পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ আপনার চিঠির একটা জায়গায় ভাষার ভঙ্গীতে মনে হোলো ক-এ দীঘ ঈকার যোগে যে কী অামি ব্যবহার করে থাকি সে আপনার অনুমোদিত নয়। আমার বক্তব্য এহ যে, অব্যয় শব্দ “কি" এবং সর্বনাম শব্দ “ক” এই দুইটি শব্দের সার্থৰতা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । তাদের ভিন্ন বানান না থাকলে অনেক স্থলেই অর্থ বুঝতে বাধা ঘটে । এমন কি ক্রীষ্টচতন্য ও ওড়িয়া জাতি dS.) প্রসঙ্গ বিচার করেও বাধা দূর হয় না। “তুমি কি জানে। সে আমার কত প্রিয়” আর “তুমি কী জানো সে আমার কত প্রিয়,” এই দুই বাক্যের একটাতে জানা সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হচ্ছে আর একটাতে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে জানার প্রকৃতি বা পরিমাণ সম্বন্ধে, এখানে বানানের তফাৎ না থাকলে ভাবের তফাৎ নিশ্চিতরূপে আন্দাজ করা যায় না । ত্রীচৈতন্য ও ওড়িয়া জাতি শ্রীকুমুদ বন্ধু সেন পরলোকগত স্বপ্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ববিশারদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাহার উড়িষ্যার ইতিহাস History of Orissa ) গ্রন্থে বলিয়াছেন যে গুড়িয়া জাতির অধঃপতনের মূল কারণ ঐচৈতন্য-প্রবর্তিত বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম । এই কথাটা আজকাল প্রায়ই শিক্ষিত ওড়িয়া ও বাঙালীদের মূথে শোনা যায় । উৎকল-নেতা পণ্ডিত নীলকণ্ঠ দাস-প্রমূখ ব্যক্তিগণ তাহারের প্রবন্ধে ও বক্তৃতায় ইহাই প্রচার করিয়া ২াকেন । রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের মত প্রবীণ ও বিচক্ষণ ঐতিহাসিক যখন এইরূপ উক্তি করিয়াছেন তখন ইহা ধ্রুবসত্য বলিয়া অনেকের বিশ্বাস হইবে তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? বিশেষত: আমাদের আধুনিক শিক্ষিত্তমণ্ডলীর ধারণা ষে ধৰ্ম্মই একমাত্র ভারতের অধঃপতনের কারণ। তাহার উপর প্রেম ও রসধৰ্ম্ম যাহার প্রচার করেন তাহার ষে দেশ ৪ জাতির সূৰ্ব্বনাশ সাধন করিতেছেন ডাহাড়ে তাহাঙ্গের আর সন্দেহু মাই। উৎকলের কেশরী-রাজবংশীয় হইতে গজ-বংশীয় নরপতিত্ত্বন্দের পরাক্রম ও রণকুশলত কে না खारन ? ईशरमग्न निधिछघ्र हेडिशन-धनिष ।। ८५-भशब्लाख প্রতাপরুদ্র গজপতির হুঙ্কারে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের রাজকুলের হৃৎকম্প উপস্থিত হইত, ধিনি অমিত বাহুবলে মাম্রাজ প্রদেশের নেলোর হইতে গৌড়দেশের প্রায় সাগরসঙ্গম-সীমাস্তু পৰ্ধান্ত প্রসারিত সাম্রাজ্যের শাসন করিতেন এবং ধিনি রণনৈপুণ্যে ও অন্ত্রবিদ্যায় অদ্ভুত কুশলী ছিলেন, তিনি ঐচৈতন্তের প্রভাবে বৈষ্ণবধর্শ্ব অবলম্বন করিয়া নিজেকে, দেশকে ও সমগ্র জাতিকে একেবারে ছারেখারে দিলেন—ইহাঙ্গ শিক্ষিত উৎকল- ও বঙ্গ- বাসীর ধারণা । তাহাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণ করাতেই জাতির বীরত্ব-বহ্নি নিৰ্ব্বাপিত হইল—ভেজ গৰ্ব্ব সব খৰ্ব্ব হইয়৷ গেল, এবং সমগ্র জাতি ক্রমে ক্রমে হতবীৰ্ধা, ভীরুও কাপুরুষ হইল । শ্রীচৈতন্তের সংস্পর্শে আসিয়া যেন সমগ্র ওড়িয়া জাতির বঙ্গ, বীৰ্য্য, সিংহfবক্রম, দিগ্বিজয় ও বাহুবলের আস্ফালন সব লোপ পাইল ; সমগ্র জাতির ভিতরে ষে সামরিক তেজ বহ্নি ছিল তাহ নিৰ্ব্বাপিত হইল এবং ধর্শ্বের আবরণে একটা স্ত্রীজনোচিত কোমলতা ও ভীরুতা আসিয়া সমগ্র জাতির অধঃপতনের স্বচনা করিল। উৎকল জাতি ধে সামরিক উক্ষাদনায় বীরগৰ্ব্বে সমরক্ষেত্রে ধাবিত হইত, সে উয়াজন বৈষ্ণবধর্শ্বের ভাবোঞ্ছাসে পরিণত হইল। স্বতীকুৰুদ্ধি ঐতিহাসিক ও প্রত্নস্তত্বগবেষক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় নির্দেশ করিয়াছেন যে উৎকল জাতির ও দেশের এই সৰ্ব্বনাশের মূল স্ত্রচৈতন্থের প্রচারিত বৈষ্ণবধর্শ । মহারাজা প্রভাপঙ্কজ ৰজি চৈতন্তের ধৰ্ম্ম গ্রহণ না করিভেন ভৰে উক্ত দেশ ও জাতির এডট অধ:পত্তন হষ্টত না–তাহার এতটা নিবীৰ্য্য হইড ন', এডট রীজমোচিত ভীরু ও কোমল হইত না । সত্যই কি ऊाहें ? मडाहे कि फेष्क्लेिशांइ ७डäो यनिहे कब्रिबारश्न ষ্ট্রচৈতন্ত ও তাহার প্রষত্তিত ধৰ্ম্ম সত্যই কি মধ্যযুগে চৈতন্ডের ধৰ্ম্ম উড়িষ্যার শুভ্রোজ্জল কীৰ্ত্তি-পটে এতটা কলক কালিম লেপিয়া জিয়াছে ?