পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর রাহুল সাংকৃত্যায়ন (St ) শৰ্মাকে ভোট-সরকারের হস্তে অর্পণ করার কড়া হুকুম আসিলে নেপাল-রাজদূত নাচার অবস্থায় পড়িলেন। লাসায় ছোটবড় প্রায় এক পন্ড নেপালী কারবার আছে, তাহীদের মালিকের দল এই ঘটনার ফেরে মহা শঙ্কিত হইয়; উঠিল । তাঙ্গদের বক্তব্য ছিল যে যদি শৰ্ব্বাকে সমর্পণ করা না হয় তবে ভোট-সরকার জোর-জবরদস্তি করিলে যে অবস্থার ফষ্টি হবে তাহার ফলে নেপাল রাজদূত ও তাহার অতুচরদিগকে ধৰিতে বাধিতে অথবা মারিতে হয়ত কিছু সময় লাগিতে পারে, কিন্তু অন্যান্য নেপালী প্রজার ধন-প্ৰাণ দুই-ই শেষ এই রকম অবস্থায় ২৩শে আগষ্ট প্যারেড-কালে ভোটীয় সৈনিকদিগের নিজেদের মধ্যে দাঙ্গ বাধে । শহরে রাষ্ট্র হহয়! গেল যে সৈন্তের। নেপাল দূতাবাসে শৰ্ব্বাকে গ্রেপ্তার করিতে গিয়াছে। আর যায় কোথায় ? মুহূর্বের মধ্যে সমস্ত নেপালী সন্ত্রস্ত ও ব্যস্ত ভাবে দোকানপাট বন্ধ করিয়া ছাদে উঠিয়া লুঠপট ও অত্যাচারের প্রতীক্ষা করিতে লাগিল ; সে সময়ের কথা বলিবার নয় । আমি নিজে নেপালীদিগের সঙ্গে fছলাম এবং অধিকাংশ লোকেই আমাকে নেপালী বলিয়া জানিত । স্বতরাং আমি নিজে নেপালীদিগের মনের অবস্থা প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করিয়াছিলাম । ইষ্টতে এক প্রহর ও লাগিবে ন! ! বেলা দুইটার সময় দোকানপাট বন্ধ হইল । আমাদের লোকজন যেন মহা প্ৰলয় আগতপ্রায় ভাfবয়া প্রস্তুত হইতে লাগিল । যাহা হউক, সেই দিন ও রাত বিনা উপদ্রবে কাটিয়া গেলে পরদিন আবার দোকান খোলা হইল । এই ভাবে অনিশ্চিতের মধ্যে কয়দিন কাটিল। ২৭শে আগষ্ট বেলা বারটায় আমি ছু-শিং-শর ( যে কুঠাতে আমি আশ্রয় লইয়াছিলাম ) দোকানের ছাদে বসিয়া আছি এমন সময়ে দেখিলাম দক্ষিণ দিক হইতে দোকালের সারি দ্রুত বন্ধ হইয়া আসিতেছে। যে-সকল নরনারী পথের উপর বেসাতি বিছাইয়া ছিল তাহার কোন প্রকারে নিজেদের জিনিষপত্র উঠাইয়। ঘরের দিকে ছুটিতেছে, কেহ কাহাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করিবার পর্য্যস্ত সময় পাইতেছে না। কিছুক্ষণ পরে কোন সরকারী লোকের কাছে শোনা গেল যে শৰ্ব্বাকে ধরিতে নেপালী দূতাবাসে ভোট সৈন্যদল গিয়াছে। তিব্বতী কয়েদী, লাস শুনিয়াই নেপালীরা বলিল এইবার লুট আরম্ভ হইবে । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি প্রায় সকল নেপালী সওদাগরই বৌদ্ধ এবং সেই কারণে ইহাদের প্রত্যেকেরই এমন অনেক ভোট বন্ধু আছে যাহারা ভয় অপেক্ষ ভরসারই পাড় । কিন্তু লুট করে গুণ্ডায়, স্বতরাং লুটের সময় স-সব বন্ধু নিজেদের