পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X লীলার স্বামী হ্যাসিট্যান্ট-সার্জন, বড় বড় শহরে বদলি হন। পাড়াগায়ে পৈত্রিক বাড়ীর সহিত সম্বন্ধ প্রায় নাই বলিলেও চলে । গ্ৰীও থাকেন স্বামীর চাকরির জায়গায় । অনেক দিন পরে দেশের বাড়ীতে আসিয়াছেন, বড়দাদার ছেলের অন্নপ্রাশন উপলক্ষে । লীলার এখানে চমৎকার লাগিতেছে। তাহার গভীর ভাবুক প্রকৃতি পল্লীর শ্বিন্ধ শাস্ত আবহাওয়ার সহিত ভারি চমৎকার খাপ খাইয়াছে। এখানে পরনিন্দ আছে, কোন্দল আছে, অধথা লোকের গায়ে পড়িয়া ঝগড়া আছে, কিন্তু লীলার বিশ্লেষণশীল মন এ সকলের মাঝেই নিজেকে জড়াইয়া না ফেলিয়া বিচার করিয়া দেখিতে পারে । দর্শকের মত জীবনপ্রবাহের অভিমন্ধে লিপ্ত না হইয়াও তাহার শ্রোতের গতিবিধি বিচ্ছিন্ন হইয়া উপভোগ করিবার দুলভ ক্ষমতা তাহার ছিল । সকালবেলায় চায়ের বাসন স্বমুখে লইয়া বড়ৰেী চা তৈয়ারী করিতেছেন, আশেপাশে অনেকেই সমবেত হইয়াছেন। লীলা এ-বাড়ীর মেজবোঁ । চায়ের পেয়ালাগুলি সে জল দিয়া ধুইয়া পরিষ্কার করিম সামনে জাগাই। দিতেছিল। বড়বেী কহিলেন, “আহা থাক না মেজবোঁ । তুমি দু-দিনের জন্ম এসেছ, তোমার দিবারাত্র এত পরিশ্রম করবার কি দরকার ? ঐ ত এত লোক রয়েছে। দে না নীলু। চায়ের বাসনগুলো সব ঠিকঠাক ক’রে ” নীলু ওরফে নীলিমা এ-বাড়ীর একটি বিধৰ অল্পবয়সী श्रार्कौधा । cन उप्लेइ श्ञा गौणांग्र शरडद्र रुख कांफ़िग़ा লইবার উপক্রম করিতেই লীলা মুহূমধুর হাসিয়া কহিল, "-দিনের জন্তে আসি নি ডাক্ট বড়দি, আমি যে মনে করেছি গরম কালটা এখানেই কাটিয়ে বর্ষার গোড়ার দিকে ফিরে বাষ । ধান উনি একাই ফিরে । পশ্চিমের সেই গরমের কল্পনাও তোমরা করতে পারবে না বড়দি।” 8 -سعه লীলা একে বড় চাকুর্যে কৃতী স্বামীর স্ত্রী, তদুপরি বহু দৃর পশ্চিম প্রবালে থাকে। তাই তাহার সম্বন্ধে সন্ত্রম এবং নানা প্রকার অলৌকিক গুজব সত্যকে বহুদূরে ফেলিয়া রাখিয়া গিয়াছিল । অসীম-বড় ৰুড়"চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া কহিল, "জাঙ্গা মেজ কাকীম, তুমি কি এখানে থাকতে পারবে ?" "কেন পারব না রে ?” কেন স্বে পারিবে না সে বিষয়ে অসীম কোনই সস্তুত্তর দিতে পারিল না। কিন্তু লীলার চূর্ণকুম্ভল স্বেয়সিক্ত হইয়া কপোলের উপর পড়িয়া আছে, তাহার গলার সরু এক টুকরা চেনহার এবং হাস্তবিজ্ঞাসিত মুখখানি—এ সমস্ত লইয়া তাহাকে ধেন আশেপাশে সকলের হইতে বড় হুদূর বলিয়া মনে হয়। এই গায়ে এই পচ খাওলাধরা পুকুর এই দলাদলির হিংস্র আবহাওয়ায় তাহাকে মানায় না। অসীমার মা অবাক স্বরে কছিলেন, “শোন, মেয়ের কথা শোন একবার ! নিজের শ্বশুরের ভিটে, এখানে থাকতে পারবে না কেন শুনি ? হ’লই বা চাক্‌রে-বাকরে বড়লোক, নিজের ঘর বলতে তো এই।" ক্রমে চায়ের পর্ক চুকিয় জামিল, কেবল ছেলের জল তখনও এক-একটা গেলাস বা বাটি হাতে লইয়া কক্ষণ স্বরে আবেদন জানাইতেছিল, “আমি আর একটু চা নেব বড়মা, আমাকে আর অল্প দাও কাকীমা।:--” অতি অল্প বয়স হইতে চা খাইলে লিভার খারাপ হস্থ এই কথাটা নানা প্রকারে ছেলেম্বের বুৰাইতে বুঝাইতে লীলা বেশী দুধ দিয়া পাতলা চাঢালিয়া দিত্তেছিল। বিধবা খুড়শাগুঞ্জী দোক্ত দিয়া পান সাজিতে বসিয়াছিলেন। মূকুষিার স্বরে কৰিলেন, “ই্যা, মেজবেীমা, তুমিও যেমন বাছা। এই হাংলা ছেলেগুলোকে আবার তত্ত্বকথা বোঝাতে এলে । ওরা ত সব কথাই বুঝতে পারছে তোমার, জার সব গুনে বসে আছে -“যা যা তোরা সব .عطع دستستهاست. مگسس------------------ه