পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বানান-বিধি ষ্ট্ৰীযুক্ত দেবপ্রসাদ ঘোষ মহাশয়কে লিখিত পত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিনয়সম্ভাষণপূর্বক নিবেদন, বানান সম্বন্ধে আপনার মন্তব্য পড়েছি । প্রথমেই বলা আবণ্ডক ব্যাকরণে আমি নিতান্তই কাচ, তার একটা প্রমাণ ‘মূৰ্দ্ধস্ত'- শৰে আমার ণ-কার ব্যবহার । সম্বন্ধে নিয়ম জানা ছিল কিন্তু বোধ হয় ৭-কারের বাহনৰ স্বীকার করাতে ঐ শব্দটা সম্বন্ধে বরাবর আমার মন প্ৰমাদগ্ৰস্ত হয়েছিল । বস্তুত শিক্ষার বনিয়াদের দোষেই এ রকম ঘটে থাকে। ব্যাকরণে আমার বনিয়াদ পাক নম্ন এ কথা গোপন করতে গেলেও ধরা পড়বার আশঙ্কা

  • {{{६ {

বাংলা বানানের নিধুম বিধিবদ্ধ করবার জন্ত আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলুম। তার কারণ এক্ট, ম্বে, প্রাকৃত বাংলার ব্যবহার সাহিত্যে অবাধে প্রচলিত হয়ে চলেছে কিন্তু এর বানান সম্বন্ধে স্বচ্ছাচার ক্রমশই প্রবল হয়ে উঠছে দেখে চিন্তিত হয়েছিলুম। এ সম্বন্ধে আমার আচরণেও উচ্চুঙ্খলতা প্রকাশ পায় সে অামি জানি, এবং তার জন্তু আমি প্রশ্রয় দাবি করি নে। এ রকম অব্যবস্থা দূর করবার একমাত্র উপায় শিক্ষ-বিভাগের প্রধান নিয়ন্তাদের হাতে বানান সম্বন্ধে চরম শাসনের ভার সমৰ্পণ করা । বাংলা ভাষার উচ্চারণে তৎসম শব্দের মর্যাদা রক্ষা হয় বলে আমি জালি নে । কেবল মাত্র অক্ষর বিষ্কাসেই তৎসমতার ডান করা হয় মাত্র, সেটা সহজ কাজ। বাংলা লেখায় অক্ষর বানানের নিজৰ বাহন--কিন্তু রসনা নিজীব নয়। অক্ষর স্বাক্ট লিখুক, রসনা আপন সংস্কার মতোই উচ্চারণ করে চলে । সে দিকে লক্ষ্য করে দেখলে বলতেই হবে যে, অক্ষরের দোহাই দিয়ে স্বাদের তৎসম খেতাৰ দিয়ে থাকি, সেই সকল শব্দের প্রায় ষোল আনাই অপভ্রংশ । যদি প্রাচীন ব্যাকরণকতাদের সাহস ও অধিকার জামার থাকত, এই ছদ্মবেশীদের উপাধি লোপ করে দিয়ে সত্য বানানে এদের স্বরূপ প্রকাশ করবার চেষ্টা করতে পারতুম | প্রাকৃত বাংলা ব্যাকরণের কেমাল পাশা হবার দুরাশ আমার নেষ্ট কিন্তু কালোহয়ং নিরবধি: উক্ত পাশা এদেশেও দেহান্তর গ্রহণ করতে পারেন । এমন কি, যে সকল অবিসংবাদিত তর্ভব শঙ্ক অনেকখানি তৎসম-ঘেঁষা তাদের প্রতি হস্তক্ষেপ করতে গেলেও পদে পদে গৃহবিচ্ছেদের আশঙ্কা আছে । এর উচ্চারণে প্রাকৃত কিন্তু লেখনে সংস্কৃত আইনের দাবি করে । এ সম্বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বানান-সমিতি কতকট পরিমাণে সাহস দেখিয়েছেন, সে জন্যে আমি কৃতজ্ঞ । কিন্তু উীদের মনেও ভয় ভর অাছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায় } প্রাকৃত বাংলায় তদভব শব্ব বিভাগে উচ্চারণের সম্পূর্ণ আমুগত্য ধেন চলে এই আমার একান্ত ইচ্ছা ছিল । কিন্তু যদি নিস্তান্তুষ্ট সম্পূর্ণ সেই ভিত্তিতে বানানের প্রতিষ্ঠা নাও হয় তবু এমন একট অত্বশাসনের দরকার যাতে প্রাকৃত বাংলার লিখনে বানানের সাম্য সর্বত্র রক্ষিত হতে পারে । সংস্কৃত এবং প্রাচীন প্রাকৃত ভাষা ছাড়া সভ্য জগতের অন্ত কোনো ভাষারই লিথনব্যবহারে ৰোধ করি উচ্চারণ ও বানানের সম্পূর্ণ সামঞ্চস্ত নেই কিন্তু নানা অসংগতিদোষ থাকা সত্ত্বেও এ সম্বন্ধে একটা অমোঘ শাসন দাড়িয়ে গেছে । কাজ চলবার পক্ষে সেটার দরকার আছে । বাংলা লেখনেও সেই কাজ চালাবার উপযুক্ত নিদিষ্ট বিধির প্রয়োজন মানি, আমরা প্রত্যেকেই বিধানকত হয়ে উঠলে বা বট প্রত্যেক ব্যক্তির ঘড়িকে তার স্বনিয়মিত সx ব্যক্তিগড় স্বাধীনতা দেবার মতো হয় । في عي