পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রণৰণ দু-তিন দিনের মধ্যে গাঙ্গুলী কিন্তু আসিলেন না। শুনিলাম, তিনি বড়ই ব্যস্ত আছেন। আবার কোথায় মাসব্যাপী স্বদেশী মেলা বলিৰে—সেখানে ভাল জিনিষ পাঠাইবার জাম্বোজনে মাতিয়াছেন। বিপিনই খবরটা দিল, “গুনেছেন বাৰু, গাঙ্গুলী যে আবার মেলায় চলল। আজ দেখে এলাম চাষাবাড়ী ঘুরে ঘুরে টাকা আদায় করছে।” “টাকা আদায় কেন ? অনেক টাকা ।” “উনি বলছে সে-টাকা জমা থাক, এবারেও চাদা চাই। খরচ-খরচা বাদ দিয়ে যা ধাকবে দুই টাকা মিলিয়ে গায়ে একটা মন্দির পিতিষ্ঠে ক’রে দেবেন। পুণি কাজে গাঙ্গুলী খুষ ওস্তাদ কি না।” “মেলায় জিনিষ নিয়ে গেলে চাবাদের কি লাভ হয়, বিপিন ?” “লাভ কচু । র্তার কাছে ত জমা আছে অনেক সায়েব-বিবি আসে, জজব্যালিষ্টর, বাৰু, ম-ঠাকুরুণ। হাত দিয়ে জিনিষ টিপে দেখে কত মুথ্যেত করে । কেউ মেডেল দেয়, কেউ কাগজে থানিক লিখে দেয়। গাঙ্গুলীর বাকৃসে এত জমা আছে ; কাগজ আর মেডেল । মান্ড ওইটুকু " হঠাৎ জিজ্ঞাসা করিলাম, “তোমার গাঙ্গুলী কেমন লোক, বিপিন ?” বিপিন চিঠির তাড়ায় ঘটাঘট শক্ষা করিয়৷ ষ্ট্যাম্প দিতে লাগিল—উত্তর দিল না । “বল না, বিপিন ?” “কি বলব, বাবু, আপনি কি জান না ? দিনরাত্তির মেশামেশি, হাসি-গল্প, তামাক টানা-" হাসিয়া বলিলাম, “তাহ'লেও আমি বাইরের লোক, তোরা এ-গায়ের বাসিদে--” বিপিন রাগ করিয়াই উত্তর দিল, “বাইরের লোকের অত খবরেই বা দরকার কি বাপু ।” তাহাকে আর একটু রাগাইবার জন্তই বলিলাম, "আমার ত মনে হয় খুব ভাল লোক। এত ভাল ধে বোৰু। বললেই হয় । তিন পয়সার পোষ্টকার্ডধান দু-পয়সায় বেচেছেন।” জলমিশ্রিত খাটি দুগ্ধ هم برا8 বিপিন ঈষৎ উচ্চৰুণ্ঠে রাগ প্রকাশ করিল, “জৰে আর কি, কোম্পানীর ক্ষেতি ক’রে ভারি আমার ভাল রে ! কই নিজের ত এক পয়সা স্বল্প ছাড়তে দেখি নে ! বলে— 寧州帶 譬平 事演1軍四 এক পোণ দিয়ে তিন পোপ নেয় । আমাদের উনিও ভাই ।” “বলিস কিরে, গাঙ্গুলী টাকা ধার দেয় ?” “ন, তা দেবে কেনে, দান-খয়রাত করে । মুখে দিনরাত ধান শুকোয় বলে কি-না, থাক বাৰু—তুমিই আবার তামাক টানতে টানতে কখন বলবে ওই কথা, আর আমার প্রাণ স্বাক ৷” শত চেষ্টায়ও বিপিন আর মুখ খুলিল না। গাঙ্গুলীর স্বরূপ কিছু কিছু বুঝিয়াছি, কিন্তু তিনি ষে অতখানি ইহা ত স্বপ্নেও ভাবিতে পারি নাই, অথবা এই মুহূর্ভে তাহাকে মন্দ ভাবিয়াই বা করিতেছি কি ? তাহার সঙ্গে কথা কহিবার জন্য মনের মধ্যে যথেষ্ট ব্যাকুলত রহিয়াছে । নিঃসঙ্গ জীবন মানুষের পক্ষে অসহ । যেখানে চৈত্রের দুপুরে পুকুর শুকাইয়া পাকে পরিণত হইয়াছে, তৃষ্ণা দূর করিবার অস্তু উপায় না থাকিলে পেকে!-জলই পরম রমণীয় জ্ঞানে পান করা ছাড়া গত্যন্তর কি ! 鞭 豪 參 পমর দিন কাটিল, এক মাসও কাটিল–গাঙ্গুলী আসিলেন না । অবশেষে এক দিন বদলির পরোয়ানা আসিল । আর এক বার গাঙ্গুলীর সন্ধানে চলিলাম। পথেই দেখা । হাসি ও কুশল-প্রশ্নের পাল সাজ করিয়া কহিলাম, “একখানা গরুর গাড়ী ষে ঠিক ক'রে দিতে হবে, দাদা ? কালই রওনা হচ্ছি ।” গাজুলীব মুখে চোখে উল্লাসের চিহ্ন স্বপরিস্ফুট হইয়া উঠিল। এক গাল হাসিয়া বলিলেন, “ক-দিনের ছুটি মিলল ?”

  • ছুটি নয়, একেবারে রওনী—মানে বদলি ।”

মুহূর্বে র্তাহার মুখের ভাব বদলাইম্বা গেল। মানহাতে কহিলেন, "মাস-দুই এমন ব্যস্ত ছিলাম, তোমাদের খোজ निtउ शांद्रि मि, sाझे । चाश, क७ कडेशे न श्रझरइ !--