পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণষাচ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হইয়া গিয়াছে । যদি আপিস আদালতের এবং স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজার ছুটির সময় ঢাকায় ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশন কর হয়, তাহা হইলে কোন কোন বাধা অতিক্রাস্ত হইতে পারে বটে ; কিন্তু যখন আর সবাই ছুটি ভোগ করিবে, তখন মন্ত্রীদিগকে, ব্যবস্থাপক সভার সভাপতি ও সদস্তদিগকে এবং ব্যবস্থাপক সভা-সম্পর্কিত সরকারী কৰ্ম্মচারীfদগকে পরিশ্রম করিতে বলা চলিবে কি ? রাজবন্দীদের মুক্তির প্রশ্ন ব্ৰহ্মদেশের ইতিহাসে যে একটা নূতন অধ্যায় আরম্ভ ইঠয়াছে, তা তথাকার লোকেরা মন ও ভাল দুই দিক দিয়া বুঝিতে পারিতেছে । মন্দ দিক, ভারতবর্ষের সহিত যোগরক্ষা কঠিনতর করা হইয়াছে -যেমন রাষ্ট্রয় ভাবে ব্ৰহ্মকে ভারতবর্ষ হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া, উভয় দেশের মধ্যে ডাকমাশুল বুদ্ধি করিয়া, ত্রহ্মের ভাষ; মা জানিলে তথাকার fবশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় ছাত্রীদের অধ্যয়ন অসাধা করিয়ু, ইত্যাদি। ভালব দিক দিয়া নুতন অধ্যায় আরম্ভ করা হইয়াছে, দমননীতি স্থগিত ও কতকট বর্জন করিয়া । ব্ৰহ্মদেশের কতকগুলি ছাপাখানা ও সংবাদপত্রের জমানং তাহাদিগকে ফেরত দেওয়া হইয়াছে । বেআইনী বলিয়া ঘোষিত এক শত সভাসমিতির বিরুদ্ধে ঘোষণা প্রত্যাহৃত হইয়াছে । দুই শত পচাত্তর জন রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হইয়াছে। তাহাদের মধ্যে ২৭০ জন, ব্রিটিশ গবন্মে ন্টের বিরুদ্ধে ব্রহ্মে যে দীর্ঘকালব্যাপী বিদ্রোহ ও যুদ্ধ হইয়াছিল, তাহাতে ধুত হইয়া বিচারাস্তে কারারুদ্ধ হইয়াছিল । অঙ্ক পাচ জনও বিচারাস্তে জেলে প্রেরিত হইয়াছিল । সম্প্রতি ব্ৰহ্মদেশের গবন্মে ণ্ট আওামান দ্বীপে বন্দী আরও ৪৫ জনকে মুক্তি দিতে সঙ্কল্প কবিয়াছেনট ভারতবর্ষে, বঙ্গে, যত রাজবন্দী আছে, তাহাঙ্গের অধিকাংশ বিনাবিচারে স্বাধীনতায় বঞ্চিত হইয়া আছে। যে-সব রাজবন্দী বিচারাস্তে কারারুদ্ধ হইয়াছিল, তাহারা বিবিধ প্রসঙ্গ—রাজবন্দীদের মুক্তির প্রশ্ন g399 ব্রহ্মদেশের বিদ্রোহীদের মত গবন্মে ন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নাই—ভারতবর্ষে সেরূপ কোন বিদ্রো ও যুদ্ধ অধুনা হয় নাই । অতএব, ভারতবর্ষে রাজনৈতিক বন্দ:দিগকে মুক্তি দেওয়া ব্ৰহ্মদেশের তদ্রুপ বন্দীদিগকে মুক্তি দেওয়া অপেক্ষ কঠিনতর কাজ নয় । রাজবন্দীদিগকে অস্তত: কতকগুলিকে, মুক্তি fদবার কল্পনা জল্পনা আলোচনা চলিতেছে। বঙ্গের মন্ত্রীদের কাঙ্গরও এদিকে আগ্রহ নাই বা দৃষ্টি নাই, নিশ্চয় করিয়া এরূপ বলিতে পারি না, এরূপ অল্পমান করাও সহজ নহে । কিন্তু তাছাদের আগ্রহ বা দুষ্ট যে আছে, কেবল গুজব দ্বারা তাহ প্রমাণিত হইবে না। কাজে কিছু হইলে প্রমাণ পাওয়া যাইবে । মুক্তি সকলকেই দেওয়া উচিত এবং যাহাদিগকে বিনাবিচারে বন্দী করিয়া রাখিয়া সকল দিক দিয়া পঙ্গু ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হইয়াছে, তাহাদিগকে ২৩ বৎসর ভাত দিয়া উপার্জক হইবার সুযোগ দেওয়া উচিত । ইহা নুন্যতম ক্ষতিপূরণ । একটু কোথাও কিছু বেআইনী কাজ হইলেই আবার মুক্তিপ্রাপ্ত লোকদের মধ্যে কাহাকেও কাহাকেও বা অনেককে বিনাবিচারে কারারুদ্ধ করিবার কুনতি ও কুরীতি বর্জন করিতে হইবে । বঙ্গে বস্তুত: বিনাবিচারে স্বাধীনতা হরণের কুনীতি বর্জিত না হইলে দেশের উন্নতি হই রাজবন্দীদিগকে মুক্তি নেওয়া মন্ত্রীদের পক্ষে সোজা কাজ, ইহা আমরা মনে করি না, বলি না । টিকটিকিবিভাগের কর্কার। ইহাতে সহজে সম্মত হইবেন না, জেলার শাসককর্তাব ও পুলিসও সহজে রাজী হইবেন না। রাজবন্দীদিগকে খালাস দেওয়া হইলে বঙ্গে এমন কিছু কিছু ঘটনা ঘটাইবার লোকের অভাব না থাকিতে পারে ষেরূপ ঘটনা দ্বার মন্ত্রীদিগকে বেকুব বনিতে হইতে পারে । এই লোকগুলা স্বয়ং সম্লাসক ন হইতে পারে । এই সমস্ত বিবেচনা কfরয়াও মন্ত্রীদিগকে সাহসে ভর দিয়া শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনৈতিক পথের পথিক হইতে হইবে। সন্ত্রাসনের উচ্ছেদ অবশ্নই করিতে হইবে । কিন্তু বঙ্গে প্রচলিত দমননীতিও বজ্জনীয় } ৰজীয় ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সংঘ ( Bengal Civii Liberties Union ) বিনাবিচারে বনীকুত পুরুষ ও নারীদের ও তাহাজের আত্মীয়স্বজনদের দুঃখদুৰ্দ্দশ৷ সৰ্ব্ব sij !