পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰেণৰণ দেখে আমার কেমন যেন লাগল। কিন্তু ভাই যদি তোমার আমাকে বলতে আপত্তি না থাকে তাহলেই ব’লে, আমি জোর ক'রে শুনতে চাইছি না ।” সুধার চুল বাধা শেষ হইয়া গিয়াছিল, হৈমন্তী নিজের চুলগুলা এলাইয়া, দুই হাতে মধার গল। জড়াইয়া ধরিয়া তাঙ্গর দুই চোগের ভিতর তাকাইয়া, একটু দুষ্ট, দুষ্ট, হাসিয়া বলিল, “তোমাকে বলি নি ব’লে তোমার অভিমান হয়েছে বুঝি ? তুমি নাকি আবার রাগ করতে জান না!" স্বধ হাসিয়া বলিল, “রাগ কেন করব ? তুমি কি আর আজকাল সব কথাই আমাকে বল ? বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাতুষ নিজের চিন্তা নিয়ে নিজে থাকে, তখন যে সব কথায়ই অন্য লোকের কৌতুহল দেখানে ভাল নয় এইটুকু কি আর আমি জানি না ?” হৈমন্ত হাসিয়া সুধার গায়ের উপর লুটাঙ্গয়া পড়িয় বলিল, “শু, তুমি বুঝি এখন অন্য লোক হয়েছ ? আচ্ছ, আমি নিজেই অন্য লোককে সব বলব ।” শুধ বলিল, “এস আগে তোমার চুলট। আমি বেঁধে দি । পরে এসব কথা হবে এথম ” হৈমন্তী কিন্তু কথা থামাঙ্গল না । "মহেশু-দার ওই ত নারদমুনির মত ধরণ-ধারণ, কিন্তু মাহবটা ভাই ভারি সেটিমেণ্টাল । তুমি ভাবতেই পার না কি রকম বিপদে একে নিয়ে পড়েছিলাম।" সুধা বfলল, “কি আবার বিপদে পড়লে । বেশ ত আগু ফিরে এলে দেখলাম দু-জনেই ।” হৈমন্তী বলিল, “আঞ্চ ত এলাম। কিন্তু দিদির বিয়ের গয়না গড়াতে গিয়ে নিজের বিয়ের ভাবনা ভাবতে হবে তা ত ভাবি নি। মহেঞ্জ-ধাকে আমি খুবই পছন্দ করি, শুকে নিয়ে ঠাট্রার স্বরে কথা বলতে ধে আমার ভাল লাগে ও নয়। কিন্তু এ সব কথার দুটো মাত্র সুর আছে, যদি মত থাকে তবে গভীর স্বর, আর যদি মত না থাকে তাহলেই ঠাটা । সুতরাং আমার কথাগুলো ঠাট্রার মত শোনালেও *কে আমি ঠাট্টা করছি মনে ক’রো না ।” সুধা বলিল, “থেচারীর মনের যেটা সত্যি কথা সেটা নিয়ে ঠাট। তুমি করছ এ আমি কখনই ভাবতে পারি না।” হৈমন্ত্রীরও চুল বাধা শেষ ইষ্ট গিয়াছিল। জানালার ج بن سمسم وجميخ অলখ-কোেণরণ tz[IS দিকে মাথা করিয়া দুই জনে লম্বা হইয়া শুইয়া পড়িল । বর্গার জলে-ষ্টাওয়া ঘরের ভিতর হু স্থ করিয়া বঞ্চিয় আসিতেছিল। দুষ্ট বন্ধুর বিনিদ্র চোখে হাওয়াটা ভালই লাগিভেছিল । হৈমন্তী বলিতে লাগিল, “মহেন্দ্র-দা জাৰ্ম্মানী চ'লে যাবে ব’লে ভয়ানক মাথা গোলমাল ক'রে বসে আছে । তার নাকি যাবার আগেই এদিক্কার সব ব্যবস্থা ক’রে যাওয়া দরকার । কিন্তু দরকার এক জনের হ'লেই ত পৃথিবীতে সব জিনিব সেই মত হয় না ?” সুধা হাসিয়া বলিল, “কিন্তু কি তার দরকার হয়েছে বিশেষ করে ? তোমাকে দরকার ত?” হৈমন্তী একটু লাল হইয়া বলিল, “তাই ত মনে হচ্ছে । আমি ভাই, মহেন্দ্র-দার সম্বন্ধে এ সব কথা কখনও ভাবি নি । ওর কাছে পড়েছি, ওর সঙ্গে বেড়িয়ে গল্প ক'রে কত দিন কাটিয়েছি, ও ধেন আমাদেরই এক জন হয়ে গিয়েছে । ওকে দুঃখ দিতে ইচ্ছা করে না, কিন্তু তবু আমার পক্ষে গুর ইচ্ছ। পূর্ণ করা যে সম্ভব নয় এটা আমাকে বলতেই হবে।” স্বধী বলিল, “তুমি কি তাকে কিছুই বল নি ? তাকে দেখে ত তা মনে হ’ল না । একটা কিছু প্ৰলয় কাও ঘটেছেই বরং মনে হ’ল ?” হৈমন্তী বলিল, “স্পষ্ট কথাটা উচ্চারণ ক'রে বলি নি বটে, কিন্তু যতভাবে কথাটাকে এড়িয়ে চলেছি তাতে কার আর বুঝতে বাকী থাকে ? মহেন্দ্র-দ; রেগেই অস্থির । আমি কি ক’রে যে বাড়ী পালিয়ে আসব ভেবে পাচ্ছিলাম না ।” সুধা বলিল, “বেচারী মহেন্দ্র-দা ! তোমার মত জিনিষের উপর তার যে লোভ হয়েছে তাতে তাকে দোষ দেওয়া যায় না । কথায় বলে বটে জহুরীহ মাণিক চেনে। কিন্তু সত্যি মাণিক এক্ষেত্রে জরুরী না হ’লেও চেনা যায়। সে ত চাহ বেই ভাল জিনিষ। তবে সংসারে মেয়ের পছন্দ্রটার কথাও ত ভাবতে হবে 1 ছেলেবেলা বুঝতে পারতাম কিন্তু এখন ত দেখছি...” সুধা কথা বলিতে বলিতে থামিয়া গেল। হৈমন্তী তাহাকে মাড়া দিয়া বলিল, “এখন কি দেখছ ? বললে ন যে বড় !" श५ ४श्भरूौद्र निरक भूश द्रिाझेभ्र दfहल, "4* মিলিলিকে দেখলাম, তোমাকে দেখছি " একটুখানি Fi }