পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8లిసి লেখাপড় শিখিয়া ম্যাটিক পাস করিয়াছে তাহ হইলে কুতু মহাশয়ের প্ররোচনায় পড়িয়া তুমি কিছুতেই বিবাহ ঘটিতে দিবে না। তোমাকে ত আমিও চিনি । তুমি একগুঁয়ে লোক—হয়ত বাকিয়া বসিবে । নানারূপ ভাবিয়া-চিন্তিয়া তোমাকে গোপন করিয়াই আমি কুসুমকে শ্রমান ছ’কড়ির হস্তে সমর্পণ করিলাম । ছয় মাস নিবিঘ্ৰেই কাটিল । তাহার পর যখন তুমি ছ’কড়িকে পত্র লিখিলে যে তাহার বিবাহের দিনস্থির হইয়াছে এবং ছ’কড়ি যখন তোমাকে জানাইল যে সে বিবাহ করিয়া ফেলিয়াছে তখন আমি ভাবিয়া দেখিলাম যে এইবার সমস্ত ব্যাপারটা তোমাকে খুলিয়া জানানো দরকার । সেই উদ্দেশুেই আমি হরিণহাটি গিয়াছিলাম । কিন্তু সেখানে গিয়া শুনিলাম তুমি বৃন্দাবন যাত্রা করিয়াছ। “সমস্ত কথাই তোমাকে লিথিলাম । আমি তোমার বাল্যবন্ধু। আমাকে ক্ষমা করা যদি তোমার পক্ষে নিতান্তই শক্ত হয়, আমাকে না-হয় দু ঘা মারিয়া যাও। কিন্তু ছেলেবউকে অবহেলা করিও না । কুসুম স্কুলে পড়িলেও সত্যই গৃহকৰ্ম্মনিপুণ হইয়াছে। নিজে আসিয়া পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পার...” ইত্যাদি & বহুদিন পরে পোদ্দার মহাশয় হরিণহাটিতে প্রবেশ করিলেন । গ্রামে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন যে র্তাহার দীর্ঘ অনুপস্থিতির সুযোগ লইয়া গ্রামের কয়েকটি ছোকরা বাটারফ্লাই ফ্যাশানে গোফ ছাটিয়াছে এবং মল্লিক-বাড়ীর বৈঠকথানার বারান্দায় বিলাতী মরশুমী ফুলের কয়েকটি টবও বসান হইয়াছে। পোদার মহাশয় কিছু না বলিয়া কুণ্ডুর মুখের দিকে শুধু একবার চাহিলেন । কুণ্ডু হাসিয়ু বলিলেন, “সব লক্ষ্য করছি—” 肇 蠢 薄 প্রবাসী sNలి38 অন্তঃপুরে প্রবেশ করিয়া পোদ্ধার মহাশয় দেখিলেন থে র্তাহার গৃহিণী একটি স্বন্দরীর বেণী রচনা করিতেছেন। বেী ! পোদারকে দেখিয়া পোদ্দার-গৃহিণী অসম্বত বেশবাস সম্বরণ কfরয় তাড়াতাড়ি দাড়াইয়া উঠিলেন। বধু ছুটিয়া গৃহমধ্যে গিয়া আশ্রয় লইল । গৃহিণী প্রশ্ন করিলেন, “হঠাৎ খবরটবর না দিয়ে এসে পড়লে যে । যাকৃ-—এলে বাচলাম । ভাল ছিলে ত বেশ ?” পোদার মহাশয় এ-সব প্রশ্নের জবাব না দিয়া অদূরে টাঙানো দোলনাটি দেখাইয়া বলিলেন, “ওটা কি ?” “ওমা, ছ’কড়ির থোকা হয়েছে যে ! অমলকুমার—* “কি ?” “অমলকুমার ! বেীম ছেলের নাম রেখেছে অমলকুমার ” পোদার স্তfস্তুত । বিস্ময় কাটিলে তিনি বলিলেন, “অমলকুমারকে নিয়ে থাক তোমরা ! আমি কাশী ফিরে চললাম—” বলিয়া তিনি সত্যই ফিরিলেন । পথরোধ করিয়া গৃহিণী বলিলেন, “ওম, সে কি কথা (5il-” “অমলকুমার নাম আমি বরদাস্ত করতে পারব না---" “বেশ ত তুমিষ্ট একটা নাম দাও না।” “ন’কড়ি—” “বেশ তাই হবে—” পোদ্ধার মহাশয় ঘুরিয়া দোলমার দিকে অগ্রসর হইলেন।