পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

<తిపెఫె হইয়াছিল শাশুড়ীর উৎপাত । নাতনীকে দেখিলেই বুদ্ধা যেন ধনুষ্টঙ্কারের মত বাজিয়া উঠিতেন, “বাবা, সোহাগ ক’রে থাইয়ে খাইয়ে মেয়ের চেহারা করেছে দেখ না ? যেন চব্বিশ বছরের ধিঙ্গী মেয়েমানুষ । গরীবের কথা বাসি হ’লে মিষ্টি লাগে, তখন বলেছিলাম না যে আদর ক'রে অত গিলিও না গে, গিলিও না । এখন মেয়ের মাথায় ফুলেী ঠেকাও, যদি বাড় কমে।” কুলো ঠেকাইতে হইল না। ঠাকুরমা, পিসীমা ও প্রতিবেশিনীদের স্বমধুর বাক্যের মহিমায় সরযু এমনিই শুকাইয় যাইতে আরম্ভ করিল। মা দেখিয়া শুনিয়া এবার বাপের পিছনে লাগিলেন, “মেয়েটার যেমন হোক একটা বিয়ে দিয়ে দাও গে, নইলে বাক্যির জাল দিয়ে দিয়েই ওরা ওকে মেরে ফেলবে ।” বাপ বলিলেন, “বিয়ে দিয়ে দাও বললেই অমনি বিয়ে হয়ে যায় কি না ? টাকা কোথায় তোমার ?” গৃহিণী বলিলেন, “গরীবের মেয়েরাও ত আজন্ম আইবুড়ো থাকে না, তাদেরও ত বিয়ে হয় ? আমি ত আর জজ, ম্যাজিষ্টেট জামাই চাচ্ছি না ? আমায় যে ঘরে-বাইরে অতিষ্ঠ ক’রে তুলেছে।” সরযুর বাবা বলিলেন, “হ ।" বলিয়া খাওয়া সারিয়া, পাড়ার চৌধুরীদের বাড়ী তাস থেলিতে চলিয়া গেলেন। কিন্তু গৃহিণীর কথাটা তাহার মনে রহিল। পাত্রের সন্ধানে নিজেও মন দিলেন, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন সকলকেই অনুরোধ উপরোধ করিতে লাগিলেন । সরযুর বর জুটিয়া গেল। জজ, ম্যাজিষ্ট্রেট সত্যই আসিল না। আসিল যে, সে একটি গবর্ণমেণ্ট অফিসের কেরাণী, বিপত্নীক, প্রথম পক্ষের একটি ছেলেও আছে । বয়স ছত্রিশ-সাঁইত্রিশের কম হইবে না । ভালর মধ্যে এইটুকু যে চাকুরীতে উন্নতির সম্ভাবনা আছে। জামাই কাহারও পছন্দ হইল না, হইবার কথাও নয়। সরযু বেচারী বিবাহের আয়োজনের মধ্যে এবং গায়ে-হলুদের তত্ত্বের ভিতর কয়েকখানা রেশমের শাড়ী এবং প্রসাধনের কতকগুলি উপকরণ দেখিয় খানিকক্ষণ খুব খুসি হইল । এত জিনিষ, এত কাপড় জমা তাহার জন্য ? কিন্তু বিবাহের সময় বরের বিশাল ভুড়ি, এবং স্বপুষ্ট গোপ জোড়া দেখিয়া প্রবাসী $Nరిgg তাহার সকল আনন্দ কপূরের মত উবিয়া গেল। বিবাহের পরদিনই সরযু বাপের বাড়ী ত্যাগ করিল, এবং আর কোনদিন সেখানে রাত কাটাইবার অনুমতি পাইল না। তাহাকেই সংসারের গৃহিণীর পদ গ্রহণ করিতে হইল যখন, তাহার কি আর তখন হট হট করিয়া খালি বাপের বাড়ী যাওয়া পোষায় ? বিমলার রংটা একটু মাজাঘষা ছিল, গোধূলির আলোয় পাউডার স্বে মাথাইয়া দাড় করাইয়া দিলে ফরশ বলিয়া চালাইয় দেওয়া যায়। কপালটাও বোধ হয় তাহার দিদির চেয়ে কিছু ভাল ছিল । সরযুর বিবাহে? বছর-দেড় পরে, ভগ্নীপুতিই তাহার জন্য একটি বর জুটষ্টয় দিল । উপর ভালই । বি-এ পাস করিয়া চাকরিতে ঢুকি ছে । মাহিনী বেশী নয়, কিন্তু বাড়ীর অবস্থা ভাল দেশে জমিজমা, বাউীঘর আছে । মাত্র একটি ছেলে সে বাপমায়ের, বোন একটি আছে বটে, কিন্তু তাহারও বিবাহ হইয়া গিয়াছে । শ্বশুর বঁচিয়! অ’ড়েন শাশুড়ী নাই। বিমলার বিবাহে সকলেই খসি হই ল ৷ কিন্তু দুই মেয়ে পার করিতে বাপ মংে ব ত ইঞ্চি শিকায় উঠিবার জোগাড়। গায়ের গঠন দিয়াই কিছু মালতীর মা দুই-দুইটি মেয়ে পার করতে পারেন নাই । BB BB BB BBB BB BBBS BBB BBBBS ঋণ শোধ করিয়া বাড়ী যে কোনও দিন মহাজনের কবলমুক্ত করিতে পারিবেন, এ-আশ: আর যাঁহারই থাক, মালতীর বাবার নাই । ঠাকুরমা ক্রমাগত গজগজ করেন। "মুখপুড়ীদের বিয়ে দিতেই আমার ভিটেমাটি সব উচ্ছন্ন যাবে গো ! আমার সোনার চাদ নিতুকে রাক্কসীর পথে বসাবে গো ! এমন শত্তরও সব ঘরে জন্ম নিয়েছিল।" কিন্তু এখনও মালতীর বিবাহ বাকি । তাহাকে ষে কি দিয়া পার করা হইবে তাহা পিতামাত ভাবিয়া পান না । বাড়ীখানা বিক্রয় করিয়া ফেলিলে হয়ত হাজার-দেড় টাকা আরও পাওয়া যায়, কিন্তু থোকাকে কি সত্যই পথে বসাইবেন ? অার বুড়ী ঠাকুরমা ত তাহা হইলে স্বামীর ভিটার শোকে দাড়াইয়া মারা যাইবেন । মালতীর বাবার সামান্য কিছু মাহিনী বাড়িয়ছে, স্বদ মাসে মাসে ছেলেটি মে':টর '