পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর রাহুল সাংকৃত্যায়ন আচাৰ্য্য দীপঙ্কর থোলিং বিহারে ময় মাস কাল অবস্থান করেন, সেই সময় তিনি “বোধিপথ বিহার” নামক গ্রন্থ রচনা করেন এবং কয়েকখানি প্ৰসিদ্ধ ধৰ্ম্মগ্রন্থের অনুবাদ করান । তৎকালে অন্য বন্ত গ্রন্থের রচনা ও অনুবাদ শেষ করিবার পর দ্রুম-পুরুষ-বানর বর্ষে ( হেমলম্ব, ১০৪৪ খ্ৰী: ) তিনি পুরুড়ে উপস্থিত হন । এই স্থানে অভিশার প্রিয় শিষ্য, গৃহস্থ ডোমতোন তাহার সহিত মিলিত হইলেন। সেই সময় হইতে অতিশার মৃত্যুকাল পৰ্য্যস্ত এই শিষ্য ছায়ার স্যায় গুরুর অন্তগামী ছিলেন এবং গুরুর দেহত্যাগের পর, “গুরুগুণ ধৰ্ম্মাকর” নামে প্রসিদ্ধ, তাহার জীবন-চরিত লিখেন । ভোটদেশের কোন কোন স্থানে কিছুকাল ধরিয়া অবস্থান করিলেও আচাৰ্য্য প্রায় অধিকাংশ সময় ঘুরিয়া বেড়াইতেন, কিন্তু ধৰ্ম্মগ্রন্থ-প্রণয়ন অথবা অনুবাদের কার্য্য কখনও ক্ষাস্ত থাকিত না । অগ্নি-পুরুষ-শূকর বর্ষে ( সৰ্ব্বজিত, ১৮৪৭ খ্ৰীঃ } সমৃ-য়ে বিহার এবং লোহ-পুরুষ-ব্যাঘ্র বর্ষে ( বিরুত, ১০৫০ খ্ৰী: ) তিনি য়েবৃ-বা গিয়াছিলেন ; এইরূপে চৌদ্ধ বৎসর ভোটদেশে অবস্থানকালে তিনি তিন বৎসর ডংরী প্রদেশে, চার বৎসর উই ও চাং প্রদেশে এবং ছয় বৎসর যে-থঙ প্রদেশে কাটাষ্টয়াছিলেন। ক্রমপুরুষ-অশ্ব বর্ষের ( জয়, ১০৫৪ খ্ৰী: ) ভোটীয় নবম মাসের . অষ্টাদশ তিথিতে (কাৰ্ত্তিক-অগ্রহায়ণের রুষ্ণ তৃতীয়া-চতুর্থ ) য়ে-থঙ বিহারের তারা মন্দিরে ৭৩ বৎসর বয়সে এই মহাপুরুষ নশ্বর দেহ ত্যাগ করেন। প্রিয় শিষ্য ডোম-তোন তখন তাহার পার্থেই ছিলেন। লাস হইতে প্রত্যাবর্তন-কালে ১৯৩০ সালের এপ্রিল মাসে আমি এই অতি পবিত্র স্থান দর্শন করি। অতিশার সময় হইতে আজ পৰ্যাণ্ড এই মন্দিরের পরিবর্তন অতি অল্পই হইয়াছে, তাহার সাক্ষ্য উহার বিশাল রক্ত-চন্দন স্তম্ভ। এখনও দীপঙ্করের ভিক্ষাপাত্র, ধর্শ্বকারক ( কমণ্ডলু) ও খদির কাঠ ডংরী প্রদেশে যে তিন বৎসর যাপন করেন নিৰ্ম্মিত যষ্টি—ঐ মন্দিরে একটি রাজমুদ্র-অঙ্কিত পিয়রে স্বরক্ষিত হইয়া জগৎকে জানাইতেছে যে সেদিন পর্যাস্ত ভারতের বুদ্ধ-অস্থিতে কি অদম্য সাহস ও কাৰ্য্যক্ষমতা ছিল । ভোটদেশের চারিটি ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়ই আচার্যা দীপঙ্করলে একভাবে পূজনীয় জ্ঞান করে । শিষ্য ডোম-তোন-পা প্রবর্তিত তান্ত্রিক ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের শিষ্যপরম্পরার মধ্যে চাণ্ড-থ-পা একজন শিষ্য হইয়াছিলেন, তদন্তবত্ৰী পীতটুপীধারী লামা-সম্প্রদায় ভোটদেশে ধৰ্ম্ম ও বাজুকার্যা দুষ্ট ব্যাপারেই প্রধান । ইহারা নিজেদের অভিশার অনুগামী বলেন এবং অতিশীব শিষ্যপরম্পর কী-দম-প-দিগের উত্তরাধিকারী নবীন কী-দম্ব-পা বলিয়া বর্ণনা করেন । আচার্য্য দীপঙ্কর কুত মূল সংস্কৃত ও মাতৃভাষায় রচিত গ্রন্থসকল লুপু শুষ্টয়া গেলেও তাতার অনুবাদ এখন “ তিব্বতী তত্ত্বারে সুরক্ষিত রহিয়াছে । ধৰ্ম্ম ও দর্শন সম্বন্ধে তিf. ৩৫ খানি বা ততোধিক গ্রন্থ প্রণয়ন করেন, তাহার তান্থির গ্রন্থের সংখ্যা ৭০এর অধিক, যদিও তাঙ্গর মধ্যে কয়েকটি ক্ষুদ্র নিবন্ধও আছে । তিব্বতী ভাষায় বস্থ গ্রন্থের অতুবাদণ্ড তিনি করিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে কঞ্জার-সংগ্রহে ভিন্ন ভিন্ন লোচবার (দ্বিভাষী) সহায়তায় অনূদিত নয়খানি গ্ৰন্থ আছে, তস্থারের স্বত্র-বিভাগে এইরূপ অনুবাদের সংখ্যা ২১টি ও ইহার রত্ন-বিভাগে ৩-এর উপর ভিন্ন ভিন্ন গ্রন্থের অতুবাদ আছে । 聯 鬱 鬱 তিব্বতে শিক্ষ-প্রকরণ গৃহস্থ ও ভিস্থ এই দুই শ্রেণীর জন্য বিভিন্নরূপে বিভক্ত আছে। ভিক্ষুদিগের শিক্ষার জন হাজার হাজার ছোট-বড় মঠ বা বিদ্যালয় আছে, তাহার কোন-কোনটিতে গৃহস্থ বিদ্যার্থী ব্যাকরণ, সাহিত্য বৈদ্য-শাস্ত্র বা জ্যোতিষে শিক্ষালাভ করিতে পারেএরূপ সৌভাগ্য ধনী বা অভিজাত বংশের ব্যক্তি ভিন্ন অস্ত কাহারও পক্ষে সম্ভব নহে। ইহা সত্য যে কখনও