পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بحواج) لاتخ তবে সেথায়, স্বামী স্ত্রীতে ঝগড়া করে বিশুদ্ধ ইংলিশে, আর করে সাদা হাতে চুরি ডাকাতি সে। এই তফাৎ, এই তফাৎ, এই তফাৎ মাত্র ভাই, আর আমাদের সঙ্গে তাদের কোনই তফাৎ নাই ৷” তখন সীমান্য কথায় কবির রসসৃষ্টির পরিচয় পাইয়া অবাক হইতে হয় । বাস্তবিকই তাহার ‘হাসির গান’ ও ‘আষাঢ়ে’ বঙ্গসাহিত্যের এক অভিনব সম্পদ । কি রসের দিকে, কি ভাষার দিকে, ইহা যেন ঝলমল করিতেছে। তাহার হাস্যরস-কবিতার রচনাভঙ্গী এমনই স্বতন্ত্র যে, তাহা বঙ্গভাষায় এক যুগান্তর আনিয়াছে বলিতে পারা যায় । আমলা একটিমাত্র উদাহরণে ভাহা সংক্ষেপে নির্দেশ করিতে চাই ; "হরিনাথ দত্ত চড়ে "কর্ড মেল ট্রেন, চুণাপুজোর ছুটি, শ্বশুর বাড়ী যাচ্চেন-- তবে এ কথা সত্য যে হরিনাথ দত্ত পাটনাতে চাকরী করেন, সে চাকরীর কি অর্থ বল কিছু শক্ত ।” ইত্যাদি ইহ পদা কি গদ্য বুঝা কঠিন । অথচ চলিত ভাষায় এই অপরূপ বর্ণনাভঙ্গী ভাষায় একেবারে নূতন । ভাটপাড়ার পণ্ডিতসভা, অদল-বদল, নসীরাম পালের বক্তৃতা, গোপীনাথ দাস, গোমুটায় বাস-প্রভৃতি এইরূপ মান কবিতাব উল্লেখ কর! যাইতে পারে । এইবারে অণমর কবির অসাধারণ দেশপ্রীতির কথা বলিব । তাহার দেশপ্রেম এতই গভীর ও আন্তরিক ছিল যে, কবির রচনার সহিত যাহণদের কিছুমাত্র পরিচয় আছে, র্তাহারাহ তাহ অবগত আছেন । বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথের বহু রচনাই যেমন দেশপ্রেমে ওতপ্রোত, দ্বিজেন্দ্রলালেরও তাহাত । তাহাদের মত তিনি দেশাত্মবোধের উদ্বোধনে সহস্ৰ সহস্ৰ নরনারীকে স্বদেশমস্ত্রে দীক্ষিত করিয়াছেন । “বঙ্গ আমার, জননী আমার, ধাত্রী আমার, আমার দেশ” । “তুমি কি মা সেই, তুমি কি মা সেই চিরগরীয়সী ধন্য অয়ি মা !” “একবার গাল-ভর। মা-ডাকে, মা বলে ডাক, মা বলে ডাক্‌, মা বলে ডাক মাকে” কিংবা, “আবার তোর মাতুষ হ,” প্রভৃতি গানের ন্যায় বহু পরিচিত গান ভাষায় নাই বলিলেও, বোধ করি, অত্যুক্তি হয় না। বাংলার শহরে, মফস্বলে, হাটে, প্রবাসী $wరి83 মাঠে, গঞ্জে, স্থদুর পল্লীতে পল্লীতে ইহাদের জোড়া দেখি নাই। বাংলার জাতীয় সঙ্গীত রচনায় দ্বিজেন্দ্রলাল এক প্রকার অপ্রতিদ্বন্দ্বী । কেবল গীত-রচনায় নহে, বঙ্গবাণীর বীণার তারে তাহার রচিত নুতন স্বরের ঝঙ্কারও এক অভিনব দান। কেহ কেহ বলেন, তাহার নাটকে অনেক নাটকীয় ক্রটি আছে । আজ আমরা সে কথার বিচার করিতে বসি নাই । দোষ-ত্রুটি থাকিলেও, আমাদের বর্তমান যে বক্তব্য, তাহাতে তাহার বিন্দুমাত্র ব্যত্যয় হইবে না। আমরা কবির জন্মভূমিব প্রতি ধে মৃগভীর প্রীতির কথা বলিয়াছি, নাট্য-রচনার ক্রটিতে তাহা ক্ষুণ্ণ হয় না । সেদিন কি দিন ছিল, যখন পাচ-ছয় মাস অস্তব কবির দুর্গাদাস, রাণাপ্রতাপ, মেবার-পতন, সিঙ্গলসাহা জ্ঞান, নাটক পর পপ প্রকাশিত ও রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হইয়া লক্ষ লক্ষ লোককে সেদিন কি দিন ছিল, আমাদের এই রসুন্ধর}', বিজয়, চন্দ্রগুপ্ত, প্রভৃতি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ কবিয়াছে । যেদিন "ধনধান্যে পুষ্পে - , ‘ভারতবর্ম’, ‘বঙ্গ আমার জুনমী আমার’, ‘আবার তোল মাত্য ক’, প্রভৃতি বিচিত্র দেশাত্মবোধক গানে মাসের পং মাস নগর হইতে দূরতম পল্লী পৰ্য্যস্ত মুখরিত হই উঠি বঙ্গভঙ্গের যুগের সে সকল কথা মনে হইয়া কবির সেই দেশ প্রাণভার উন্মাদন আজি ও যেন চক্ষে দেখিঃে fষ্ঠ । রচনায়, অভিনয়-প্রেক্ষাগৃহে, সমালোচনায় পথে ঘাটে এই সকল গানের প্রচারে আমরা সেদিন কবির সঙ্গী ছিলাম, তাই বার-বার এ কথা মনে হইতেছে যে, বঙ্গসাহিত্যে র্তাহার দেশপ্রেম যেমন উদার তেমনি গভীর ও অজস্র ছিল । এই দেশপ্রীতি তাহার এমনই মজ্জাগত ধৰ্ম্ম ছিল যে, কৰ্ম্মজীবনে এজন্য বারম্বার তাহাকে গুরুতর দুর্তোগ ভুগিতে হইয়াছে । বস্তুতঃ বঙ্গের জাতীয় জাগরণ-যজ্ঞের তিনি এক জন প্রধান পুরোহিত ছিলেন । এবং মানুষের মধ্যে যাহারা জাগিয়া থাকিয় স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেন, তিনি র্তাহাদেরই এক জন ! جاية يا ‘লীরিক কবিতায় তাহার হাত কতখানি মিষ্ট ছিল, কীৰ্ত্তন প্রভৃতি সঙ্গীত রচনায় কৃতিত্ব র্তাহার কতখানি,—মস্ত্রে, আলেথ্যে ও আর্য্যগাথায় তাহার পরিচয় আছে। ‘ও কে