পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8、この প্রবাসী ১৩৪৪ \ দেন নাই। বাঙালী জনসাধারণ-বিশেষত: বাঙালী যুবকের কিন্তু সব সময়ই আশা করিতেছিলেন যে কাৰ্য্যকরী সমিতির এই নেতৃস্থানীয় বাঙালীরাই অগ্রণী হইয়। বাঙালীদের পক্ষ হইতে পণ্ডিতজীর সম্বৰ্দ্ধনার আয়োজন করিবেন। সত্য হিসাবে এখানে একথা উল্লেখ করা যাইতে পারে যে পণ্ডিতজী নিজেই প্রথমে প্রাদেশি অথবা সাম্প্রদায়িক ভাবে কোনরূপ অভ্যর্থনা গ্রহণের বিরোধী ছিলেন বলিয়াই প্রচারিত হইয়াছিল। যাহা হউক, নেতৃস্থানীয়দের নিশ্চেষ্টতায় ও অবাঙালী ভারতীয়দের বাঙালীর এই ব্যাপারে ঔদাসীন্যের নিন্দাবাদে অধৈর্য হইয়ু কতিপয় যুবক শুদ্ধাস্পদ স্বামী শ্ৰামানন্দজীকে অগ্রণী করিয়া তাদের অক্লাস্ত চেষ্টায় পণ্ডিতজীর অভ্যর্থনার আয়োজন করেন এবং মাত্র ২৪ ঘণ্টার ভিতরেই সহস্ৰাধিক মুদ্র সংগ্ৰহ করিয়া পণ্ডিতজীকে মানপত্র এবং তৎসঙ্গে একটি পূর্ণমুদাধার প্রদান করেন । এই সাম্ব দ্বনউৎসব এত সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত ইয়াছিল যে সকলে জানিয়! মুখী হইবেন, পণ্ডিতজী অস্ত্র সেই রাত্রেই বিভিন্ন স্থানে বাঙালীদের এই অভ্যর্থনার সীন্ধ ও শৃঙ্খলার ভূয়সী প্রশংসা করেন, এবং এই অভিমত প্রকাশ করেন যে বাঙালীপের এই সম্বদ্ধনাই বাহার কাছে সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রতিপ্রদ বলিয়া মনে হইয়াছে । রেঞ্জন বেসিন উঠতে শ্ৰীমতী মিনতি সিংহ বেসিনে পণ্ডিত জবাঙ্গরলালের অভ্যর্থনার একটি সচিত্র বিবরণ ও প4 আমাদের নিকট পাঠাইয়াছেন । উক্ত পত্রে শ্রীমতী সিংহ লিখিতেছেন, “...অনেকে মনে করেন যে দেশছাড়া হইয়া বাঙালী ও ভারতবাসীরা, মাতৃভূমিল্প প্রতি ষ্টাঙ্গদের যে কgব্য আছে, দেশনেতাদের প্রতি য সম্মান প্রদর্শন করিবার আছে, সে-কথা তুলিয়। গিয়াছেন । এ ধরণ অতি ভ্রান্ত, এবং প্ররিত বিবরণ হইতে সকলেই বুঝবেন য ব্রহ্মপ্রবাসী বাঙালী ভাৱতীয়ের দেশনেতাদের যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করিয়ু থাকেন, এবং এ-বিষয়ে তাহদের উৎসাহ এখনও অটুট আছে ।” বিবরণটির সারমর্ম নিম্নে মুদ্রিত হুইল । বেসিনে জবাঙ্গংলালের অভ্যর্থনার চিত্রগুলি ৩৮৭-৮৮ পুষ্ঠায় দ্রষ্টব্য । —প্রবাসী-সম্পাদক বেসিনে জবাহরলাল পশুিভ জবাঙ্গরলাল নেহরুর ব্ৰহ্ম-ভ্রমণের সংবাদে ব্রহ্মের দ্বিতীয় বন্দর বেসিন ও নীরব থাকে নাই । পণ্ডিতজীর যথোচিত অভ্যর্থনার জন্য একটি সমিতি গঠিত হয় । ব্ৰহ্মদেশের জাতীয় নেতা উ-কুন মহাশয় এই সমিতির সভাপতি, এবং উ-অন-সাইড নামক এক জন চীনা ভদ্রলোক ও শ্যুক্ত অতুলপ্রতাপ সিংহ সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক নিযুক্ত হন । এই সমিতিতে বৰ্ম্মী, বাঙালী, গুজরাতী, পঞ্জাবী, মান্ধীজী প্রভৃতি সৰ্ব্বপ্রদেশীয় লোকই সভ্য ছিলেন । এই সমিতির অধীনে শ্ৰীমতী সুরভি সিংহ একটি স্বেচ্ছসেবিক।-বাহিনী গঠন করিয়াছিলেন, এই বাহিনীতে সকল প্রদেশের মহিলাই যোগ শ্ৰ অতুলপ্রতাপ সিংঙ্গ সম্পাদক, জবাঙ্গরলাল-অভ্যর্থনা-সমিতি, বেসিন দিয়াছিলেন । ১৩ই মে পণ্ডিতজী বসিনে উপস্থিত ইন—এ দন লাহার অভ্যর্থনার জন্ত বিচিত্ৰ শোভাযান রি আয়োজন হইয়াছিল ! শাভাযাএার পুরোভাগে নীল-সার্ট-পরিচিত বৰ্ম্মী স্বচ্ছাসেবকগণ, তৎপরে সপুজ-লুঙ্গি-পরিচিত। বৰ্ম্ম মণ্ডিলীগণ গৈরিকবাসে ভারতীয় মহিলাগণ ও :থvাসেবকগণ তাঙ্গার পরে শুভ্ৰবামে ভারতীয় স্বেচ্ছাসেবকগণ দাডাক্ট মুছিলেন । স্বেচ্ছাসেবক ও সেবিকাপ দলকে এরূপভাবে সাজান হইয়াছিল যেন উপর হইতে দেখিলে বর্ণসামঞ্জতে একখানি জাতীয় পতাকা বলিয়া মনে হয় । ধেজেটিতে পণ্ডিতজাকে লইয়। দী-প্লেন আসিবে তাঙ্গার দুই দিকে লাইন করিয়া শাভাযাত্র দাড়াইল । সাড়ে দশ ঘটিকার সময় পণ্ডিতজীর সী-প্লন দৃষ্টিগোচর হইলে তোপধ্বনি কবিয় তাহীঃ আগমনবাৰ্ত্ত বিঘোষিত হইল। শঙ্খ ও জয়-ধ্বনির মধ্যে পণ্ডিতজী ও তাহার কম্বা অবতরণ করিলে শ্রীমতী সুরভি সিংগু ও শ্রীমতী সবিতা দেবী ঠাঙ্গাদিগকে বরণ করিলেন ও শড-সো মিন শ্রড-এলচি ষ্টাঙ্গাদিগকে মালভূষিত করিলেন । তাহার পঃ শোভাযাত্র করিয়া পণ্ডিতজীকে ফায়াতে ( প্যাগোডা ) লইয়৷ অী হয়, সেইখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ র্তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করেন এবং ইংরে’ ও বৰ্ম্ম ভাষায় লিখিত মানপত্র প্রদত্ত হয় ৷ পণ্ডিতজীর সারগ " অভিভাষণের পর পুনরায় শোভাযাত্র করিয়া পণ্ডিতজীকে চে । দেউলে আনা হয়, এইখানে তিনি বিশাম করেন । বেসিনে স্বেচ্ছাসেবিকা-বাহিনী ও ভারতীয় প্রথায়ু অভ্যর্থন" পণ্ডিতজী বিশেষ প্রীত হইয়াছেন ও অভ্যর্থনা-সমিতির প্রধান উদ্যোক্ত শযুক্ত অতুলপ্রতাপ সিংহকে সেজন্য ধন্যবাদ জানাইয়াছেন