পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՅՆo হাসিয়া স্বধা আবার বলিল, “কয়েক বছর আগেও আমি কি ভীষণ হাব ছিলাম। বাইরের একটা মানুষের জন্যে মানুষ কি ক'রে যে এত মাথা ঘামাতে পারে, আর কেনই বা এত মাথা-কোটাকুটি তার জন্তে চলে তা ভেবেই পেতাম না।” হৈমন্তী তাহার চিবুকটা নাড় দিয়া বলিল, “এখন সব বুঝতে পেরেছ ত? আর কিছুদিন যাক না, একেবারে হাতেকলমে শিখবে ।” স্বধা বলিল, “ও সব জিনিষ যত ন-শেখা যায় ততই পৃথিবীতে মুখে থাকা যায়। দেখছ না মহেন্দ্র-দার অবস্থা !” হৈমন্তী বলিল, “সত্যি, বেচারীর জন্তে বড় দুঃখ হয়। মিলিদির বিয়ে হয়ে গেলে ও বোধ হয় রাগ করে আর আমাদের বাড়ী আসবেই না। ও না এলে ওকে খুবই ‘মিস’ করি আমি।” স্বধা বলিল, “তবে অার একবার ভেব দেখ না, ওর কথায় রাজী হওয়া যায় কি না । মহেন্দ্র-দ৷ ত হাতে স্বগ পাবেন ।” হৈমন্তী স্বধাকে জড়াইয়া ধরিয়া তাহার বুকের ভিতর মাথাটা গুজিয়া দিয়া বলিল, “সে যে আমার সাধ্যের অতীত হয়ে গেছে ভাই, কোন উপায়েই তা আর হয় না। আমাকে দেখে যে বুঝেছ বল, ঠিক জিনিষটা কি বুঝতে পেরেছ ? বল ত কে সে ?" স্বধার বুকের ভিতরটা কাপিয়া উঠিল। চোখ বুজিয়া ষে-সত্যের ছায়াকে একদিন সে এড়াইতে চাহিয়াছিল, তাহা আজ চোখের সম্মুখে আগুনের মত উজ্জল হহয়! জলিয়া উঠিল । তাহার কথার স্বরে যে-হতাশা ধ্বনিয়া উঠিল তাহা হৈমন্তী বুঝিতে পারিল না। সে বলিল, “ঠিক কি ক’রে বলব ভাই ? আন্দাজে যা তা বলতে চাই না ।" হৈমন্তী মুখ না তুলিয়াই বলিল, “তাকে তুমি প্রতিদিনই ত দেখছ । তুমি উদাসীন কবি, তাই এত দিন আমার এত কাছে থেকেও বুঝতে পার নি। আমার সমস্ত মন জুড়ে যে আকাশের আলো রয়েছে তাকে চেন না । তপন..." স্বধার বুকের ভিতর হাতুড়ির ঘায়ের মত একটা আঘাত সজোরে লাগিল। এক মুহূৰ্ত্তে যেন তাহার সমস্ত সংজ্ঞ লোপ পাইয়া গেল। সে গুহয় না থাকিলে পড়িয়া যাইত। হৈমন্তীর অনেকগুলি কথাই সুধার k. প্রবাসী ১৩৪৪ কানে আসে নাই। হঠাৎ সে শুনিল হৈমন্তী বলিতেছে, “আমি বক্‌বক্‌ ক’রে অনেক বীকে গেলাম, তুমি আমার একটা কথারও জবাব দিলে না। তোমাকে এত দিন কিছুই বলি নি ব’লে খুব কি রাগ করেছ ? এক-তরফা ব্যাপারের কথা বলতে মাহুষের সব সময় সাহসে কুলোয় না। কোনও দিন বলতে পারব ভাবি fন, আজ তোমার কাছে আপনি কথা বেরিয়ে এল ।” সুধা আপনাকে সামলাইয়া লইয়া সজাগ হইয়া বলিল, “না ভাই, আমি একটুও রাগ করি নি। আমি কি এমনই মূখ যে এতেও রাগ করব ? তুমি যে আজ আমায় বললে এই ত আমার মহাভাগ্য ! আমাকে যদি তুমি আগের চোথে না দেখতে তাঙ্ক’লে বলতে পারতে না ।” ঙ্গৈমস্ত বলিল, “যে-কথা কাউকে বলা যায় না, তা তোমাকে বলতে পেরে আমার মনটা গন্ধ হ'ল। আর যাকে বলা যায় সে নিজে না শুনতে চাইলে আমি ত বলতে পারব না। কিন্তু তার উদাসীন দৃষ্টি, তার বিশ্বভোল। ধরণ দেখে মনে ত হয় না যে সে কোন ৪ দিন আমার এ-কথা BBJJ CBB S S BBSBBS BB KBB SBKSS DSS একলাঙ্গ বয়ে বেড়াব |" স্বধা কথা বলিল না, সুদীর্ঘ একটা নি:শ্বাস ফেলিল । হৈমন্তী তাহার বুকের আরও কাছে সরিয়া আসিল । মৃধা হৈমন্তার ঘন চুলের উপর ধীরে হাত বুলাঙ্গতে লাগিল । চুণ বৃষ্টির হাওয়ায় ভাসিয়া আfসয়া তাহাদের মুখেচোখে পড়িতে লাগিল, কেহ উঠিয়া জানালা বন্ধ কfরল না। ঘরের মেঝেতে অন্ধকারে জল গড়াইয়া চলিতে লাগিল । বাহিরে বৃষ্টির ঝর-ঝর শব্দে শহরের শেষরাত্রের অঙ্ক সব শব্দ ডুবিয়া গিয়াছে । স্বধার চোখের জলে হৈমন্ত্রীর অৰ্ধসিক্ত চুলগুলি আরও ভিজিয়া উঠিতেছিল। অকস্মাং হৈমন্তী মুখ তুলিয়া স্বধার দিকে চাহিয়া বলিল, “স্বধী, তুমি কাদছ ? ছি ভাই, তোমার মন এত নরম জানলে তোমাকে কোন কথা আমি বলতাম না । পুথিবীতে স্বখদু:খ এক স্বতোয় গাখী, তাকে চোখে দেখার মুখ এত বড় ব’লেই, না-দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনায় আমার এত ভয় । এর জঙ্ক কেঁদে না । দুঃখ যদি কম পেতাম তাহলে মুখণ্ড এমন গভীর করে জানতাম না, এটা মনে রাখতে হৰে ।” কণ।