পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাসা-বদল শ্রীবিজয় গুপ্ত কলকাতার ভাড়াবাড়া। আজ এথানে কাল ওখানে, যেন ঘূর্ণ ঝড়ে শুকনো পাতা। এ বাঘাবর-বৃত্তির শেষ নেই। এর মধ্যে নূতনত্ব আছে, কিন্তু সোমাপ্তি নেই। মাহনে কমে গেছে, চৌদ্ধ টাকা ভাড়া দিয়ে আর পোষায় না । কট রোববার খুজে খুঁজে একটা বাড়ী বার করেছি,— বাড়ী নয়, বাড়ীওয়ালার অপ্রয়োজনীয় একটা ছোট ঘর, তারই কোণের একটা সঙ্কীর্ণ বারানায়ু দরম-দিয়ে-ঘেরা রান্নাঘর । গরিবদের জন্তে কলকাতার ভাড়াবাড়ীর কি বিচিত্র কৌশল ! বাড়ীওয়াল ভাড়া দিতে চান নি, যেতেই বললেন, “দেখুন, আমি ঝঞ্ঝাট পছন্দ করি নে, একটি নিঝৰ্থটি ভাড়াটে খুঁজছি । ভাড়া যে দিতেই হবে এমন কোন কথা নেই, তবে ঝঞ্ঝাট আমি সহ করতে পারি নে ' বললাম, ‘ঝঋটি আমার নেই, আমরা দুটি মাতুষ । বাড়ীওয়ালা একটুচুপ করে থেকে বললেন, ‘তাহলে মন নয়—এর আগে একজনদের ভাড়া রেখেছিলাম, তারা রাবণের গুষ্টি—এ একটা ধরে বস্তার মত গাদাগাদি ক’রে থাকৃত, আর ছেলেগুলে। যেমন গোলমাল করত তেমনি পাঞ্জী । ৬ বেশ আসবেন, কিন্তু খরগুলো তারা যাবার পর থেকে অপরিস্কারই প'ড়ে আছে, উপস্থিত আসতে পারেন, তবে একটু পরিষ্কার—’ বাধা দিয়ে বললাম, 'দেখুন, ও আমরা ক'রে নেব, কাল রবিবার আছে, ন! এলে আবার এক মাস ভাড়া গুনতে হবে ।” বাড়ী ঠিক হয়ে গেল, শুনলাম এর আগে যারা ছিল তারা দিন-পনর হ’ল, বাংলা মাস বাবারেই চলে গেছে । আজ শনিবার, আপিস-ফেরত বেরিয়ে একটা মস্তুবড় প্রয়োজনীয় কাজ সারা হ'ল। •••বাড়ীটায় অনেক দিন ছিলাম । কালঙ্ক ও-বাড়ীর সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকে যাবে। এত দিনের পরিচয়, এত্ত দিনের ه الإسلسحمد c يي ঘনিষ্ঠতা সব শেষ ক'রে দিয়ে আসতে হবে । আমার যত না কষ্ট হোক, কাঞ্চনের তার চেয়ে বেশী হবে । আমার যদি কষ্ট হয় ত সে পান্নালালের জন্ত । পাঞ্জালাল বাড়ীওয়ালার একমাত্র ভাইপো । পাল্লালাল নেশাভাং করে কিন্তু তার মনটি চমৎকার । সেবার কাঞ্চনের অনুধটা খুব বাড়াৰাড়ি হ'ল। মাসকাবারের কাছাকাছি, মুখ শুকনো করে সামনের দালানটিতে ব'লে ভাবছি—তাই ত কি করা যায়। দেখি পারালাল গিলে-কর আদ্ধির পাঞ্জাবী পরে বাৰু সেঙ্গে বেরুচ্ছে। জামায় দেখে বলে উঠল, “কি গো রাজুদ্ধ, অমন মুখ-শুকনে কেন ? হাসতে কি তোমরা জান না 7, বললাম, ভগবান কি পৃথিবীতে হাসবার জন্ত পাঠিয়েছেন ? "কেন কি হ’ল ?—পাল্লালাল একটা হাঙ্কা হাসি হসিল । বললাম, 'চার দিন হ’ল ওর জর হয়েছে, কিছুতেই সারছে না, বোধ হয় বেঁকে দাড়াবে। মাসকাবারের মূখ, একটি পয়সা হাতে নেই। দেবে পাচটা টাকা ? গলার স্বরটা ধেন নিজের কাছেই করুণ শোনাল । পায়ালাল আবার খানিকট হাসল, বললে, “জ্ঞা দিতে হবে বইকি, নিশ্চয়ই। কিন্তু মাইরি বলছি, রোজ রোজ ধেনে খেয়ে খেয়ে কেমন মুখ মেরে গেছে, ভেবেছিলাম জাজ একটা বিলিত খাব—তা না হয় নাই হবে, কিন্তু মাইরি ভাহ, এই দেখ তোমায়ু পাচ টাকা দিলে আমার ধেনোর দামটাও থাকে না ।” পাল্লাগাল পকেট থেকে বার ক'রে দেখাল । "দেখ রাজুদ, এই চারটে টাঙ্ক নাও ভাই, কাল বরঞ্চ ধাপ্লাটাপ্পা দিয়ে খুড়ীর কাছ থেকে কিছু এনে দিয়ে যাব ? পাল্লালাল চারটে টাকা আমার হাতে গুজে দিয়ে দ্রুতপক্ষে বেরিয়ে গেল। একবার ফিরে চাইলণ্ড ন',