পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ 1. লোকের সমাগম হইত। আমাদের সতীর্ঘদিগের মধ্যে প্রী সকলেই উহা দেখিবার জন্তু অবকাশ পাইলেই চন্দননগরে জাসিত এবং আমাদের বাট কুৰ্জন সাহেবের বাটীর অদূরে ছিল বলিয়া প্রায়ই জামাদের বাটতে আসিত। উহার আমাদের বাটীতে আসিলে আমার জননী তাহাদিগকে জলযোগ না করাইয়া ছাড়িতেন না। দূরবর্তী স্থানের যে-সকল ছাত্র বেডিঙে থাকিত, তাহাদের পক্ষে প্রতি শনিবারে বাট যাওয়া ঘটিয়া উঠিত না। তাঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ “মুখ ब्रहणाहेबाज़ अग्न" भांtव मांरक्ष भाभाएमब्र वाüीt७ wषांशग्न করিত। তাহার শনিবারে স্কুলের ছুটির পর আমাদের সঙ্গে নৌকা করিয়া চন্দননগরে আলিত এবং সোমবার গ্রাতে चाशंद्रांत्रि कब्रिभा चांभांरभद्र मरकहे श्रादाद्र भूरण शाझेठ । আমার ক্ষেসকল সতীর্থ আমাদের বাড়ীতে আসিত, তাহার সকলেই আমার মাকে মা বলিয়া ডাক্ষিত, মাও তাঁহাদিগঞ্চে “তুই বলিয়া সম্বোধন করিতেন। আমার ছোট ভাই ও ভগিনীরা তাহাদিগকে “দাদা" বলিয়া ভার্কিত। ভ্ৰাতৃদ্বিতীয়ার পরের রবিবারে জামার মা তাহাদিগকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া খাওয়াইতেন। সেকালে ছাত্রসমাজে ধূমপান ছিল না বলিলে বোধ হয় জতুক্তি হয় না। আমার বয়স যখন চৌদ্ধ কি পনর বৎসর, সেই সময় জামার কোন সহপাঠীর অগ্রজকে আমি চুরুট খাইতে দেখিয়া অতিমাত্রায় বিস্থিত হইয়াছিলাম। তিনি তখন বোধ হয় কলেজে সেৰেও ইয়ারে পড়িতেন। তাহার পূৰ্ব্বে আমি কোন ছাত্রকে ধূমপান করিতে দেখি নাই। আমাদের ধারণ ছিল ষে ব.োবুদ্ধ লোকেই ধূমপান করে, ছাত্রজীবনে উহা অস্পৃশ্ব । আমাদের ছাত্রাবস্থায় সিগারেটের প্রচলন ছিল না। যাহার ধূমপান করিত, তাহার ছক কলিকার সাহায্যে সম্পূর্ণ দেশীয় ভাবেই ধূমপান করিত ; বাঙালীদের মধ্যে কদাচিং চুরুট ব্যবহৃত হইত, আমরা জানিতাম চুরুটটা সাহেবদিগেরই ব্যবহার্ষ্য। আজকাল দেখিতে পাই সিগারেট ও বিড়ি ছাত্রসমাজে পান ও চায়ের মত্ত বছল প্রচলিত হইয়াছে । আমি দেখিয়াছি সেকালে স্থলের ছাত্ৰগণের মধ্যে তাম্বুলের ব্যবহারও খুব অল্পই ছিল। পান খাইলে জিব মোটা হস্তু, ইংরেজী শঙ্কের ঠিক উচ্চারণ হয় না, বোধ হয় এই ধারণ লেকালে ছাত্রসমাজে বদ্ধমূল প্রবাসী । 為N○88 খাকাতেই স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে তাম্বুলচর্কণের প্রথা খুব অল্প ছিল । আমাদের ছাত্রাবস্থায় মফস্বলের কোথাও ফুটবল খেলা ছিল না। কলিকাতাতেও তখন বোধ হয় অতি অল্প লোকেই ফুটবলের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। সেকালে জিমন্যাক্টিকেরই প্রচলন ছিল। প্রায় প্রত্যেক বড় বড় স্থলে ছাত্রদের শরীরচর্চার জন্ত পারালাল বার, হোরাইজন্টাল বার এবং ট্রাপিজ বার ছিল । স্কুলের বাহিরে প্রায় প্রতি পাড়াতেই একটা করিয়া জিমনাষ্টিক গ্রাউণ্ড বা আখড়া ছিল, সেখানে দশ-পনর জন বালক ও যুবক বৈকালে মিলিত হইয়া জিমন্যাটিক করিত জিম্যাটিক ব্যতীত কুস্তি, লাঠিখেলা প্রভৃতির আখড়াও ছিল। ভেলগিরিগ, বা কপাটখেলা বাঙালী বালক ও যুবকগণের সর্বাপেক্ষ প্রিয় ক্রীড়া ছিল। কিন্তু সেকালে আমাদের এই জাতীয় ক্রীড়াতে প্রতিযোগিতা ছিল না। স্থানীয় বালক ও যুবকগণ আপনাদের মধ্যেই এই খেল করিত, অন্ত স্থানের ছেলেদের সহিত প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হইত না। পাচশ কি ত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে আমি দৈনিক দ্বিতবাদীতে বাংলার জাতীয় ক্রীড়া সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধ লিখিয়াছিলাম। তাঁহাতে আমি বলিয়াছিলাম যে, কি • সভ্য কি অসভ্য সকল সমাজেই কোন-লা-কোন প্রকার জাতীয় ক্রীড়া আছে। এই কপাটখেলা বাংলার জাতীয় ক্রীড়া ; অতি প্রাচীন কাল হইতে বাংলার বালক এবং যুবক সমাজে কপাট খেলার প্রচলন আছে। ঐ প্রবন্ধ প্রকাশের কিছু দিন পরে, চন্দননগর প্রবর্তক সঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রবর্তক’ নামক মাসিক কাগজের সম্পাদক, আমার স্নেহভাজন ঐযুক্ত মতিলাল রায় তাহার সত্যস্থিত বিদ্যাপীঠের ছাত্রগণের মধ্যে কপাট খেলা উন্নত প্রণালীতে প্রবর্ধিত করেন এবং ঐ খেলার কতকগুলি নিয়মকামুন প্রণয়ন করিয়া একখানি ক্ষুদ্র পুস্তিক প্রকাশ করেন ও সেই পুস্তিকার মুখবন্ধ স্বরূপ, হিতবাদ"তে প্রকাশিত আমার সেই প্রবন্ধটি উদ্ধৃত করেন। মৃতিবাবুই প্রথমে ভেলদিগ দ্বিগ, থেলার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলকে একটি নদণ্ড” বা ঢাল প্রদান করিবার ব্যবস্থা করেন। ইহার পর প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হইবার জন্য চন্দননগরের পালপাড়া,