পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਟੋਢੋਲੇ অলখ-ঝেণরণ ২৬৭ বুঝিতে পারে নাই, কিন্তু আজ তাহার মন যেন স্নেহলতার fদকেই ঝুঁকিতেছে । বিবাহের আদর্শে প্রেম আগে কি বিবাহ আগে এ সব বড় কথা লইয়া তর্ক করিতে সে পরিবে না । কিন্তু বিবাহের আগে হউক আর পরেই হউক, ওই একনিষ্ঠ প্রেমের অঞ্জলি পাইবার অধিকার যে প্রত্যেক নারীর জন্মস্বত্ব সে বিষয়ে তাহার সন্দেহ নাই। প্রত্যেক শিশু যেমন শিশুরূপে মাৱ মনের নি:স্বাৰ্থ অনাবিল স্নেহধারায় অভিসিঞ্চিত ততবার অধিকার লইয়াত জন্মায়, তেমনই তরুণ জীবনের প্রথম প্রভাতে কোন একজন পুরুষের নবজাগ্ৰত পৃত প্রথম প্রেমের অর্গা পাইবার অধিকার লইয়াই প্রত্যেক্ষ নারী জন্মায় । বিধাত কি সুধাকে সে অধিকার ইষ্টতে বঞ্চিত করিবেন ? মধ নারী-মাধুয্যের প্রতিরূপ নয় সত্য ; কিন্তু তবু তাহার ইচ্ছা করে তাহাকে দেখিয়া নাৰী-মাধুৰ্য্যের ও নারীমহিমার প্রথম পরিচয়ে বিশেষ একজনের উন্মেষিত নবীন ীেবন বিস্ময়ে ও পুলক-হিল্লোলে চঞ্চল ইয়া উঠক ; সেই একজন নারীহদয়ের অক্ষয় সৌন্দর্য্য নিঝরের উংস খুঞ্জিতে ৭ সেই সৌন্দৰ্য্যধারায় আপন অনস্থ তৃষা মিটাইতে বিশ্বসংসার ভুলিয় অন্ধ আবেগে তাহারঙ্গ দিকে ছুটিয় আসুক । জীবনে একবার অন্তত এই আনন্দবসট্রকু আস্বাদ করিবার অধিকার তাহার আছে ; fববাহের কথা, প্রেমের কথা কোন দিম সে ভাবে নািহ । কিন্তু ভাবিবার আগেই আপনার অজ্ঞাতে তাহার মন যে স্বৰ্য্যমুখী ফুলের মত বিশেষ একদিকে ঘুরিয়া দাড়াইয়াছে । জানি না জীবনে ইহা তাহাকে কোন সমস্তার সম্মুখে আনিয় ফেলিবে । জানি না আনন্দের অধিকার তাহার পূর্ণ হইবে কি সমস্তার ঘৃণিপাকে জীবনযাত্র সঙ্কটময় হইয়া উঠিবে । তপন সুন্দর, দেবমূর্টির মত অপূৰ্ব্ব মুন্দর । সুধা ত সুন্দর নয়, পৃথিবীর মাপকাঠিতে সে ঐ স্তরে পৌছি বাব অধিকার লইয়ু আসে নাই । কিন্তু মাযের সৌন্দধ্য কি শুধু তাহার দেহে থাকে, দ্রষ্টার চোপেই যে তাহার অর্ধেক অধিষ্ঠান ! নহিলে এই মৃধাকেই হৈমন্তী একদিন এত স্বন্দর কি করিয়া ভাবিয়ছিল । শিশুর অসহায় কচিমুখে জননী যেরূপ দেখিয়া আত্মহারা হইয়া যান, সে-রূপ কি শুধু শিশুর মুখের না সে জননীর স্নেহবিগলিত হৃদয়ের যৌগিক রসায়নে স্বঃ ? নারীর নিষ্কলঙ্ক প্রেমের যে অম্লান দীপি, মৃদ্ধ প্রেমিকের দৃষ্টির স্পর্শমণিতে তাহাই ত নিমেষে শুাম ধরণীর শ্বামাঙ্গিনী মেয়েটিকে উৰ্ব্বশী করিয়া তোলে। সে রূপ জগতের সকলের চক্ষে ধরা দিবার জন্য নয়। সে শুধু তাহারই হৃদয়দেবতার আরাধনার পুষ্পাঞ্জলি। কৃষ্ণচুড়ার রক্ত স্তবকের মত পথের ধারে গাছ আলো করিয়া ফুটে নাই বলিয়া কি ক্ষুদ্র যুথিকার রূপ নাই ? শুামপত্রের অস্তরালে মধু ও গদ্ধে বুক ভরিয়া অমল শোভাতে যে লুকাইয়া জলিতেছে, তাঙ্গর রূপের মূল্য বুঝিতে গুণীজনের প্রয়োজন আছে । সে যে নিজের মনের কাছে নিজের হইয়া ওকালতি করিতেছে, ইত মনে করিয়া সুধা লজ্জা পাচত, আপনাকে ধিক্কার দিত, আবার কাজের মাঝপানে গভীরভাবে ডুবিবার তাহার কলেজের পড়া, গৃহসংসারের সেবা, শিক্ষকতা-সবগুলিকে আবার দ্বিগুণ চেষ্ট। কথিত । চারতলার স্কুলের অা গ্রহে চাপিয় ধরিত । २२ যেদিন হৈমন্থী ও সুধ, তপনের ইস্কুল দেখিতে ষায়, সেই দিনই তাগৱঃ সুবেশের নিকট খবর পাইয়াছিল যে মিলি তাহার জীবনের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে পারিয়াছে। রেজুনে তাঙ্গর পিসিমা তাহাকে বছর তিনেক ধরিয়া জর্জেটের শাড়ী, হাতকাট জম্পার ও বুক পৰ্য্যন্ত লম্বা দুল পরাইয় গালে কুঞ্জ, ঠোঁটে লিপষ্টিক দিয়া দুই কানেৰ উপর দুষ্ট খোপা বাধিস্থ কথন বা জোড় বিহুনি জুলাইয় তাহার পূৰ্ব্বতন ফ্যাসান-fপ্রয়তাকে ফিরাইয়া আনিবার অনেক চেষ্ট৷ করিয়াছিলেন । তাঙ্গতে কিছুই যে তিনি সমর্থ হন নাই তাহ প্রথম প্রথম আপত্তির সহিত এই সমস্ত প্রসাধন সহ করিলেগু শেষে মিলি ইহাতে সানন্দেই মন দিছ । কিন্তু যেম. লোকসমক্ষে প্রসাধনেব ক্ষুদ্র আনন্দে গভীর দুঃথ ভুলিবার চেষ্টা করিত, সেই মনই লোকের চোখের আড়ালে আপনার অতীত আনন্দ ও বর্তমান দুখকে লইয়া ভবিষ্যতের স্বপুঞ্জাল বুনিত ও দিনের পর দিন শুনিয়। চলিত । পিসিম যখন সদ্য বিলাত-প্রত্যাগত কোন ব্যারিষ্টার কিম্বা বিলাতন-ধাওয়া কোন ধনকুবেরের সঙ্গে মিলির আলাপ করাষ্টয়া দিতেন তখনই মিলি কেমন শামুকের মত তাহার অস্বাভাবিক •o