পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অtষাঁচ মহশষ্টমী NBNES পয়মাল করলাম-গুমতি গুমতি কান ঝালাপালা হয়ে গেল—মানষির গন্ধ পালি ডেমাকু আপনার দশগুণ বা'ড়ে যায়–কিন্তু আপনি বুকি হাত দে বোলেন দেখি, তার কয়ড টাব । আমরা থা’য়ে থাকি ? টাকা যা আসে তা ত আপনি বাকুসে তোলেন । দুই হাটের দিন দু-চার পয়সার মাছ তাড়া কি কেনা হয় আমাগেরে শুনি ? অামি জানি শ্বশুরঠাকুর স্বগ গে যাবার আগে তিরিশ বিঘে মাঠান ক’রে গেছেন, তাতে সোনার ফসল ফলে, বাগিচের আম কাঠাল বিক্রি করে টাক আসে, পাটের টাকা আসে, সে সব ক'নে যায় ?—পেট ত আমার এটটি,–পাচটি নিয়ে আপনার যদি চলে, তালি আমার একার পেট৪ চলবি—আমার ভাগের আম কাঠালের, পাটের দামেষ্ট আমার তেল স্থান কাপড়ের দাম চলে যাবি । মুহাসের উত্তেজিত ভাব দেখিয়া সুরম পাশে আসিয়া গড়াইল । মেজবে তেন্সের বাটি চুড়িয়া ফেলিয়া প্রায় লাফ দিয়া উঠানে নামিয়া আসিল, কি, কি বললি ?— ভেন্ন হতি চাও,—বেশ আমৃক বাড়ী এবার, তাই ক’রে দেবে, দেবো, দেবো,-–এই তিন সত্যি রলো । মুরমা স্বহাসের হাত ধরিয়া টানিল, মুহাস নড়িতে চায় ন, বলে, এ সংসারে চণ্ড ড়ি থাই, তাও মাঙনা না,--- সকাল থেকে রাত্তির দেড় পঙ্কর পর্ষ্যস্ত বঁrদীগিরি কবি-- ক্ৰান্ত । বড়বে পশ্চিমের বা রামা হতহে স্বামীসেবায়ু ক্ষণেক fবরাম দিয়া নামিয়া মাসিয়া মুহাসের হাত ধরিস্ক,--ছোটবে, পাগল হলি তুষ্ট, আয় এদিকে আয়-বলিয়া এক প্রকাব .ঞ্জার করিয়াই তাহাকে টানিয়া লইয়া চলিল । রুস্থ আক্রোশে মেঞ্জবে চীংকার করিতে লাগিল, সব্বনাশ,—সৰ্ব্বনাশী সংসারটারে একেবারে খাবি –ঠাকুরপোর সব্বনাশ করিচ্ছে—এবার সংসারটারে খাবি । স্বহাস বড়বৌয়ের হাত ছাড়াইয়। আবার ছুটিয়া আসিল, আপনার ঠাকুরপোর কি সৰ্ব্বনাশ করলাম আমি—শুনি ! মেজবে আগাইয়ু দাড়াইল,—করলি নে ? তুষ্ট আ'সে তার লেখাপড়া করতি দিলি । তিন তিন বার ফেল করলে সে–এর আগে কোন দিন ফেল করিছে ? ভোর রূপিই ত পুড়ে মলে সে ! স্বহাস এবার র্কাদিয়া ফেলিল—তার নিজের স্বামীর সৰ্ব্বনাশের কারণ সে-স্বামী তার ফেল সত্যই করিয়াছে— এ কথা সে ঝগড়া করিতে গিয়াও উল্টাইবে কি করিয়া ? বড়বৌয়ের দিকে কাতর দৃষ্টিতে চাহিয়। সে বলিল, আপনার আমার এ-বাড়ীতে ক্যান আনিছিলেন ? জবাব দিল মেক্তবে), ওলে ডাক্টনি—তোমারে এ বাড়ীতি আমর। কেউই আনি নি, তুমি ধারে নজর দিছলে—কিপাদিষ্টি করিছিলে লে!-সে-ই সঙ্গে ক’রে আনিছে । সুহাস কি একটা জবাব দিতে যাইতেছিল সুরমা তার মুখ আটকাষ্টয়া ধরি: বলিল—ফের কথা বলবি ত কিল খাবি,—বড়বৌদি—ওরে আমাগেরে বাড়ী নিয়ে চললাম, fবকেল বেল দিয়ে যাবে!—বলিয়; আর কারওঁ কথা বলিবার সুযোগ না দিয়া জলকাদাব পথে একরূপ হিড়হিড় করিয়াই টানিয়! লইয়। চলিল । সুহাস যখন বৈকালে বাড়ী ফিরিয়া আসিল, তখন বাড়ীর স্বর একেবারে বদলাইয়া গিয়াছে—মেজকৰ্ত্ত হেমস্ত বাড়ী আসিয়াছেন : মেজবৌয়ের মুখের কঠিন রেখা নিঃশেষে মুছিয়া গিয়াছে । একদিন বর্ধ পাইয়—ণীর্ণ নীরস পুইভাট যেমনি করিম সঙ্গীব হইয় উঠে মেজবেীয়ের মুখ আজ তাই ; গুহাসকে দেখিয়াই বলিয়া উঠিল,—ওলো তুই আইছিস, আমি ত উষারে পাঠানোর জোগাড় করতিছিলাম,--এমন নেমত্তরে খাওয়াও দেখি নি ...উনি ত অ’সেই থোৎ করতিছেন ছোটবে। কষ্ট-ছোটবেী কই ? মঞ্জবোঁয়ের আকস্মিক এ পরিবর্তনের কারণ জানিবার মত বয়স সুহাসের হইয়াছে, সেও হাসিল, হাসিয়া ভাস্বরের পায়ের কাছে গড় হইয় প্রণাম করিল। —আ'সে মা লক্ষ্মী, আ সেই আমি মা লক্ষ্মীরে খুজিছি, শরীর ভালই আছে— ন মা ? মুহাস মাথা নাড়িয়া জানাইল, ই,– লজ্জাও তাহার করিল,- শরীর তাহার তবে এমনই ভাল হইয়াছে যে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে হয় না যে তুমি কেমন আছ ? হরম পোড়ারমুখী আবার তাহাকে চুল বাধিয়া স্নে ঘষিয়া সং সাজাইয়া দিয়াছে । নিজের স্বাস্থ্য-সৌন্দর্ঘ্যের