পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ যদি আপনি ঠিকমতো পড়ে থাকেন তবে আমার পক্ষে বক্তব্য এই যে ঐ শব্দটির স্বরলাম্বব আমার দ্বারা জার কখনোই ঘটে নি। আপনার চিঠিতেই প্রথম এই স্থলম হোলে তাঁর দুটি কারণ থাকতে পারে, এক বেপথু, আর এক জরাজনিত মনোযোগের দুর্বলতা। বোধ করি শেষোক্ত কারণটিই সভ্য। আজকাল এরকম প্রমাদ আমার সব দাই ঘটে থাকে, সে জন্তে আমি ক্ষমার যোগ্য । আপনার ৭৭ বছর বয়সের জন্তে আমি অপেক্ষা করতে পারব না—যদি পারতুম তবে আপনার পত্রের এই অংশের প্রত্যুত্তর দেবার উপলক্ষ্য তথন হয়তো পাওয়া যেত । আমি পূর্বেই কীল করেছি যে, কী সংস্কৃত ভাষায় কী হংরেজিতে আমি ব্যাকরণে কাচা । অতএব প্রাকৃত বাংলায় তৎসম শব্দের বানান নিয়ে তর্ক করবার অধিকার আমার নেই । সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, এই বানানের বিচার আমার মতের অপেক্ষা করে না । কেবল আমার মতো অনভিজ্ঞ ও নতুন পোড়োদের পক্ষ থেকে পণ্ডিতদের কাছে আমি এই আবেদন করে থাকি যে, ব্যাকরণ বাfচয়ে যেখানেই বানান সরল করা সম্ভব হয় সেখানে সেটা করাই কতব্য তাতে জীবে দয়ার প্রমাণ হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবীণদের অভ্যাস ও আচারনিষ্ঠতার প্রতি সম্মান করতে যাওয়া দুর্বলতা। যেখানে তাদের অবিসংবাদিত অধিকার সেখানে তাদের অধিনায়কৰ স্বীকার করতেই হবে । অল্পত্র নয় । বানানসংস্কার-সমিতি ৰোপদেবের তিরস্কার বঁচিয়েও রেফের পর দ্বিত্ব বর্জনের যে বিধান দিয়েছেন সে জন্ত নবজাত ও অজাত প্রজাবগের হয়ে তাদের কাছে আমার নমস্কার নিবেদন করি । বিশেষজ্ঞতা সকল ক্ষেত্রেই ভুলভ। ব্যাকরণে বিশেষজ্ঞের সংখ্যা খুবই কম এ কথা মানতেই হবে । অথচ তাদের অনেকেfর অস্ত এমন গুণ থাকৃতে পারে যাতে একোহি দোষো গুণসম্লিপাতের জগু সাহিত্য ব্যবহার থেকে তাদের নির্বাসন দেওয়া চলবে না । এদের জন্তেই কোনো একটি প্রামাণ্য শাসনকেও থেকে সাহিত্যে বানান প্রভৃতি সম্বন্ধে কাধবিধি প্রবণ্ডনের ব্যবস্থা থাকা একান্ত দরকার। আইন বানাবার অধিকার তাদেরই আছে আইন মানাবার ক্ষমতা আছে যাদের হাতে । আইনবিদ্যায় যাদের জুড়ি কেউ নেই ৰানান-বিধি 639 ঘরে বসে র্তারা আইনকতাঁদের পরে কটাক্ষপাত করতে পারেন কিন্তু কতৰ্গদের বিরুদ্ধে #াড়িয়ে আইন তারা চালাতে পারবেন না । এই কথাটা চিস্ত করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষদের কাছে বানানবিধি পাকা করে দেবার জন্তে দরখাস্ত জানিয়েছিলেম। অনেক দিন ধরে বানান সম্বন্ধে যথেচ্ছাচার নিজেও করেছি অন্তকেও করতে দেখেছি । কিন্তু অপরাধ করবার অবাধ স্বাধীনতাকে অপরাধীও মনে মনে নিমা করে, আমিও করে এসেছি। সর্বসাধারণের হয়ে এর প্রতিবিধানভার ব্যক্তিবিশেষের উপর দেওয়া চলে না—সেই জন্তেই পীড়িত চিত্তে মহতের শরণাপন্ন হতে হোলো। আপনার চিঠির ভাষার ইঞ্জিত থেকে বোঝা গেল ষে বানানসংস্কারসমিতির “হোমরাচোমরা” “পণ্ডিত”দের প্রডি আপনার যথেষ্ট শ্রদ্ধা নেই । এই অশ্রদ্ধা আপনাকেই সাজে কিন্তু আমাকে তো সাজে না, আর আমার মতো বিপুলসংখ্যক অভাজনদেরও সাজে না । নিজে হাল ধরতে শিখি নি, কর্ণধারকে খুজি—যে-সে এসে নিজেকে কর্ণধার বলে ঘোষণা করলেও তাদের হাতে হাল ছেড়ে দিতে সাহস হয় না, কেননা, এতে প্রাণের দায় জাছে ৷ এমন সন্দেহ আপনার মনে হতেও পারে ধে সমিতির সকল সদস্যই সকল বিধিরই ধে অকুমোদন করেন তা সত্য নয় । না হওয়াঙ্গ সম্ভব । কিন্তু আপোসে নিম্পত্তি করেছেন । তাদের সম্মিলিত স্বাক্ষরের দ্বারা এই কথারই প্রমাণ হয় ষে এতে তাদের সম্মিলিত সমর্থন আছে। ধৌথ কারবারের অধিনেভারা সকলেই সকল বিষয়েই একমত কি না, এবং তার কেউ কেউ কতব্যে ঔদাসা করেছেন কি না সে খুঁটিনাটি সাধারণে জানেও না জানতে পারেও না। তারা এইটুকুই জানে যে স্বাক্ষরদাতা ডিরেক্টরদের প্রত্যেকেরই সম্মিলিত দায়িত্ব আছে । ( বশিৰ কৃতিত্ব প্রভৃতি ইন্‌ভাগাম্ভ শব্দে যদি হ্রস্ব ইকার প্রয়োগই বিধিসম্মত হয় তবে দায়িত্ব শব্দেও ইকার খাটতে পারে বলে আমি অনুমান করি } আমরাও বানান-সমিতিকে এক বলে গণ্য করছি এবং তাদের বিধান মেনে নিতে প্রস্তুত হচ্ছি। যেখানে স্বস্বপ্রধান দেবতা অনেক আছে সেখানে কৰ্ম্মৈ দেবায় হবিবা বিধেম । অতএব বাংলা ভৎসম শব্দের বানানে রেফেস পরে