পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टेज7र्छ সে চলিয়া যাইতেই হৈমবতী উঠিয়া পড়িলেন। এক জন চাকরকে ডাকিয়া বলিলেন, “য ত নারান আচাষিা মশায়ের বাড়ী ; আমার নাম ক'রে বলবি যে সন্ধ্যে নাগাদ একবার নিশ্চয় ষেন আসেন। বিশেষ দরকার ।" কামিনী বলিলেন, “এক গেলাস সরবৎ ক’রে আনি দিদি ? সকাল থেকে ও দু-গ্ৰাস ভাতে-ভাত ছাড়া মূপেও কিছু দিলে না !” গুহিণী বলিলেন, “ভ দাও । মনটা বড় উতল হয়ে রয়েছে বোন । ঐ একটির মুখ চেয়ে বেঁচে আছি এ সংসারে ।” কামিনী সরলং আগেই, ভিক্সাইধু রাখিয়াছিলেন । এখন দুইটি পাথরের গেলাস আনিম্ন ঢালিয়া ঢালিয় তাহ। মিশাইতে লাগিলেন । “বিয়ের যুগিা ছেলে হ’ল, fবয়ে দাও না কেন ? ঘরে মন বসবে কেন ? যখনকার যা তা ত চাই ?” হৈমবতী বলিলেন, “আমি ত দিতেই চাই, ওর বাপষ্ট মত কবে না। বলে এখনও কাজকৰ্ম্ম কিছুর ঠিক নেই, সাত-তাড়াতাড়ি বিয়ে কেন ?” কামিনী বলিলেন, “তাতে কি ? তোমার ছেলে-বোঁধের কি ভাত জুটবে না ? এত সব কার জন্মে ? পুরুষমামুষদের স্বভাবই ঐ, কোনো জিনিষ তারা সোজা চোখে দেখবে না। আমার শ্বশুর ছিলেন ঠিক ঐ ধাতের । দেওর ছোড়াট বি-এ পাস করতে পারলে না, তা আর কিছুতেই তার বিয়ে দিলেন না। অথচ ঘরে ধান-চাল ত ছিল, দু-মুঠো খেতে নিশ্চয়ই পেত। তাতে লাভটা কি হ’ল শুনি, ছেলেট একেবারে বয়ে গেল না ?” হৈমবতী সরবৎ থাইয়া মেঝেতে গেলাসট নামাইয়। দিয়া বলিলেন, “দেখি জাবার বুঝিয়ে মুজিয়ে । মেঘে ড আমি এক রকম পছন্দ করেই রেখেছিলাম, নেহাৎ ওর অমতে এগোতে সাহস পাই নি ।” কামিনী বলিলেন, “ঐ পলাশপুরের মেয়ে ভ ? রং কিন্তু তার ফরসা মা দিদি, এদের পছন্দ হ’লে হয়। তোমাদের বড় বৌয়ের পাশে দাড়াতে পারবে না। আমি অবিশুি সে মেয়েকে ছোট দেখেছি, বয়সকালে আর একটু রঙের জলুশ হবে, তা হ’লেও ৰুতই ব৷ ” বলিলেন, রক্ষাকবচ 受8* গৃহিণী বলিলেন, “রাথ তোমার রং বাপু । রং নিয়ে ত বড়বোঁ কতই করলেন, বছর না যেতে হাতের নোয়া ঘুচে গেল। পলাশপুরের ওদের বংশে পাচ পুরুষে কেউ বিধবা হয় নি জান ? সব কট বেী মাথায় সিঁদুর নিয়ে চিতায় উঠেছে । ওর ঠাকুরমা সহমরণে গেছে, ঠাকুরদাদার দুই কাকী সহমরণে গেছে । ৪-ঘরের মেয়ে পত্নমস্ত হবে তোমায় ব'লে দিলুম। আমি রূপণ্ড চাই না, টাকাও চাই না। আমার যা আছে তাই কে থায় তার ঠিকানা নেই।” কামিনীর গায়ের রংটা ফরসা বটে ; এজন্ত তাহার মনে প্রচ্ছন্ন অহঙ্কার অনেকটাই ছিল, যাহাদের রং কালে তাহাজের তিনি রীতিমত কপার চক্ষে দেখিতেন । বেী, কি, নিজেদের বাড়ীরই হোক বা পাড়াপড়শীর ঘরেরই হোক, তাহার সমালোচনার হাত হইতে কখনও নিষ্কৃতি পাঠত না। খুটিয়া খুটিয়া প্রত্যেকের রূপের বিচার করিতে কামিনীর জুড়ি ছিল না। তবে বিধবা ও পরের আশ্রিত বলিয়া মাঝে মাঝে তাহাকে মাঝপথে রাশ টানিতে হইত। হৈমবতীর নিজের রং ফরসা নয়, উজ্জল তামবৰ্ণ বড়জোর বলা চলে । তাহ ধখনই কামিনী ফরসা রঙের ওকালত করিতে মাতিয় উঠিতেন, হৈমবতী প্রায়ই মাঝপথে তাহাকে দমাইস্ক দিতেন । এবাবেও কামিনীকে থামিয়া যাহতে হইল । দুইটা উঠাইয়া লইয়। তিনি ঘর হইতে চলিয়া গেলেন। মনে মনে বলিলেন, “দিদিং এক কথা, কালে রং হ’লেই পয়মম্ভ হয় আর কি ?” বেলা গড়াহয়। আসিতেছিল, বিকাল বেলার কাজ আবার ধীরেহস্থে আরম্ভ হইতেছে । অবশু, এই সব দুর্ঘটনার জন্ম সকলেই যেন একটু মুষড়াইয়া পড়িয়াছে, ঝিচাকরস্বদ্ধ একটু মনমরা । বাহিরের দালানটায় বালতি বালতি জল চালিয়া ক্ষেমাঝি ঝণটা চালাইতেছিল । এইখানে বসিয়া সারাট সন্ধ্য: হৈমবতী কাটান, ঘরের ভিতরের পাখার হাওয়া তাহার ভাল লাগে না । বহুকাল যে শুামল পল্পীভবন তিনি ছাড়িয়া আসিয়াছেন, সেই বালিকা বয়সের স্মৃতি আবার তাহার জাগিয় উঠে । সেখানে এমনি দাওয়ায় বসিয়া ঝিরঝিরে হাওয়ায় দেহ-মন কেমন জুড়াইয়া ধাইত । গেলাস