পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8○W。 প্রবাসী N988 ইংরেজদের, যে-যে শস্য বেশী দরকার, যেমন তুলা ও গম, তাহা ইংরেজরা অন্য কোন কোন প্রদেশ হইতে যথেষ্ট জলসেচন ব্যবস্থা দ্বারা পাইয়া থাকে ; সুতরাং বঙ্গের দিকে দৃষ্টি নাই। বঙ্গের জন্য কিছু ন-করিবার একটা সোজা অজুহাত ও কৈফিয়ং আছে—সরকারী তহবিলে টাকা নাই। অথচ বাংলা দেশ হইতে বরাবর পঞ্জাব প্রভৃতি প্রদেশের চেয়ে খুব বেশী রাজস্ব আদায় হইয়া আসিতেছে, এখনও হয় । বঙ্গের রাজকোষে টাকার অভাবের কারণ, বাংলা দেশে সাগৃহীত রাজস্ব কষ্টতে ভারত-গবন্মে টের খুব বেশী পরিমাণ টাকা-প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ–টানিয়া লওয়া । বাংলা গবন্মেন্টের দারিদ্র্যের ইহাই একমাত্র, অন্তত: প্রধান, কারণ । ব্ৰহ্মদেশে টাকা এবং সীমান্ত প্রদেশে ৭৫,৮৯,০৬১ টাক খরচ হইয়াছে। মোট ব্যয় সমগ্র ব্রিটিশ ভারত ও ব্রন্ধে হইয়াছে ১০১,১৩,৯৪,৭১৭ টাকা। সমগ্র ব্রিটিশ ভারত ও ব্রহ্মদেশের এক-পঞ্চমাংশ লোক বঙ্গে বাস করে। সে হিসাবে বঙ্গে জলসেচন পূৰ্বকার্য্যের জন্য নানকল্পে কুড়ি কোটি টাকা ব্যয়িত হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু হইয়াছে এক কোটি ! কোম্পানীর আমল হইতে বঙ্গের টাকার প্রভূত অংশ ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তাবের নিমিত্ত ও অন্যান্য কার্য্যে বঙ্গের বাহিরে ভারতের অন্যত্র নিয়োজিত হইয়া আসিয়াছে। সেই জন্য বঙ্গের যথেষ্ট উন্নতি হইতে পারে নাই । উপরে যে-অঙ্কগুলি দিয়াছি, তাহা হইতে দৃষ্ট হইবে, যে, জলসেচন ব্যবস্থার জন্য সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক বায় হইয়াছে পঞ্জাবে । সম্প্রতি ৮ই জুন লাহোর হইতে প্রেরিত সংবাদে জানা গেল, ঐ প্রদেশে আরও দুটি জলসেচন-প্রণালীর ব্যবস্থার জন্তু আম্মানিক নয় কোটি টাকা গবন্মেণ্ট ব্যয় করিবেন । অন্য সকল প্রদেশের হুবিধা ও ঐশ্বৰ্য্য বাড়ক । তাতাতে বঙ্গের কোন দুঃথের কারণ নাই। কিন্তু কি অপরাধে বাংলা দেশ ব্রিটিশ গবন্মে ণ্টকে ও ইংরেঞ্জ জাতিকে খুব বেশী পরিমাণে টাকা দিয়াও তাহার বিনিময়ে উপযুক্তরূপ স্ববিধ পায় না, তাই ভাবি । २,०७,०¢,¢ - ० উত্তর-পশ্চিম বঙ্গে যাতায়াতের অসুবিধা যাত্রীর হাবড়া ষ্টেশনে রেলগাড়ীতে উঠিয়া কোথাও মা নামিয়া দিল্লী লাহোর পেশাওয়ার বোম্বাই মাম্রাজ যাইতে পারে, কিন্তু বঙ্গে কলিকাতা হইতে নিকটবর্তী কোথাও যাইতে চাহিলেও অত সহজে যাওয়া যায় না। আর্থিক দিক দিয়া—এবং অন্য দিক্ দিয়াও—বঙ্গের ও বাঙালীর উন্নতি ন হইবার ইহা একটি কারণ । আমরা যেন এই বিশাল সচল সদাচঞ্চল পৃথিবীতে পাড়াগেয়ে ও স্থাণুবৎ হইয়া আছি । আমাদের গত মাসের একটু অভিজ্ঞতা হইতে বঙ্গের কো. কোন স্থানে যাতায়াতের অস্ববিধার দৃষ্টান্ত দিতেছি । আমাদিগকে কার্ধ্যোপলক্ষে ময়মনসিংহ জেলার টাঙ্গ’ল যাইতে হইয়াছিল। সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত গেলাম রেলওয়ে ট্রেনে। সেখানে ষ্টীমাৱে উঠিয়া চারাবাড়ী ঘাট পুধ্যস্থ গেলাম জলপথে । সেখানে নামিয়া সামান্য ২৫ মিনিটে: পথ হাটিয়া আলিসাকান গামে গেলাম । বিয়াফৈর যাই পান্ধীতে । যাইতেও পারিতাম, কিন্তু বন্ধুরা ইটিতে দিলেন না । ন’মি ও পর দিন বিকাল পৰ্য্যস্ত বিপ্নাফৈরে থাকিয় মেধ:- ইঃ :ে মোটর বাসে টাঙ্গাইল রওনা হঠলাম। যানটির চেষ্টা " বর্ণনা করিব না । (Hoff t অনু সকলের মত কঁাড়ি চালক আমাদের অধিকাংশ মাল লইলে• না । তাহ দ্বিতীয় থেণে বাকী যাীেদের সঙ্গে গিয়াfচল । শুনিলাম, বিয়াফৈব হইতে টাঙ্গাইল ৪ মাইল দূরবর্তী-ঠিক কত দূর জানি না । রাস্ত ভাল হইলে ইহা ১০।১৫ মিনিটে যাওয়া যায়, কিন্তু বোধ হয় ঘণ্ট দুই লাগিয়াfছল । সার্চ রাস্তা। মধ্যে মধ্যে কাদায় গাড়ীর চাকার কতকটা ডুবিয় যাইতেছিল। কখন কখন গাড়া এরূপ ক’ত হইতেছিল যে মনে হইতেছিল এবার বুঝি গাড়ী উণ্টিয়া যায়। তিন জায়গায় বঁাশের সেতু প্রায় ভাঙিয়া যাওয়ায় আমাদিগকে নামিয়া পদব্রজে তাহ অতিক্রম করিতে হইল। একটা জায়গায় সাকোর বঁাশ এত নামিয়া গিয়াছে যে গাড়ী কেমন করিয়া পার হইল জানি না । ইহার পর একটা নদী পার হইতে হইল ইটিয়া ; যেখানে পার হইলাম নদীতে সেখানে এক ফোটাও জল ছিল না। গাড়ী কেবল চালক ও তাহার সহকারীকে লইয়া পার হইল। টাঙ্গাইল হইতে ফিরিবার সময় শুনিলাম, বিয়াফৈ