পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●b〜の সম্পত্তি সামলাইতেই ব্যস্ত থাকিবে, তখন নেপালী বন্ধুদের সাহায্য করিবার অবসর কোথায় ? সন্ধ্যার মুখে সঠিক খবর পাওয়া গেল যে নেপাল-রাজদূত শর্বাকে ভোট-সরকারের হাতে সমর্পণ করিয়া দিয়াছেন এবং তাহাকে রক্ষা করিবার জন্য কোন প্রকার সশস্ত্র চেষ্টা করেন নাই। চারি দিকে রাজদূতের বিচারবুদ্ধির প্রশংসা শোনা গেল। দুই-তিন শত নেপালীকে সজ্জিত করার মত গোলাবারুদ ও বন্দুক রাজদূতের হাতে ছিল, বস্তুত: চেষ্টা করিলে নেপাল-রাজদূত তাহার পচিশ-ত্রিশ জন সৈনিক এবং এই দুই-তিন শত অন্য নেপালী প্রজার সাহায্যে ভোটসরকারকে বিলক্ষণ বেগ দিতে পারিতেন, কেননা নেপালীরা ভোটিয়দিগের তুলনায় অনেক অধিক যুদ্ধকুশল এবং দূতাবাস শহরের মধ্যে অবস্থিত বলিয়া তাহার উপর গোলা চালাইলে শহরের ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী ; এ অবস্থায় সহস্ৰাধিক নেপালী প্রজার রক্ষণাবেক্ষণ কেমন করিয়া করা যায় ইহাই ছিল র্তাহার প্রধান সমস্ত । শর্বাকে কিছু কালের জন্য বঁrচাইতে এতগুলি প্রজার ধনে প্রাণে সৰ্ব্বনাশ কfরতে তিনি প্রস্তুত ছিলেন না । সুতরাং শর্বাকে ভোটিয়ুদিগের হস্তে অর্পণ করা হইল । তাহার উপর শাস্তি বিধান হইল দুষ্ট শত বেত্ৰাঘাত। বেতের আঘাতে তাহার দেহ কাটিয়া মাংস পৰ্য্যস্ত উঠিয়া গেলেও জ্ঞান যতক্ষণ ছিল সে একবারও শব্দমাত্র উচ্চারণ করিয়া কাতরতা প্রকাশ করে নাই । এইরূপ নিৰ্দ্দয় প্রহারের ফলে ১৭ই সেপ্টেম্বর শর্ব গ্যেল্পে মারা যায়। এদিকে লাসায় বাজার বন্ধ হওয়ায় কেবল শহরে নয় দৃধস্থ অঞ্চলেও নানা প্রকার গুজব রটয় উপদ্রবের আশঙ্ক বাড়িতেছিল । শর্ক পুনৰ্ব্বার গ্রেপ্তার হওয়ার পর শহরের কর্তৃপক্ষ কড়া হুকুম জারি করিলেন যে দোকান বন্ধু করিলে ব। গুজব রটাইলে কঠিন শাস্তি দেওয়া হইবে । বিজ্ঞাপনের ফলে বাজার অাব বন্ধ হইল না। এদিকে পুৰ্ব্ব হইতেই উভয় পক্ষের রণসজ্জা হইতেছিল, এখন তো যুদ্ধ আসন্নপ্রায় দেখা গেল । তিব্বতে সংবাদপত্র নাই, সমস্ত খবরই মুখে মুথে প্রচারিত হয়। তবে ইহা বলিলে ভূল হইবে না যে এইরূপ উড়া খবর বিলাতী খবরের কাগজের এবর অপেক্ষা অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য। ৩১শে আগষ্ট সংবাদ আসিল যে নেপাল ও তিব্বতের এই বিবাদে সিকিমের এত প্রবাসী SN○88 ব্রিটিশ রেসিডেণ্ট মধ্যস্থ হইতে আসিতেছেন। পরদিন শোনা গেল যে দলাই লামাতাহাকে তিব্বত-প্রবেশের অনুমতি দেন নাই। আমি দন্ত্রীর দোকানে শীতবস্ত্রের বরাত দিতে গিয়া শুনিলাম, ভোট-সরকার শহরের যত জিন কাপড় খরিদ করিয়াছেন। শহরে জোর গুজব রটিল যে চীন ও রুষ তিব্বতের সহায়তা করিতে অগ্রসর হইয়াছে। নেপাল হইতে খবর পাওয়া গেল যে ধনকুট, কুত, কেরোং প্রভৃতি অঞ্চলে যে চারটি পথে তিব্বতে প্রবেশ করা যায় সে-সকল পথ মেরামত করাইয়া সৈনিকদিগের ছাউনি হ ওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ; ফেলা হইয়াছে এবং অগ্রসর লাগাইবার জন্তু টেলিগ্রাফের তার ও থাম মজুত হঠয়াছে। লাস শহরের কথা আর বলিবেন না । রোজ সকাল দশটায় রাজপথে পণনের কুচ-কা য়ায় চলিয়াছে । সৈন্যদের যুদ্ধকৌশল বর্ণনার অতীত। প্রায় সকলেই ইউরোপীয় সৈন্সেব পবিত্যক্ত বাইফেলে মুসজ্জিত কিছু দেখা গেল বন্দুক ছুড়িবার সময় সকলেঙ্গ চক্ষু বুজি ফু! মুথ ফিরাইয় ছোট ছেলের দল তো সারাদিনই পথে পথে "রাইটলেফট কfরয় বেড়াইতেছে আবার সৈন্যদের মধ্যেও দুই-তিন জন করিয়া স্থানে স্থানে ঐরুপ রাইট-লেফট চালাইতেছে । এই মন্থে হহাদের এত আস্থার কাবণ এই যে, ভোট-সৈন্যদলের যুদ্ধবিদ্যা-শিক্ষার ভোটীয় প্রোফেসরবর্গ প্রায় সকলেই গ্যাঞ্চীতে দুই-তিন সপ্তাহ থাকিয় পাশ্চাত্য যুদ্ধবিদ্যা আয়ত্ব () করিবার সময় ইহা শিক্ষা করিয়াছে । এদিকে কলিকাতা ইষ্টতে প্রত্যেক নেপালী কুঠাতে প্রত্যহই লাসা ছাড়িয়া ধাইবার জন্তু 'তার' আসিতে লাগিল । ২০শে সেপ্টেম্বর ছু-শিং-শর কুঠার অধিকারীর জ্যেষ্ঠ পুত্র fয়রত্নমান সাহু লাস ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলেন ও যাইবার কালে ছোট ভাই ও অন্য সকলকে বলিয়া গেলেন যে অমুক সঙ্কেতযুক্ত তার পাইলেই সকলে যেন চলিয়া যায়, কুঠা বা দোকানে যে লক্ষ লক্ষ টাকার সামগ্রী আছে তাহা রক্ষা করিবার কোন চেষ্টায় তাহারা যেন দেরি না করে । এই মরসুমে লাসায় মঙ্গোলীয়া হইতে বহু মুসলমান সওদাগর আসে, শোনা গেল এইবার তাহারা বিক্রয়ের জন্ত যত খচ্চর আনিয়াছিল সবষ্ট ভোট-সরকার স্বয়ং ক্রয় করিয়াছেন । をリj」