পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষণঢ় জন্মদিন ^9R_N9 ও দেখেছে গ্রামের বাকী বাটে কাখে কলস মুখর মেয়ে চলে স্বানের ঘাটে ; সৰ্মে-তিসির ক্ষেতে দুই-রঙা সুর মিলেছিল অবাক তাকাশেতে ; তাই দেখেছে চেয়ে চেয়ে অস্তরবির রাগে বলেছিল, এই তো ভাল লাগে । সেই যে ভাল-লাগাটি তার যাক সে রেখে পিছে কীৰ্ত্তি যা সে গেঁথেছিল, হয় যদি তোক মিছে ; না যদি রয় নাই রহিল নাম, এই মাটিতে রইল তাহার বিস্মিত প্রণাম ॥ আলমোড় ২ বৈশাখ, ১ - ৪ বাকুড়ার দুটি স্মরণীয় ঘটন। শ্রীযোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি ( ১ ) অপর্যাপ্ত ধান্ত সন ১৩৪১ ও ১৩৪২ সালে বাকুড়ায় উপরি উপরি দু-বছর বুটি স্বল্প হয়েছিল। দুর্ভিক্ষও হয়েছিল । ১৩৪১ সালের দুর্ভিক্ষ, জেলার সর্বত্র হয় নাই, কিন্তু কোথাও স্বভিক্ষও ছিল না। এই কারণে ১৩৪২ সালের দুর্ভিক্ষে সৰ্ব্বত্র হাহাকার উঠেছিল। বাকুড়া জেলার দক্ষিণে আরামবাগ, পূর্বদিকে ও উত্তরে বদ্ধমান জেলার উত্তর ভাগ, তদুত্তরে বীরভূম জেলায় অনাবৃষ্টি ও আনুষঙ্গিক দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। সে বাতা সবাই জানেন । কিন্তু গত বৎসর, অর্থাৎ ১৩৪৩ সালে, যেমন হুচারু বৃষ্টি তেমন স্বচারু ধান্ত জন্মেছিল । যেমন বৃষ্টি, তেমন শস্য ; এতে আর আশ্চর্ষ কি ? কিন্তু আশ্চর্বের কথা আছে । টোংরা জমিতেও প্রচুর ধান হয়েছিল। আমি গত দশ বৎসর দেখে আসছি, একবারও এত ধান ফ’লতে দেখি নি । ধানের গাছও এত লম্বা ও ঝাড়াল দেখি নি। সেই জমি, সেই চাষ, সেই সার ; কিসের গুণে এত ধান হ’ল ? যথাকালের প্রচুর বৃষ্টি ভিন্ন অন্য কারণ পাই না। বাকুড়া নগরে গবমেন্ট রুষি-ক্ষেত্র আছে। সেখানে বৃষ্টিমান যন্ত্র আছে। ইং ১৯৩৪, ১৯৩৫ ও ১৯৩৬ সালের, গত তিন বছরের বৃষ্টিমান যথাক্রমে ৩৯-৪৪, ৩৫°০২, ৬৩"৪১ ইঞ্চি। বার্ষিক নিধারিত ৫৫ ইঞ্চি । কিন্তু বার্ষিক বৃষ্টিমান দ্বারা প্রকৃত তথ্য পাও যায় না। কোন মাসে কত, মাসের কখন কত, এই দুই জানা দরকার। প্রদর্শিত বৃষ্টিরেখ হতে জানতে পারা যাবে। কিন্তু কিসের গুণে ধান্য অপর্যাপ্ত হয়েছিল ? শুধু পরিমাণের গুণ গষ্ট বৃষ্টিধারার গুণ অবশু স্বীকার করতে হবে । কনক