পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবীণ পুরোহিত ব্রাউলিঙের রাব্বি বেন এজর হইতে শ্ৰীসুরেন্দ্রনাথ মৈত্র মোর সাথে হও বুড়া ! সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ যাহা এখনো যে বাকী আছে তাহা, —জীবনের উত্তরাদ্ধ, প্রথমাৰ্দ্ধ হুষ্ট যার তরে । আমাদের পরমায়ু ধরিছেন যিনি নিজ করে শোন বাণী, তার, —“তোমার সম্পূর্ণ ছবি চিত্ৰলেখা মোর তুলিকার । যৌবন আধেকমাত্র, হাতখানি রাখি মোর হাতে চল আগে, দেখ সব শঙ্কালেশহীন আঁখিপাতে ।" নয়, নয়, তরুণের পুপ আহরণ, মালঞ্চে উদ্বুদ্রাস্ত বিচরণ ! গোলাপের কোনটিরে চয়ন করিবে ? কোন পদ্মটিরে ফেলি হাস্থতাশে তাহারে স্মরিবে ? চাহিয়া নক্ষত্রপুঞ্জ পানে প্রাণ তার তৃপ্তি নাহি মানে ! “চাহি ন রোহিণী কৃত্তিকারে, আমি চাই যারে ইহারা ত সে তারকা নয় হরিবে যে আমার হদয় ! এ নক্ষত্ৰ-দীপালির সব শিখাগুলি নপ্রভ করিয়া কবে দাড়াবে সে তিমিরগুণ্ঠনখানি খুলি ?” স্বল্পায়ু এ যৌবনের দিনগুলি আশা আকাঙ্ক্ষায় অপচয় করে যারা তাদেরে ভরি না ভৎসনায় । আমি শ্রদ্ধা করি হেন নিরাকুল সম্রাস সংশয়, যার দীন ক্ষুদ্রাশয়, এ উদ্বেগ তাহদের নয়। তারা ত জানে না হায় কারে বলে যৌবন-বেদন, নিটোল মাটির তালে দীপ্তি নাহি ঢালে বহ্নিকণ । বড় যে দরিদ্র রিক্ত এ জীবন হ’ত নিরবধি, শুধু মাত্র সুখভোগ লাগি তার স্বষ্টি হ’ত যদি ! ইন্দ্রিয়ের ভূরিভোজ ভরে শুধু ফিরিতাম যদি লোলুপ অস্তরে, সে ফলার হ’ত যবে শেষ, রহিত না মরত্বের কোনো চিহ্নলেশ । পার্থীর কি থাকে খেদ ক্ষুধা মেটে যবে, সংশয়বিহ্বল পশু ভরাপেটে হয়েছে বা কবে ? বল বল ধন্য এ জীবন, নিত্যযুক্ত রয়েছি যে মোরা আমরণ তারি সাথে, না লয়ে যে জানে শুধু দিতে গ্রহণ করে না ফল, দেয় শুধু তাহারে ফলিতে। এই মাটিভর দেহে ফোটে দীপ্তিকণা, তাই জানি যে বিধাত পুরান প্রার্থনা জ্যোতির ফুরণে মোরা তার কাছে যাই, যারা শুধু নিতে জানে তাদেরে এড়াই। অচল প্রতিষ্ঠ এ বিশ্বাসে কিছুতেই নাহি যেন নাশে । সাদরে বরণ করি তবে, বিমুখত প্রত্যাখ্যান যত আছে ভবে। এ ধরার মন্থণতা প্রতি ঘাতে করুক বন্ধুর ক্ষতাঙ্ক-কৰ্ব্বর। যে দংশ অস্থির ক’রে দেয় না ক বসিতে দাড়াতে ছুটি যেন তার বেদনাতে ! জীবনের সুখে যেন তিন ভাগ দুঃখ মিশে যায়, প্রাণপণ চেষ্টা যেন শ্রমভার কভু না ডরiধ ।