পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগষাঢ় নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর 88vరి গেন্ধে) কিছু দূরে ভুটান। লাসায় নেপালী উকীলের মত ভূটানেরও উকীল থাকে। তিব্বতী ও ভুটানী ভাষা অত্যন্ত নিকট-সম্পর্কিত ; ইহাদের ধৰ্ম্ম, ধৰ্ম্মাচরণ ও ধৰ্ম্মপুস্তক এক। ভূটান হইতে কালিম্পং, লাসার পথ ও লাসা উভয়ই নেপাল অপেক্ষা অনেক নিকটে এবং বাণিজ্যব্যাপারে নেপাল ও ভুটান দুইয়েরই অধিকার এক প্রকার। এ সকল সুবিধা সত্ত্বেও ভূটানীরা যে তিব্বতের সহিত ব্যবসায়ে নেপালীদিগের নিকট ভটিয়া গিয়াছে তাহার কারণ তাহাদের ব্যবসায়বুদ্ধির অভাব । ভুটানীদেরও প্রধান ব্যবসায়ক্ষেত্র তিব্বতে কিন্তু নেপালী ও লদার্থী মুসলমানদিগের মত দোকানপাট ইহাদের কিছুই নাই। ইহারা নিজেদের দেশের জিনিষ লাসার বাজারে আনে এবং তাহার বিনিময়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি লইয়াই দেশের পথ দেখে । ইহাদের বাণিজ্যে বিনিময়ের বস্তু প্রধানত: একদিকে আসাম ও ভুটানের এওঁী রেশম, অন্যদিকে তিব্বতী পশম ও উলের কাপড় । লfসার বাজাবে শীতের দিনে দেশ-বিদেশের লোক দেথ। যায়। উত্তরে মঙ্গোলিয়া-সাইবিরিয়া, পূৰ্ব্বে চীন ও পশ্চিমে লদাৰ্থ এবং নিজ-তিব্বতের প্রতি কোণ হইতে লোকজন ঐ সময় লাসায় আসে ৷ ভূটানীরাও এ সময় অনেকে এখানে আসে। বিশাল দেহ, স্বীপুরুষনিৰ্ব্বিশেষে মুণ্ডিত শির, দীর্ঘ চোগা ও নগ্ন পদ ( বিশেষ শীত ছাড়া )-দূর হইতেই তাঙ্গাদের জাতিত্ব নির্ণয় করিয়া দেয়। ভোটায় ভাষায় ভূটানীদিগের নাম ব্রুগ-পা (চলিত উচ্চারণে ডুগপ ) ও তাহাদের ভাষার নাম ব্রগ-স্কুল। ভূটানীরা ধৰ্ম্মে ঘোর তান্ত্রিক এবং তিব্বতী বৌদ্ধধৰ্ম্মে এক সম্প্রদায়ের নাম ডুগপা। লাসায়ু ভূটানী দূতাগার ও ফৌজ দুই-ই আছে, কিন্তু প্রজার সংখ্যা ও কাৰ্য্য-পরিমাণ অনেক কম বলিয়৷ নেপালী দূতাগারের সহিত তাহার তুলনা হয় না। 橡 蠱 聯 তিব্বতের প্রথম ঐতিহাসিব সম্রাট স্ৰোং-চন্‌-গন্ধে৷ নেপালবিজয় ও নেপালরাজ অংশুবৰ্ম্মার কন্যা তারাদেবীকে বিবাহ করার পর হইতে এই দুই প্রতিবেশী রাজ্যের পরস্পরের সহিত সম্বন্ধ ইতিহাস ও বাণিজ্যের ধারার সহিত সমানে চলিয়। আসিতেছে। সিপাহী-বিদ্রোহের কিছু পূৰ্ব্বে নেপালের মহারাজ জঙ্গ-বাহাদুর তিব্বতে যুদ্ধ অভিযান করেন। এই অভিধানের প্রারম্ভে বহু সাফল্য লাভ সত্ত্বেও চীন-সম্রাট মধ্যস্থ হওয়ায় জঙ্গ-বাহাদুরকে নিবৃত্ত হইতে হয়, তবে ইহার ফলে অন্ত বহু অধিকারের সহিত নেপাল প্রতি বৎসর ভেটম্বরূপ ৪০ হাজার টাকা তিব্বত হইতে পাইয়া থাকে। সেই সময় হইতে আজ পৰ্য্যস্ত এই দুই দেশের সম্বন্ধ মৈত্রীপূর্ণই আছে কিন্তু ১৯২৯ সালে কয়েকটি ঘটনায় ইহাদের মধ্যে এরূপ মনান্তর হয় যে যুদ্ধ প্রায় আসন্ন হষ্টয় উঠে। নেপালীদিগের বক্তব্য ছিল যে, ( ১ ) ভোটীয় অফিসর ও সেনাগণ অকারণ নেপালীদিগের উপর উৎপাত করে । উদাহরণ স্বরূপ, তাহারা বলে যে নেপালের পূৰ্ব্বপ্রাস্তের নিকটস্থ ধনকুট নামক স্থানের ভোটীয় প্রজাগণ ভোটীয় সৈনিক ও অফিসরের অত্যাচারে বিরক্ত হইয় দেশ ছাড়িয়া নেপালের সীমানার ভিতরের এক গ্রামে গিয়া বসতি করে । ইহার পর নেপাল-সরকারকে না জানাইয়া ভোটায় সৈন্তাধ্যক্ষ ও সৈনিকগণ সীমানা পার হইয়৷ ঐ গ্রাম লুট ও সেখানকার নূতন পুরাতন সকল প্রজার উপর যথেচ্ছ অত্যাচার করে ; ( ২ ) গ্যাঞ্চাতে নেপালী দূতাবাসের এক জন সিপাহীকে কোন তিব্বতী প্রজ হত্যা করে কিন্তু বহুবার বল। সত্ত্বেও ভোট-সরকার এ বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেন নাই ; (৩) তিব্বতে কারবারী নেপালী মাত্রেরই তিব্বতী স্ত্রী আছে এবং নেপালীগণ নিজ অবস্থামত তাহাদিগকে স্বর্থে-স্বচ্ছন্দে রাখে। লাসাব রাজকৰ্ম্মচারিগণ নেপালীদিগকে বিশেষ ভাবে জব্দ করার জন্য এই সকল স্ত্রীলোককে গ্রেপ্তার করাইয় তাহাদিগের দ্বারা সরকারী গৃহনিৰ্ম্মাণের জন্য পাথর বহাইয়াছে ; ( 4 ) নেপালের উত্তর অঞ্চলে বস্তু ভোটভাষা-ভাষী প্রজা আছে। তাহাদের মধ্যে অনেকে ব্যবসায়কার্য্যে তিব্বতে বাস করে । বাস্থদেশিক অধিকার হইতে তাহাদিগকে বঞ্চিত করিবার জন্য তিব্বতী কৰ্ম্মচারিগণ ক্রমাগত তাহাদিগকে তিব্বতী প্রজারূপে গণনা করেন। এইরূপ ব্যবহারের জলন্ত উদাহরণস্বরূপ লাসার শব1 গোল্পে ব্যাপারীর কথা তাহারা বলে । শব1 গ্যেল্পে ধনী ও উন্নতিশীল ব্যবসায়ী ছিল। নেপালীদিগের মতে সে নেপালের প্রজা এবং সে নিজেও ঐ ধারণায়