পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

いこb〜の প্রৰণ f ●Nー)88 যাহাদের অভিভাবকগণ বিবাহের কোন উপায়ই করিতে సి) S ২৯৬ লক্ষ ১ ৪২ লক্ষ পারেন নাই। এমন অবস্থায় সেই সকল মেয়ের যদি সিন্ধু **** ه چuو ب« & Q3 » ২১৫ ** > * g נסיא: প্রদেশে উপযুক্ত পাত্রে বিবাহ দেওয়া হয় তাহা হইলে বিবাহসমস্যা কি কতক নিবারণ হয় না ? এ-বিষয়ে সমাজনেতার কি চিন্তা করিয়া দেখিবেন ? ক্রমশঃ হিন্দু সমাজের যে কিরূপ অবস্থা দাড়াইতেছে, কিরূপ অতিদ্রুত হিন্দুজাতি ধ্বংসের অভিমুখে চলিয়াছে, তাহা ৬০ বৎসরের আদম-মুমারীর রিপোর্ট হইতে বুঝা যায়। এই রিপোটে প্রত্যেক দশ বৎসর অন্তর বাংলা দেশের হিন্দু ও মুসলমানের সংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি পরিমাণ লিখিত আছে। রিপোর্টটি এইরূপ : বৎসর হিন্দু মুসলমান ১৮৭২ ১৭ ১ লক্ষ ১৬৭ লক্ষ >trb 。 ১৭২৫ ” > 4 & " Xbrふ 》 גb a * وي نه لا " > * * > S・8 ° ごェ。 " এই তালিকায় দেখা যায়, ১৮৭২ খ্ৰীষ্টাব্দে বাংলা দেশে মুসলমান অপেক্ষ হিন্দুর সংখ্যা চারি লক্ষ অধিক ছিল। কিন্তু ১৯৩১ খ্ৰীষ্টাব্দে মুসলমানের সংখ্যা হিন্দু হইতে ৬০ লক্ষ অধিক হইয়াছে। বিবাহ-সমস্তার সহিত হিন্দু সমাজের ংখ্যাল্পতার যে বিশেষ যোগ আছে ইহাতে সন্দেহ নাই। স্বতরাং হিন্দু সমাজে আস্ত:প্রাদেশিক বিবাহ প্রবর্তিত করিয়া এই সমস্ত সমাধানের কোন প্রতিকার হয় কি না সে-বিষয়ে চেষ্টা করিয়া দেখা উচিত। সেই সঙ্গে সিন্ধু প্রদেশের সহিত যাহাতে বাংলা দেশের মেলামেশা বৃদ্ধি হয়, যাহাতে বাঙালী মেয়ের পুরাপুরি সিন্ধী হইয়া ন-যায় বরং সিন্ধু প্রদেশে বঙ্গদেশীয় সভ্যতার বিস্তার হয়, তাহারও চেষ্টা করা উচিত । কাশীর মানমন্দির শ্ৰীমুকুমাররঞ্জন দাশ, এম-এ, পিএইচ-ডি হিন্দুদিগের শ্রেষ্ঠ তীর্থ কাশীধামে গঙ্গানদীর তটে মণিকণিকাঘাটের অনতিদূরে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কাশীর মানমন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত। ইহা প্রথমে রাজপুতানার অম্বররাজ মানসিংহ কর্তৃক মণিকণিকা-ঘাটে নিৰ্ম্মিত হয়। যদিও দিল্লীনগরীর মানমন্দিরের ন্যায় ইহা সুন্দর ও স্বগঠিত নহে, তথাপি পারিপাশ্বিক প্রাকৃতিক দৃশ্বের মধ্যে ও গঙ্গাতটে অবস্থিত বলিয়া ইহার বহিদৃশু অনেকাংশে মনোহারী হইয়াছে। রাজা মানসিংহের তিরোধানের প্রায় পঞ্চাশ বৎসর পরে, তাহার সিংহাসনাধিকারী মহাপ্রতাপশালী রাজা জয়সিংহ কর্তৃক এইখানেই গ্রহ-নক্ষত্ৰাদি দর্শনের জন্ত অনেকগুলি যন্ত্র নিৰ্ম্মিত হয়। এই যন্থাদির বিবরণ, ব্যবহারপদ্ধতি ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিশদভাবে বিবৃত হইল । ( , ) fefo-Ho (a mural quadrant )—Ni-- মন্দিরে প্রবেশকালে এই ভিত্তি-যন্ত্র প্রথমেই দর্শনপথে পতিত হয়। ইহা ইষ্টক, চুণ ও প্রস্তর দ্বারা নিৰ্ম্মিত একটি প্রাচীরবিশেষ। মাধ্যাহিকের সমতলেই এই প্রাচীর অবস্থিত । ইহা ৯ ফুট ১ ইঞ্চি দীর্ঘ, ১ ফুট ৫ ইঞ্চি প্রশস্ত ও ১১ ফুট উচ্চ। এই প্রাচীরের পূৰ্ব্ব পার্শ্ব সমান এবং অতি স্বন্দর চুর্ণরঞ্জিত। পূৰ্ব্ব পাশ্বের উপরিস্থিত দুই কোণে বড় বড় দুইটি কীলক প্রোথিত রহিয়াছে। কীলক দুইটি ভূমিতল হইতে ১০ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চ ; আর উহাদের পরস্পরের দূরত্ব ৭ ফুট ৯ ইঞ্চি। যে-বিন্দু দুইটিতে কীলক প্রোথিত, সেই বিন্দু দুইটিকে কেন্দ্র করিয়া এবং দুইটি কীলকের অন্তরকে ত্ৰিজ্যা করিয়া দুইটি বৃত্তচতুর্থ ( quadrant ) অঙ্কিত করা হইয়াছে। এই বৃত্তচতুর্থ দুইটি পরস্পরকে ছেদ করিয়াছে।