পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nరిv9g অবগুই স্বীকার করিতে হইবে। কিন্তু কোন কোন বিষয়ে বাঙ্গলা যেমন অঙ্গহীন, হিনীও তেমনই অঙ্গহীন ভাষা। বাজলার সর্বনামেও যেমন লিঙ্গের পার্থক্য নাই, হিনীরও তেমনই। ইংরেজীতে He ও She এবং সংস্কৃত সঃ এবং সা একটা পুংলিঙ্গ আর একট। স্ত্রীলিঙ্গ। কিন্তু বাঙ্গলায় এবং হিন্দীতে কেবলমাত্র একটি শবেই পুংলিঙ্গ এবং স্ত্রীলিঙ্গ বুঝায় । হিন্দী ভাষার আরও একটা গুরুতর অস্থবিধ শব্দের লিঙ্গভেদ। সংস্কৃত আত্মা, জয় প্রভৃতি শব্দ পুংলিঙ্গ, কিন্তু হিন্দীতে এগুলি স্ত্রীলিঙ্গ। এই জন্যই আমরা ‘গঙ্গামায়ীকী জয়’ শুনিতে পাই —অর্থাৎ জয় শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ বলিয়া তাহার বিশেষণও গীলিঙ্গ । হিন্দীতে পুস্তক বহি প্রভৃতি অগণিত শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ। স্ত্রীবোধক শব স্ত্রীলিঙ্গ এবং পুংবোধক শব্দ পুলিঙ্গ হওয়া উচিত। কিন্তু অকারণে শব্দের লিঙ্গভেদ বড়ই যুক্তিহীন । সংস্কৃতে ‘কলয়’ শব্দের অর্থ স্ত্রী, কিন্তু কলাত্র শব্দটা ক্লীবলিঙ্গ ৷ ‘দার’ শবের অর্থও স্ত্রী, কিন্তু দ্বার শকট পুংলিঙ্গ । এইরুপ যুক্তিহীন লিঙ্গ-সংবলিত হিনীভাষ আমাদের নিজেদের ভাষা ত্যাগ করিয়া কেন অবলম্বন করিব ? হিনীর আর একটা অস্থবিধাজনক বিশেষত্ব এই যে উহার ক্রিয়াপদেও কৰ্ত্তার --- --- প্রবাসী SN938 লিঙ্গ দিতে হয়। নদীর্ঘ। বহতী হৈ অর্থাৎ নদী সকল বাহিতেছে । এক জন শিক্ষিত হিন্দুস্থানীর সহিত আমার এই বিষয়ে কথা হইয়াছিল। তিনি বলিলেন, ইংরেজী বিদেশী ভাষা, এই জন্তু ইংরেজীকে আমরা ভারতের সাৰ্ব্বভৌম ভাষা করিতে চাহি না । ভারতের একটা ভাষাকেই সাৰ্ব্বভৌম ভাষা করা উচিত এবং হিন্দী সেই ভাষা হইবার উপযুক্ত, যেহেতু তাহা অধিক লোকের ভাষা। তাহার এই উক্তির উত্তরে আমি বলিয়াছিলাম, কেবল বিস্তার দেখিয়াই একটা ভাষা গ্রহণ করা উচিত নহে। ভাষার যথাসম্ভব সুগমতা, সৰ্ব্বাঙ্গপূর্ণতা প্রভৃতি গুণ দেখিয়াই নিৰ্ব্বাচন করা উচিত। সাহিত্যের কথা ছাড়িয়া দিয়া কেবল এই সকল গুণ দেখিয়া যদি ভাষা নিৰ্ব্বাচন করিতে হয়, তাহা হইলে বোধ হয় খাসিয়া ভাষা সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । দুই মাসে যে-কোন যুবক ইহা শিখিতে পারে। ইহার গঠন স্বাভাবিক এবং ইহাতে fবভক্তির গুঞ্জাল নাই । এই বিষয়ে শ্রযুক্ত স্থনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মত ভাষাবিং পণ্ডিতদিগের মত প্রকাশ করিতে অতুরোধ কfর । হয়ত “বনফুল” মূখেতে যে-কথা যায় নাক বলা চোখেতে সে-কথা কহে চোখেও যে-কথা পারে না বলিতে বাতাসে সে-কথা বহে । সাঝের বাতাসে হয়ত আজিকে তোমার মনের কথা ভাসিয়া আসিয়া আজি মোর মনে তুলিয়াছে আকুলত । তাই আজি সখি অকারণে বুঝি মনেতে ফুটিছে ফুল চোখের সমুগে দুলিছে তোমার কানের দোদুল দুল।