পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

عسيbجلأتN কলোচ্ছ্বাস মুখর হইয়া উঠিবে ? বিবাহ!—চিস্তাতেও সমস্ত চিত্ত এক মুহূৰ্ত্তে ভরিয়া উঠে যেন। রূপকথার এমন প্রত্যক্ষ রূপ আর দেখা যায় না ; একটি রজনীর মোহন স্পর্শের মধ্য দিয়া তার সব নগণ্যত ঘুচিয়! যাইবে ; রাণুর মত সেও রাণী হইয়া জাগিয়া উঠিবে। সেদিন আসিবে নিশ্চয়, এই রকম একটি রজনীর সোনার মুকুট মাথায় পরিয়া। কিন্তু কবে?—বিলম্ব তো আর সহ করা भ्रiग्र नl - - কিন্তু কাহাকেই বা বলিবে, আর কেই বা বুঝিবে তার মৰ্ম্মের কথা ? সর্থীদের ?—তারা আজ নিজের লইয়াই উন্মত্ত, পরের কথা শুনিবার কি আর অবসর আছে ? আর তা ছাড়া তাদের শুনাইয় ফলই ব! কি ? তার তো কোন স্বরাহ করিতে পরিবে না। তবুও চেষ্টা করিয়াছিল –ওদের বাড়ীর রতি খুব সাজিয়াছে, মাথায় ঝকঝকে জরির ফিতা দিয় রচিত খোপা, তাহাতে টক্‌টকে একটা গোলাপ গোজা ; ঘাঘরকরিয়-পরা কাপড়ের আঁচল গতির চঞ্চলতায় পিছনে ফর্ফর করিয়া উড়িতেছে, প্রজাপতির পাখনার মত ; সিস্কের রুমাল,—কখন ব্লাউসে গোজ, কথন কোমরে, কখন হাতে । চুলের, রুমালের ও ফেস্ক্রিমের মিশ্র গন্ধ যেন ঢেউ তুলিয়া সঙ্গে সঙ্গে ঘুরিতেছে । ইহাকে বলিবার অনেক স্ববিধা, তার পর যদি কথাটা ঘুরিতে ফিরিতে বড়দের কানে পৌছায়—রতিকে উপলক্ষ্য করিয়া যাহা বলিল তাহা যদি নিজের অস্তরের দূতীর কাজ করে ••• “ইস,ভাবনে গেলি রতি!—কি ভেবেছিস্ বল দিfকন ?” “ওমা, ভাবব আবার কি ? বিয়েবাড়ী, সবাই তোর মতন গোমড়া মুখ ক’রে বেড়াবে নাকি ?” “না:, কিছু ভাবছ না ! আমি ঠিক জানি মশাই । বলব কি ভাবছিস ?~~রতি ভাবছে—যদি রাণুর মত আমারও শ্বশুর এসে ..” ভিতর হইতে কে হাকিল, “মেয়েদের পাত ক’রে ফেল---” রতি সেই দিকে ছুটিয়া গেল, তার নিজের মনের রহস্য আর তাকে শোনান হইল না। প্রশ্বাসী ১৩৪৪ ভাজ অনেক সময় ঠাট্টা করে ; এই সময় করিলে একট। উপকার হয়, লজ্জ-লজ্জা উত্তরের ছলে তবুও মনের ভাবটা কতকটা প্রকাশ করিয়া দেওয়া যায়। আজই কিছু বিবাহ হওয়া সম্ভব নয়, তবুও মনের অভিরুচিটা যদি জানা থাকে সবার তো •• তাকে পাওয়াই দুষ্কর । যদি পাওয়াই গেল তো এত ব্যস্ত যে ঠাট্টা করিবে কি ? মরিবার ফুরসৎ নাই। তবুও একবার মুখটা ঘুরাইয়া প্রশ্ন করিল, “হ্যা রে, ওরকম শুকনে মুখ ক’রে ঘুরে বেড়াচ্ছিল যে ? আজ রাণুর বিয়ে হচ্ছে তাইতেই এই রকম, দু-দিন পরে যখন নিজের.” “যাও, ঠাট্ট ভাল লাগে না বৌদি!” "ওমা, ঠাট্টা কি লা ? দু-দিন পরে রাণু নিজের ধর করতে যখন যাবে, মুখ শুকনে করা দূরে থাক, কেঁদেও কি রুখতে পারবি ?” আর তবে কাহার কাঢ়েষ্ট বা আশা ? বাপ, মা এদের কাছে তো আর বলা যায় না ? বাকী থাকে দাদু আর ঠাকুম, একটির বিদায়েই তাদের যা অবস্থা, ওখানে তো ঘেষাই যাইবে না। তাহ ভিন্ন ঠাট্টা-বিদ্রুপের মত মনে ফুৰ্বি ফিরিয়া আসিতে ওঁদের ঢের দেরি এখনও, রাণুর জোড়ে ফিরিবার পূর্বে তো নয়ই। তখন মনে পড়িল মেজকা'র কথা। ও-লোকটা হালকা প্রকৃতির, কাজের যেমন উপযুক্তও নয়, তেমনি কাজের ভিড়ে ডাকও পড়ে না ওর। প্রচুর অবসর লইয়া কোন নিরিবিলি জায়গায় গা ঢালিয়া পড়িয়া আছে নিশ্চয় । আর একটা মস্তবড় সুবিধা এই যে বিবাহ-সংক্রান্ত কোন কথা ভাল করিয়া বোঝে না বলিয়া ওর কাছে কথাটা পাড়ায় কোন সঙ্কোচের বালাই থাকিবে না । কেন যে মেজকা’র কথাটা আগে মনে পড়ে নাই –বোধ হয় অমন অ-দরকারী লোককে টপ করিয়া কারও মনে পড়ে না বলিয়াই। অবগু, অতটা বেকার নই আমি ; তবুও, লজ্জার কথা হইলেও বলিতে হইতেছে অত কাজের ভিড়েও একটু নিলিপ্ততা স্বজন করিয়া সেটুকু উপভোগ করিতেছিলাম। নিজের ঘরের বিছানায় গুইয়া, একটু চক্ষু মুদিয়াও।