পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশষণঢ় হে মোর দেবতা, আমি নিরবধি তোমারেই চাই, যে তুমি আপন হাতে মানবেরে গড়িছ সদাই । তোমার চক্রের ঘূর্ণ সৰ্ব্বাপেক্ষা ভীষণ যখন, তোমারে ভুলি নি আমি, ছিঃ যবে অৰ্দ্ধ-অচেতন শৃঙ্খলিত চিত্রবর্ণ মৃত্তিক-বন্ধনে তখনে জাগিত মোর মনে, --অামার চরম গতি আশ, তৃপ্তি দিয়া মিটনে যে তোমার পিপাসা । দ্বিজেন্দ্রলালের রসরচনা ও দেশপ্রীতি Nごのむ কর তবে আমারে গ্রহণ, লও তারে:নিজ কাজে যারে তুমি করিলে হজম । কলঙ্ক কঙ্কর, যা কিছু কুংসিত অবাস্তর কর দূর । মোর আয়ু আছে হাতে তব, মনের মতন করি গঠন-সৌষ্ঠব দাও নিজ পানপান্ত্রটিবে। আজি শুভ্ৰশিরে জর মোর যৌবনেরে জানাকৃ আণতি মরণে যৌবন মোর লভে যেন শ্রেষ্ঠ পরিণতি । দ্বিজেন্দ্রলালের রসরচনা ও দেশপ্রীতি শ্ৰযতীন্দ্রমোহন বাগচী মহাকালেব পারের নৌকায় মানুষের স্থান নাই, শুধু তাহার কতপৰ্ম্মের—তাহাব কীৰ্ত্তিব স্থান আছে । কবির ভাষায় ঠাই নাই, ঠাই নাই, ছোট সে তরী, আমারই সোনার ধীনে গিয়াতে ভরি’। তুমি আমি সে নৌকায় পার হইতে পারিব + ; তবে সোনার ফসল যদি কিছু আমাদের থাকে, তাহাই কবল সেখানে স্থান পাইবে । দ্বিজেন্দ্রলাল আজ নাই, কিন্তু তাহার বহুমুখী প্রতিভার কীৰ্ত্তিfকরণে বঙ্গসাহিত্যাকাশের দিদিগন্ত উদ্ভাসিত হইয়: আছে এবং যতদিন বঙ্গসাহিত্য থাকিবে, ততদিন বঙ্গবাসী তাঙ্গর সেই আনন্দালোকে আপনার অন্তরলোক উদ্দীপ্ত করিয়া লইবে । গুণগ্রাহিতাই গুণী হইয় উঠবার সোপান। আজ বাঙালী যে প্রকৃত গুণীর গুণ গ্রহণ করিতে শিথিয়াছে, বাস্তবিকই তাহ জাতির পক্ষে আশার কথা । fদ্বজেন্দ্রলালের দানের কথা স্মরণ করিতে গিয়া সৰ্ব্বাগ্রেই তাহার হাস্তরসরচনা ও দেশপ্রীতির কথা মনে পড়ে। হাস্যরস-সৃষ্টিতে, শুধু বঙ্গসাহিত্যে কেন, অনেক সাহিতেই, বোধ করি, তাহার তুলনা মিলে না। ষে রচনা সম্বন্ধে গুণগান করিতে গিয়া রবীন্দ্রনাথের শুধু রসজ্ঞ সমালোচকও ‘শুচিশুভ্ৰ অনাবিল হাসোব ধ্রুবনক্ষত্রপুঞ্জ’ রচয়িত বলিয়া তাহাকে অর্ঘ্যদান করিয়াছেন, সে সম্বন্ধে প্রশস্ততর প্রশস্তি সম্ভবে না ; আমরা এখানে কেবল সেই হাস্যরচনার ভাষ্য রচনা করিবার চেষ্টা করিতে পারি মাত্র । এই হাস্যরসে মানবজীবনের পূবম প্রয়োজন। আবার সে জীবন যদি কেবল দুঃখ-দারিদ্র্যেরই দুর্তোগস্থল হয়, তবে সে জীবন ধারণের পক্ষে হাস্যরসের প্রয়োজন অপরিহার্য্য। হোক সামান্য, হোক ক্ষণিক, সেই হাসি তাহার বাচিয় থাকিবার পথের পরম পাথেয় । অামাদের মত বহুলাঞ্ছিত জাতির জীবনে সে হাসি যেন মুতসঞ্জীবনীরই কাজ করে। দ্বিজেন্দ্রলালের এই হাস্যরসরচনা মূলতঃ ত্রিধারায় বিভক্ত। প্রথম, নিছক হাস্য—যাহা কাহাকেও কিছুমাত্র আঘাত না করিয়া অস্তরের সহজ প্রশ্রবণ হইতে আপনআপনি উচ্ছ্বসিত হইয় উঠে ও মানুষকে কৌতুকরসে উদ্বুদ্ধ করিয়া আনন্দ দান করে। দ্বিতীয়, ব্যঙ্গহাস্য বা উপহাস—যে হাসি ব্যক্তিগত বা সমাজগত দুৰ্ব্বলতা ও সঙ্কীর্ণতার প্রতি কটাক্ষ বরিয়া ممس.