পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষণঢ় প্রৰীণ পুরোহিত في نهايتي বিশ্রামাস্তে দুঃসাহসভরে বহিরিব আরবার অভিনব সংগ্রামের তরে। নিরুদ্বিগ্ন নিভীক হৃদয় চয়ন করিব পুন নূতন আয়ুধ বৰ্ম্মচয় । যৌবনাস্তে করিব বিচার —জয় কিম্ব পরাজয় ঘটিল আমার । ভস্মরাশি অপসারি কতটুকু সোনা আছে তলে দেখিব পরখ করি তুলাদণ্ড কি ওজন বলে । সেই অনুপাতে প্ততি নিন্দ যাহা হয় জীবন লভিবে মোর হাতে । ধোবনে যা ছিল অনিশ্চিত পদ্ধকে তাঙ্গার মূল্য করিতে পারিব নিদ্ধারিত। রেপো মনে, নামে ধবে সাঝের অঁtধার রুদ্ধ হয় সায়াহ্নের কনক-দুয়ার, আসে সে মাহেন্দ্রক্ষণ, কৰ্ম্ম গfস্থ যবে ছিন্ন হয়, সর গুণ্ঠন তলে যে গৌরব কবরিত রয় তারে তুলে আনে, আসে অস্তাচল হ’তে অস্ফুট গুঞ্জনধ্বনি কাণে, —“আর এক দিনের আয়ু শেষ হ’ল এবে, লহ ইহা আপনার পুজি মাঝে, আর দেখ ভেবে কি মূল্য ইহার জীবনে তোমার ?” জীবন হয় নি শেষ, তবু আজি দ্বন্দ্বের অতীত, বিচারাস্তে মীমাংসায় হ’তে হবে এবে উপনীত । -“এক্ষেত্রে প্রমত্ত হওয়া অসঙ্গত নয় ।” “সে মৌল সম্মতি শুধু মিথ্যার আশ্রয়।" “অতীতের অভিজ্ঞতাবলে, ভবিষ্যেরে পেয়েছি কবলে ।” শুভ ফল হবে জানি যৌবনের অপটু চেষ্টায় আত্মবলে আপনারে গড়িয়া তুলিতে যদি চায় । বাধা পথে চলা যথা নবীনের ধৰ্ম্ম কভু নয়, তেমনি প্রাচীন যেন স্থিতিশীল দ্বন্দ্বহীন হয় । 8 2-6. প্রতীক্ষায় সহিষ্ণুত হে প্রবীণ করিও অর্জন, রহিও অকুতোভয়ে মরণেরে করিতে বরণ । যথেষ্ট কি নয় সত্য শিব ভূম যিনি তার পরিচয় পেয়ে যদি থাক তুমি অনুভূতি মাঝে ? এই হাত-পা যে তোমারি, তা জান যথা সংশয়বিহীন । যুবজন-জটলার তর্কে অৰ্ব্বাচন নাহি যেন পারে কভু টলাতে তোমারে, সঙ্গীহারা ভাবিও না কত্ব আপিসারে । ক্ষুদ্র চিত্ত, উদার হৃদয়, স্বকীয় স্বাতন্ত্র্য মাঝে যেন ভিন্ন রয়। বিঘোষিত হয় যেন তাহাদের কাছে অতীতে তাদের স্থান কোনখানে আছে । আমার বিরুদ্ধে যার অভিযোগ করে, ঘৃণা করি যাহাদেরে অন্তরে অস্তরে, তাদের, অথবা মোর,--সত্যাশ্রয় কণর ? দিবে শান্তি প্রবীণের যথার্থ বিচার । দশে যাহা ভালবাসে আমি তাহ ঠেলি ঘৃণাভরে আমি ছুটি যার পিছু তারে যে অবজ্ঞা তারা করে । সসন্ত্রমে করি যা গ্রহণ, তুচ্ছ মনে করি তারা করে তা বর্জন ! আমারি মতন তার চোখ কান ধরে তবু এ কী বাবধান মোদের ভিতরে । আমি এক ভাবি হায়, তারা ভাবে আর, কার হাতে বল তবে মীমাংসার ভার ? ‘কাজ’ বলি বাজে মাল লোকে যাহা করিছে প্রচার, নির্ভর রাখিয়া তায় ক’রে না বিচার । চক্ষে যাহা পড়িল সহজে, অমনি নগদ মূল্যে তারে কিনিছ যে !