পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰেণৰণ জলমিশ্রিত খণটি দুগ্ধ &b-♔ উপর রাখিলেন। হিসাবে গাঙ্গুলীর ভূল হয় নাই, সমস্ত মিলাইয়া পুরাপুরি দশটি টাকাই কম হইল। গাঙ্গুলী সেই যে ই করিয়া মাথায় হাত দিয়া বসিলেন, পোষ্ট আপিসের বাতি না নিবানো পর্য্যস্ত রাম গঙ্গা কিছুই বলিলেন না। বাতি নিবাইয়া তাহাকে ডাকিবামাত্র প্রচণ্ড এক দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া ভগ্নকণ্ঠে বলিলেন, “কি হবে, ভায় ?” বললাম, “ক্যাশ পূরণ করে রাগতেই হবে—যেমন ক’রে হোক ৷” গাঙ্গুলী হতাশার ভঙ্গী করিয়া বলিলেন, “তাই ত । এই রাত্তিরে কার কাছে হাত পাতি বল ? এক-আধট। নয়, দশ-দশটা টাকা ।” পরের উপকার করিতে গিয়া ভদ্রলোকের এই দুৰ্গতি । ঘাটতির কথা জানাষ্টয় নিজেরই আমার লজ্জায় মাথ! কাট৷ গেল। এমন উপকারী বন্ধু, ন বলিতে তেপান্তরের মাঠে যিনি গরুর গাড়ী পাঠাহয়া দিয়াছেন, পাছে কোন অস্থবিধায় পড়ি এই জষ্ঠ ঘরদুয়ার সাফ করাইয়া, ঝির ব্যবস্থা করিয়', গধুলা ডাকাইয়ু, আনাজপাতি চাল-ডাল কাঠকুট কিনিয়া আত্মীয়ের অধিক পরিশ্রম করিয়াছেন,—সামান্ত কয়ট টাকার কথা তাহাকে না জানাইলেই মঙ্গুষ্যোচিত কাজ इ३उ । তাহার হাত ধরিয়ু বলিলাম, “আপনি কিছু ভাববেন -ll, आभाd *it५ धा श्रांtछ् निt६ घाफैख् िभूब्रिtध ब्राशयপরে ও-ভদ্রলোকের কাছ থেকে চেয়ে নিলেই হবে । আমাদের কাজের গলfভতে আপনি কেন 'সাফার' করবেন ?” গাঙ্গুল মাথা মাড়িয়া বলিলেন, “ণ, ন, দোষ ত আমারষ্ট । না জেনে সব কাজে যেমন এগিয়ে যাই, তেমনি ফল ৪ ফলে হাতে হাতে । অথচ লোকসান হবে জেনেও কারু দুঃখ-কষ্ট দেখলে মনটা আমার বোঝে কই ? যাই হোক ভাষা, আজ তুমি দাও, যেমন ক'রে পারি ও-টাকা আমি শুধুবই। রোগ লোককে চিঠি লিখে এ-বিষয় না জানানোই ভাল !" “আপনি কেন দেবেন ?” তিনি খপ, করিয়া আমার হাত ধরিয়া বলিলেন, "ধৰ্ম্মতঃ এ দাম আমারই । না জেনে আগুনে হাত দিলে হাত কি পোড়ে না, ভায় ? পোড়ে । তেমনি না বুঝে লোকসান যদি ক’রে থাকি, সে দায় আমার । খবরদার কথাটি কয়ো না । এই পৈতে ছুয়ে বলছি,—এ দায় আমার, অামার, অামার। এ লোকসান আমাকেই পোষাতে হবে, না হ'লে ধৰ্ম্মের কাছে আমি খাটো হয়ে যাব যে ভাই । তবে দু-দিন দেরি হতে পারে ।” পরার্থে অমানবদনে ক্ষতি স্বীকার করিয়া এক মূহূর্বে গাঙ্গুলী আমার কাছে দেবত হইয়া গেলেন । হঠাৎ তাঙ্গর পায়ে হাত দিতেই তিনি আমাকে বুকে জড়াইয়া ধরিয়া গদগদ কণ্ঠে মৃদু ভৎসনা করিয়া কহিলেন, “পাগল !" 穆 彎 事 পরের দিন গাঙ্গুলীবাড়ী হইতে বড় একটা বারকোশে করিয়া যে সিধা আসিল ভাহা আমাদের ক্ষুদ্র সংসারের চার দিনের খোরাক, এবং তার পর উপযুপিরি কয় দিনই গাছের লাউ, কুমড়ার ভাট, পুইশাক, পুকুরের মাছ, গরুর দুধ, এমন কি এক দিন মাংসও আসিয়ু হাজির । আপত্তি বুথ । গাঙ্গুলী মৃদু ভৎসনা করিয়া বলিতেন, “কি বলব, আমার যদি একটা ছোট ভাই থাকত ত এমন আপত্তি করত না : আপত্তি করলেই মনে হয়, যাকে আপন করতে চাই— সে দূরে সরে দাড়ায় ।” কথtশেষে দুটি চোথ তাহার অশ্রাভারাক্রাপ্ত হইয়া উঠিত, কোচাব ধুটে চোখ সকিয়া তিনি খানিক চুপ কবিয়ু থাকিতেন । ইহার পর যাহার এতটুকু হৃদয় আছে সে কি অবাচিত উপঢৌকনে কোন আপত্তি তুলিতে পারে ? গ্রামের অধিকাংশই চাষাভূষা—লোকগুলি সরল। খাম-পোষ্টকার্ড কিনিতে আসিয়া বা মনিঅৰ্ডার ও পাশ্বেল করিতে আসিয়া তাহাজের গ্রাম্যস্থলভ কথাবার্তায় বড়ই আমোদ উপভোগ করিতাম । এক দিন বিপিনের জন্বখ হওয়াতে নিজেই খাম-পোষ্টকার্ডের বাষ্ম লইয়া বসিয়াছিলাম। আধৰুড়ে-গোছের একটি লোক একটা টাকা ফেলিয়া দুখানি পোটকার্ড চাহিল । পোষ্টকার্ড ও পয়সা ক্ষেরত দিতেই লোকটা সিকি হুয়ানি