পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

लक्लौ শ্রীনরেন্দ্রনাথ মিত্র লক্ষ্মীকে নিয়ে কিছুতেই আর পারা গেল না, ওকে এত ক'রে বলি, তুষ্ট আমাকে ‘কাকা’ বলে ডাক্‌বি, তা ও কিছুতেই শুনবে না। ও আমার ছোট ভাই কান্তকে রাঙা কাকা’ বলে, খুড়তুতে ভাই বাঞ্ছাকে বলে ছোট কাক' কিন্তু আমাকে ডকুবে 'ছেলে", । হয়ত বন্ধুদের সঙ্গে বসে গল্প করছি, ও ডাকৃতে ডাকতে এল. "ছেলে, ছেলে, ও ছেলে ।” চটে গিয়ে ধমক দিয়ে বলি, “কি বাপু, ছেলে, ছেলে ক'রে ত মাথাটি খেলে, কি ?” বন্ধুর হেসে বলে, “ছেলে বললে তোমারই যে মেয়েলী স্বভাব তোমার, তাতে মেয়ে বলে যে ডাকে না এই তোমার ভাগ্য।” বা এত আপত্তি কেন পণ্ট, ? মা ৪র সঙ্গে ঝগড়া করেন, “ঈস, ছেলে বললেই হ’ল, ছেলে কার, তোর না আমার !" লক্ষ্মীর এ সম্বন্ধে কোনঠ সংশয় নেই, অম্লান বদনে বলে, 'আমার ” “তোর ? তুষ্ট পেটে ধরেছিস না কি ? ছেলে যদি তোর হবে, কই ভোকে ত মা বলে ডাকে না । ম! ত আমাকেই বলে ।” ভাবি, লক্ষ্মী এইবার পরাজিত হ’ল, কিন্তু না, ও তৎক্ষণাৎ উত্তর দেয়, “আজ থেকে ছেলে তোমাকে আর মা বলবে না, আমাকে বলবে", পরে আমার হাত ধ’রে টেনে বলে, “ওকে মা বলেন, বিছছিরি, জুজু, ভয় । আমাকে মা বলে, আমি কত ছোমার ।" একে তো ছেলে বে-হাত হয়ে গেল, তার পরে আবার সৌন্দর্ঘ্যের উপর কটাক্ষ ! মা বলেন, “তুই আমার আরজন্মর সতীন ছিলি, ছেলেও নিয়ে গেলি, আবার আমাকেও কুংসিত বলিস্!” বৌদি এদের ঝগড়া শুনে হেসে বলেন, “শুধু আর বন্ধুরা মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা করেন । ‘মাতৃত্ব মেয়েদের সহজাত প্রিয়া হয় তারা মা হবার জন্যই। কিন্তু বিপদ আমার। এর সামনে মাকে আমি ম বলে ডাক্তে পারব না। কি বলে ডাকব তাও লক্ষ্মী নিজে ঠিক ক’রে দিয়েছে। ডকৃতে হবে “জজু বুড়ী" বলে, আর সব সময়ই লক্ষ্মীকে মা বলে ডাকতে হবে। কোন সময় লক্ষ্মী বলে আর রক্ষ নেই। শুধু কি এই ! ও যতক্ষণ জেগে থাকবে আমাকে ওর কাছে কাছে থাকতে হবে । ও আমাকে চান করাবে তবে আমি চান করব। দুপুরে বৌদি ওকে ঘুম পাড়িয়ে না রাখলে আমি নদীতে গিয়ে চান করে আসতে পারি নে, ভাতও পেতে পারি নে। ও আমাকে ওর খেলাঘরে ব’লে রান্না করে দেয় ইদুরের মাটির ভাত, আমের পাতার মাছ, জলের সঙ্গে মাটি মিশিষে হয় ডাল, এই সব খেয়েই আমাকে ক্ষুন্নিবৃত্তি করতে হয় । ছেলের এক্ট যত্ন করা লক্ষ্মী মার কাছে শিখেছে একবার কি রকম ক’রে চোট লেগে আমার হাত দুটোতে ভয়ানক ব্যথা হ’ল। ঠাণ্ড লেগে একটু সজিরের মতও হ'ল । সবাই বিধান দিলেন, “ভাত বন্ধ।” আমি বিদ্রোহ করলাম । দয়া ক'রে চান না-হয় ন-ই করব কিন্তু ভাত না খেয়ে থাকতে পারব না । গোপনে মা’র সঙ্গে সন্ধি করলাম অনেক বুঝিয়ে মুঝিয়ে, ‘সন্ধিজরে ভাত খেলে কিছু হয় নাম, আর ভাত যদি না দাও আমি তোমাদের সাঞ্জ বালি কিছু খাব না। একেবারে নিজলা উপবাস করব । মা চান করতে দিলেন না। খাট ভরে ভরে জল নিয়ে মাথা ধুইয়ে দিলেন। খেতে বসে দেখি হাত দিয়ে ভাত খেতে পারি নে । মা বললেন, - Yy - জন্মের কেন মেজ খুড়ীমা, লক্ষ্মী আপনার এ ఇy আর করবি, আয় ছেলেবেলার মত আমিই না হয় সতীন।" \ట్రీ や

  • く""。

' क्षश्रिङ्ग क्रि ।”