পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

888 প্রবৃত্ত হইয়া ভোট দেশের উচ্চ কৰ্ম্মচারীর এবং পরাক্রান্ত লোকদিগের সম্বন্ধে নানা প্রকার মন্তব্য প্রকাশ করিত। ঐ সকল পরাক্রাস্ত লোক এইরূপ টীকাটিপ্পনীর বিষয় জানিতে পারিয়া অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া সুযোগের প্রতীক্ষা করিতে থাকে। কিছুদিন পরে ইহারা চক্রান্ত করিয়া দলাই লামার কাছে আবেদন করে যে, শবর্ণ গোল্লো ভোট-রাজ-সরকার সম্বন্ধে কটুকাটব্য করিয়াছে। সেই সঙ্গে উহার শর্বার জন্মস্থানবাসী কয়েকটি শক্রকে হাত করিয়া তাহাদের দিয়া বলায় যে শবর্ণ বস্তুত: ভোট-প্রজ, নেপালী নহে। ফলে শব। তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার ও ভোটামু কারাগারে আবদ্ধ হয় । লাসার নেপালী রাজদূত এ-বিষয়ে ভোট-সরকারকে বুঝাইতে অসমর্থ হওয়ায় নেপাল-সরকার স্বয়ং জানান যে শব। নেপালী প্রজ। ভোট-সরকার তাহার উত্তরে বলেন যে সে ভোট-প্রজা, সুতরাং তাহার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকার নেপাল-সরকারের নাই ! ইহাতে নেপাল-সরকার ভোট-সরকারকে শবার জন্মস্থানে % s রান্নাঘরে শ্রীলঙ্গলাল বস্তু প্রৰণসী ১৩৪৪ নিজে কৰ্ম্মচারী পাঠাইয় তাহার প্রজাস্বত্ব নিৰ্দ্ধারণ করিতে বলেন । ভোটরাজ এই অনুরোধ অবহেলা করেন এব: ইতিমধ্যে শবর্ণ প্রায় দুই বৎসর জেলে পচিতে থাকে । ১৯২৯ খ্ৰী: জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আমি লাসায় পৌছাই, সে সময় শবর্ণ জেলে বা গারদে আবদ্ধ ছিল । আগষ্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিপাহী-রক্ষিগণ অসাবধান থাকায় সে পলাইয়। নেপালী দূতাবাসে আশ্রঃ লয়। ১৪ই আগষ্ট আমি নেপালী দূতের সহিত দেখা করিতে গিয়া আঙ্গিনায় এক দীর্ঘকায় গৌরবর্ণ বলিষ্ঠ পুরুষকে ঘুরিতে দেখি, শুনিলাম সেই শবর্ণ গোল্পে। শবার পলায়নে যে-সকল ভোটরাজপুরুষ তাহার উপর অপ্রসন্ন ছিল তাহারা বিশেষ লজ্জিত ও ক্ষুণ্ণ হইয় প্রথমে তাহার রক্ষী সিপাহী ও কৰ্ম্মচারীদিগের দণ্ড দেন এবং পরে মহাগুরুত্ব ( দলাই লামার ) নিকট আবেদন-অনুরোধের চূড়ান্ত করেন । ফলে নেপাল-রাজদূতের নিকট আদেশ আসিল, “শবণকে এই মুহূৰ্বে আমাদের হস্তে সমর্পণ কর।” মণিপুরী-রমণী শ্ৰধীরেন্দ্রকৃষ্ণ দেববৰ্ম্ম৷ o,