পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टंङTछे আচল সিকি s“ е পুলকে আকুল হইয়া ঐপতিবাৰু কহিলেন, “আরে গজু যে ! বহুদিন বাদে দেখা হ’ল । কেমন আছ ভাই ? কি করছ এখন ?” “আছি কোন রকমে ভাই। দালালী করি।” “দালালী ! ওতে বেশ দু-পয়সা হচ্ছে ?” “দু-পয়সা কেন । তার বেশীই হচ্ছে। আজকাল চাকরির বাজার জান তো ? এ রকম ইনডিপেনডেন্ট ব্যবসায়ে না ঢুকতে পারলে আজকাল আর স্থবিধে নেই। এই তো ধর না, আমার বড় শালার ছোট ছেলে এম-এ পাস করে চাকরির জন্তে ফ্যাফ্যা করে ঘুরে বেড়াচ্ছে বছরখানেক হ’ল । কোথাও কিছু স্ববিধে ক’রে উঠতে পারলে না। শুনতো যদি আমার কথা তো হয়ে যেত একটা হিল্পে। ত, ভাল কথা তো শুনবে না ...তুমি এখন কি করছ ভাই ?” “চিকিচ্ছে করি, রোগ সারাই। চিকিৎসালয়ের নাম শোন নি ?" “কই না তো ! ই্য, মাঝে মাঝে বাংলা কাগজে বিজ্ঞাপন দেখি বটে। সেই যে গ্যারাটি দিয়া হতাশ রোগীদিগকে আরোগ্য করি । পত্রাদি গোপনে রাখা হয়।’ সেই তো ?” “হঁ্যা ভাই, ঠিক ধরেছ।” “এতে কেমন আয় হচ্ছে ?” "চলে তো যাচ্ছে দিব্বি ভগবানের কুপায় ।" বলিয়া শ্ৰীপতিবাবু পরম কৃপাময় ভগবানকে ভক্তিভরে প্রণাম করিলেন। “কিন্তু তুমি আবার ডাক্তারী পাস করলে কবে হে ?” অবাক হইয়া গজানন বাৰু জিজ্ঞাসা করিলেন, “ না কি কোনো কবরেজের য়্যাসিষ্ট্যাণ্ট থেকে—" “আরে ছো: !" শ্ৰীপতিবাবু বলিলেন, “ও সব কিছু না। আমার ওষুধগুলো কতক স্বপ্নাদ্য, কতক পেটেণ্ট, কতক মহাপুরুষ-প্রদত্ত। তা যাক গে—তোমার স্ত্রী কেমন আছেন ?” "থাকাথাকির বাইরে চলে গেছে।” গজাননবাবু বলিলেম । “কিন্তু কি দরকার তার কথা তুলে ?” ঐপতিবাবু গজাননবাবুর সহধৰ্ম্মিণীকে কোনদিন দেখেন নাই। তৰু গজাননবাবুকে খুশী করিবার জন্য র্তাহার আমার হতাশ স্ত্রীর মৃত্যুসংবাদ জানিয়া অত্যন্ত দুঃখিত হইয়া গেলেন। চোখে জল আনিবার বৃথা চেষ্টা করিয়া কহিলেন, “আহি হাঃ, বড় সতীলক্ষ্মী ছিলেন। অমন ভাল মানুষ আর হয় না। তোমার• • * চটিয়া গিয়া গজাননবাবু কহিলেন, “ভাল ? তুমি কি ক’রে জানলে ভাল ? দেখলে না শুনলে না কোন দিন।” - একটু থমকিয়া ঔপতিবাবু কহিলেন, “লোকের মুখে গুনে জানি আর কি। সবাই বলে ভাল, তাই—* “সবাই ? কারা বলেছে ভাল ব’ল তো?” এইবার গজাননবাবু ক্ষেপিয়ু উঠিলেন। “নাম কর তো তাদের। আর তাদের ঠিকানাগুলো দাও তো । সব শালাকে এই বকৃসিং-করা হাতের গট্রি কাকে বলে বুঝিয়ে দিয়ে জাসি ...ভাল ? ভাল না হাতী ! যদিন বেঁচে ছিল জালিয়ে মেরেছে। মরেছে, না আমার হাড়ে বাতাস লেগেছে ।” “আহা হা, অত গরম হও কেন ভাই ।” প্রপতিবাৰু বলিলেন। "যে মানুষ ম'রে গেছে তার নিন্দে করতে নেই। ঐ যে কথায় বলে, হোয়েন দি ম্যান ইজ ডেড•••• শ্রপতিবাবু ইংরেজী কথাটা অসমাপ্ত রাখিলেন, কেন-ন অসমাপ্ত কথার জোর বেশী হয় । মনে মনে তিনি অভ্যস্ত দুঃখিত হইলেন, তাহার প্রথম অস্ত্রটিতে কোন কাজ হইল না, বরং হিতে বিপরীত হইল। পরলোকগতা স্ত্রীকে প্রশংসা করিয়া গজাননবাবুকে অত্যন্ত খুশী করিয়া পরে আস্তে আস্তে তাহার মন নরম করিয়া আনিবেন এবং সময় বুঝিয়া কাৰ্য্যসিদ্ধি করিবেন, এই ছিল স্ট্রপতিবাবুর মতলব । কিন্তু--- “যাক, গতস্ত শোচনা নাস্তি’ ক্ৰপতিবাৰু ভাবিলেন, এবং বলিলেন, “যাক ভাই, অতীতের কথা তুলে আর লাভ নেই। কিন্তু...হ্যা, অ্যাদিন পরে তোমাকে দেখে কি আনন্দই যে লাভ করলুম ভাই সে আর বলবার কথা নয়। তোমায় দেখে মর্তীতের কত কান্না, কত হাসি—কত কি যে মনে পড়ে যাচ্ছে ..." বলিতে বলিতে, এবং তাহারই সঙ্গে চলিতে চলিতে, শ্ৰপতিবাবুর চোখে প্রায় জল আসিয়া পড়িল । তার পর—“সেই স্কুল পালানো, নৌকো বাইচ,