পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Af{gc| কলে-দেখণ qతిళ “জ্ঞাপনার মেয়ে ? কি নাম তার ?”—লীলা প্রশ্ন করিল। “বিমলা। তুমি বোধ হয় চেন না। কিন্তু নাম গুনলেই বুঝতে পারবে।”– বিমলার মা একটুখানি হাসিয়া জাবার বলিলেন, “অন্ততঃ বুঝতে পারবার কথাই ত বটে। মুখে মুখে ধা আলোচনা চলেছে।" লীলা এতক্ষণে বুলি-ত পারিল, এই সেই বিমলা যাহার কথা লইয়া সকালবেলায় এত আলোচনার ঢেউ বহিয়া গেল । মৃদু হাসিয়া সে বলিল, “बोभि যেটুকু জানি নিশ্চয় শেখাব দিদি । আমি তো দু-মাস এখন এখানেই রইলাম । তাকে আসতে বলবেন ।" বিমলার মা আর কোন কথা বলিল না। কিন্তু তাহার শীর্ণ মুখের উপর একটি কৃতজ্ঞতা এবং নি:শব প্রীতির ছায় ভসি গেল । তখন আংfত আরম্ভ হইয়া গিয়াছে, জার কোন কথাবাৰ্ত্তার অবসর হইল না। তথাপি লীলা যেন কেমন করিয়! বুঝিতে পারিল এই স্বল্পভাষিণী সাধারণ মেয়েটির মধ্যে অসামান্তত কিছু আছে, যাহাতে তাহাকে অদূরে সমাগতা ঐ সব মহিলামগুলীর সহিত এক করিয়া দেখা যায় না কিছুতেই । পরের দিন খাওয়া-দাওয়ার পর লীলা নিঞ্জের ঘরে বসিয়া রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ হইতে “রাসমণির ছেলে" গল্পটি বাহির করিষ্টা পড়িতেছিল, এমন সময় ছুম্বারের কাছে একট। ছায়া পড়িল । সে বাহির হইয়া আসিয়া ডাকিলে বিমলা ঘরে ঢুকিল । বয়স তাহার পনর-বোলৱ বেশী কিছুতেই হইবে না। চমৎকার স্থই দেখিতে । আর সবচেয়ে লীলার ভাল লাগিল চোখে মুখে একটি তীক্ষ বুদ্ধির আড়া, যে-বস্তুটা এখানে এত মেয়ের সহিত আলাপ হইয়াছে কাহারও মধ্যে সে লক্ষ্য করে নাই । সকলেরই মধ্যে প্রাণহীন একটা জড়ডার ভাব । এই জড়ত্বের স্কুল অবলেপ অনেক সুন্দরী মেয়েকেও আকর্ষণীয় করিয়া তুলিতে পারে নাই । বিমলার বেলায় কিন্তু ঠিক ইহার বিপরীত। সে মুন্দরী খুব নয়, ৰিঙ তাহার জোড়া ভূক্ষতে, ঘনকালো তাঙ্ক চোখের দৃষ্টিতে অত্যন্ত সপ্রতিভ বুদ্ধির একটা রশ্মি ৰিজুরিত। লীলার সন্মুখস্থ বইটি লষ্টয়া নাড়াচাড়া করিতে করিতে সে মৃদ্ধশ্বরে কছিল, “রাসমণির ছেলে গল্পটা আমি যে কতবার পড়েছি। এণ্ড জঙ্গি "ן ויtזוס লীলা বিস্থিত হইয়া কহিল, “তুমি এ সব বই পড় r दनिम्न ८कलिब्राझे किरू ८न जडिबड झर्देल । भरन इद्देल, হয়ত বিমল মনে করিতে পারে জগতের ভাল বই একমাত্র সে ছাড়া আর কেহই উপভোগ করিতে পারে না । কিণ্ড বস্তুত সেরূপ মনোভাব লইয়া সে জিজ্ঞাসা করে নাই । এখানে মেয়েদের মূখে অহরহ যে ধরণের আলোচনা ও পরফুৎসার প্রবণতা লক্ষ্য করিয়াছে তাহাতে অবাক হইয়া মাঝে মাঝে সে ভাবিয়াছে, ইহারা কখনও কি তারার আলোর দিকে তাকায় না ? বিমলা নতমুখে কহিল, “আমার মা যে খুব ভাল লেখাপড়া জানেন । তিনিই অনেক যত্নে জামাদের শিখিয়েছেন।" “সে আমি তার সঙ্গে অল্প একটুক্ষণ কথাবার্তা বলেষ্ট বুঝতে পেরেছিলুম "–লীলা সেলাইন্ধের কলের চাবিটা খুলিতে খুলিতে বলিল । সেদিন দুপুরবেলায় অনেকক্ষণ ধরিয়া একত্রে সেলাই করিতে করিতে বিমলার সঙ্গে লীলার অনেক কথাই হইল । এই শাস্তু সপ্রতিভ অমূঢ়া মেয়েটির মধ্যে একটা তেজ এবং প্রবল আত্মাভিমান রহিয়াছে, অথচ যেখানে সত্যকার সহানুভূতি থাকে মানুষ অজ্ঞাতসারেই সেখানে ফন্থের দ্বার খুলিয়া দেয়। তাই বিমলা নিজেকে যথাসম্ভব চাপিয়া রাখিয়াও কখন এক সময় লীলাকে বলিতেছিল, “দেখুন, জামার নিজের কথা বাদ দিম, আমার অনেক বয়স অবধি বিয়ে হচ্ছে না ব'লে লোকে স্ব তা বলছে, তাতে আমার এক ধিন্দুও আসে যায় না। কিন্তু এই সব নির্ণয় সমালোচনাস্থ জামার মাকে ব্যখা পেতে হয় ।” একটু পরে বিদায় লইয়। চলিয়া গেল । নম্ৰমুরে কহিল, “আপনার কাছে কয়েকট ছাটকাট শিখে নেব । কিন্তু তার জন্তে মাঝে মাঝে এলেই হবে । রোজ যদি আসি আপনারও বোধ হয় অসুবিধে হবে ।” “ন অৰুবিধে কিছুই হবে না। তুমি রোজই এস । ...আমি সারা স্থপুর একা থাকি। উনি তো নিজের কাজের জায়গায় ফিরে গেছেন। আমারই বরঞ্চ সময় কাটে না "