক্ষমতা তেমনি আমাদের আত্মার মধ্যেও আছে । ভুলভ্রাস্তি যতই গুরুতর হোক না কেন, আমাদের আত্মাকে তারা দান করে বহুমূল্য সম্পদ, আমাদের সাধুত্বের অভিমানে করে তারা কুঠারাঘাত, আমাদের শেখায় তারা নত হ’তে, আমাদের মিলিয়ে দেয় তারা সকলের সঙ্গে। এই বিপুল সত্যকে উপলব্ধি করেই দুৰ্দ্দিনের অন্ধকারের মধ্যে অস্কার ওয়াইল্ড একদিন লিখেছিলেন, To regret one's own experiences is to arrest one's own development. জীবনে যা ঘটেছে তা নিয়ে অনুতাপ করার মানে হচ্ছে আত্মবিকাশের পখকে ক্লাজ করা । হুইটম্যানের কথাও এই একই কথা । What blurt is this about virtue and about vice & Evil propels me and reform of evil propels me, - I stand indifferent, My gait is no fault-finder's or rejector's gait, I noisten the roots of all that has grown. পাপ আর পুণ্য নিয়ে এই যে বাদানুবাদ এর কি কোন অর্থ আছে ? ধৰ্ম্ম আর অধৰ্ম্ম আমার কাছে উভয়ই সমান, পাপে যেমন আমার প্রবৃত্তি, পুণ্যেও তেমনি আমার অমুরগি, ছিদ্র অন্বেষণের প্রবৃত্তি অথবা বর্জন করবার প্রকৃতি আমার নয়, য কিছু এসেছে—সকলের মুলে সলিল সিঞ্চন করি আমি। সব কিছুকে স্বীকার করবার মত এই যে উদার দৃষ্টি, এই দৃষ্টিই হ'ল ওয়ান্ট হুইটম্যানের প্রতিভার একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য । Facts religions, improvements, politics, trades, are as real as before, But the soul is also real, it too is positive and direct... বাণিজ্য, রাজনীতি, ধৰ্ম্ম, প্রগতি আগেও ছিল যেমন সত্য, এখনও আছে তেমনি সত্য, কিন্তু আত্মাও সত্য, তারও অস্তিত্ব আছে এবং সে স্বয়ংসিদ্ধ । I believe materialism is true, I reject no part. নে জ্যোতিৰ্ম্ময় ভবিষ্যতের পানে আমরা অতি দ্রুত এগিয়ে চলেছি সেখানে বিরোধের সমস্ত কোলাহলের মধ্যে মাকুব গুনতে পাবে মিলনের গভীর বাণী । true and spiritualism is প্রবাসী

  • No.3

সেখানে দেহকে আমরা অস্বীকার করব না, আত্মাকেও নয়। নরের সেখানে যতখানি মূল্য, নারীরও মূল্য ঠিক ততখানি। বিজ্ঞান আর ধৰ্ম্ম হাত-ধরাধরি করে সেখানে দাড়িয়ে আছে সহোদর দুটি ভাইভীর মত । মগজের জ্ঞান জার মৰ্ম্মের অন্তভূতি—কারও মূল্য সেখানে কম নয়। সে হ’ল এমন একটা জগৎ যেখানে সব কিছুরই মূল্য আছে—কোন কিছুই যেখানে উপেক্ষার বন্ধ নয়। মৃত্যু মানে সেখানে শূন্ততার মাঝে নিঃশেষে বিলীন হয়ে যাওয়া নয়—Al goes onward and outward, nothing collapses— জীবন মানে সেখানে অফুরন্তু আনন্দের মধ্যে প্রাণের নিত্য বসন্তোৎসব। স্বথ আর দুঃখ, জয় আর পরাজয়, যৌবন আর বাৰ্দ্ধক্য, ঘর আর পথ, যুদ্ধ আর শাস্তি, যুক্তি আর বিশ্বাস, রূপ এবং অরূপ—সব কিছুরই মূল্য আছে সেখানে। সে হ’ল সাম্যের জগৎ যেখানে কারও ললাটে নেই অস্পৃষ্ঠতার ছাপ। কারণ স্পৃশ্বত আর অস্পৃপ্ততার প্রশ্ন ত সেইখানে—যেখানে নেই দৃষ্টি—সেই দৃষ্টি যা গভীর থেকেও গভীরে গিয়ে পৌছয় এবং দূর থেকে সদরকেও অনায়াসে দেখতে পারে । এই যে অনাগত সাম্যের জগৎ-এঠ জগতের পরিচয় পাই হুইটম্যানের কবিতায় । তার কবিতায় কেবলই জয়ধ্বনি-স্বাধীনতার জয়ধ্বনি, সাম্যের জয়ধ্বনি, অতীতের জয়ধ্বনি, ভবিষ্যতের জয়ধ্বনি, মানুষের জয়ধ্বনি । যাকে বলছি মূল্যহীন-সে ত বাস্তবিক মূলাঙ্গন নয়। আমার দৃষ্টি ঝাপস হয়ে আছে বলেই যাকে যা মূল্য দেওয়া উচিত ছিল, সে মূল্য তাকে দান করতে এত আমার কুণ্ঠ ! জগতকে এবং জীবনকে দেখছি পুথির সঙ্গে মিলিয়ে ; সমাজের দশ জনের কাছ থেকে ছেলেবেলা থেকে স্ব শিখে এসেছি তারই কষ্টিপাথরে যাচাই করে সব কিছুর মূল্য বিচার করছি। সেই জন্যই ত এত সঙ্কীণত, এত সন্দেহ, এত গোড়াfমর প্রাদুর্ভাব ; সেই জন্যই ত যাকে স্বল্প মধ্যাদা দান করা উচিত তাকে দান করি প্রচুর সম্মান এবং যাকে প্রচুর মধ্যাদা দান করা উচিত তাকে দেখি অশ্রদ্ধার চোখে । সেই জঙ্কই ত4প্রাচীনকে সম্মান করতে গিয়ে হই জীর্ণ আচারের কঙ্কালের পূজার এবং নবীনকে গ্রহণ করতে গিয়ে হই হিতাহিতজ্ঞানশূন্ত কালাপাহাড়, দেহকে স্বীকার করতে গিয়ে ক ক্রিয়াসক্ত ভোগপৰ্ব্বস্ব জীব এবং দেহকে জাকার করতে