পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8-مو!%6 সেইগুলি হইতে পুস্তক ছাপিতে পায়। ইহারাই পুস্তকবিক্রেতা । জে-খঙ নামে লাসার প্রধানতম ও প্রাচীনতম মন্দিরের উত্তর দ্বারের পাশে ঐকুপ কুড়ি-পঁচিশটি পৰ্ব-বার দোকান আছে । ভোট-সাহিত্য অধ্যয়নের সময় আমি ঠিক করিয়াছিলাম যে পাঠের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃত ও ভোট শব্দ-প্রতিশব্দ সংগ্ৰহ করিব, পরে যাহাতে ভোট-সংস্কৃত মহাকোষ লিখিতে পারি। ১৩ই আগষ্ট হইতে ঐ কার্ধ্য আরম্ভ করিয়া কয়েক মাসের মধ্যেই বোধিচৰ্য্যাবতার, স্ৰন্থরাস্রোত্র, ললিতবিস্তার, সদ্ধৰ্ম্মপুণ্ডরীক, অমরকোষ প্রভৃতি আটখানি গ্রন্থ অধ্যয়ন করিয়া ফেলিলাম। ইহার মধ্যে কয়েকখানি পুস্তক আমার ছিল, অন্তগুলির হস্তলিখিত প্রাচীন সংস্কৃত পুথি ছু-শিঙ-শাকে মন্দিরে পাই । তখনও আমার স্বত্র, বিনয়, তন্ত্র, স্তায় প্রভৃতির প্রায় পঞ্চাশখানি পুস্তক এবং বহু শত ছোট-বড় নিবন্ধ দেখা বাকী, কিন্তু যথাসময়ের পূর্কেই আমাকে ভারতে ফিরিবার ব্যবস্থা করিতে হইল। আমার শব্দকোষে পঞ্চাশ হাজার শব্দ সংগ্ৰহ করিবার ইচ্ছা ছিল, পনর হাজার শব্দ মাত্র তখন সংগ্ৰহ হইয়াছে, যদিও কোন মুদ্রিত তিব্বতীইংরেজী কোষে এত শব্দ এখনও পৰ্য্যন্ত সংগৃহীত হয় নাই। শব্দসংগ্রহের সময় আমি কন্‌-জুর ও তন্‌-জুর দেখিতে আরম্ভ করিলাম। লাসা নগরের মুরু মঠের কৰ্ম্মনিষ্ঠত প্রসিদ্ধ, ইহা চোঙ-থ-পার গদীতে আসীন ঠি-রিন-পোছের অধীন ; আমি মঠের হস্তলিখিত তন্‌-জুর পাঠের অনুমতি পাইয়া সেখানে গেলাম। কিন্তু একে পুস্তকাগার অন্ধকার, তাহার উপর অক্টোবরের শীতে সন্দি-কাশি মুরু হইল, স্বতরাং দুই-তিন দিন সেখানে যাইবার পরই গ্রন্থগুলি নিজের বাড়ীতে লইবার অনুমতি চাহিলাম। অনুমতি পাইলে পনর-কুড়ি খণ্ড করিয়া পুস্তক ঘরে লইয়া যাইতে আরম্ভ করিলাম। সমগ্র সংগ্রহ ২৩৫টি বেষ্টনীতে বদ্ধ । আমার আশ্রয় ধৰ্ম্মমান সাহুর গৃহে তাহার বৈঠকখানার পাশে ছিল । বহুদিন থাকিতে হুইবে জানিয়া আমার নিকট খরচ গ্রহণ করিতে সান্থকে রাজী করাইলাম । আমার ঘরটিতে সকালের রোদ আসিত, স্বতরাং অপেক্ষাকৃত গরম ছিল, কিন্তু তৎসত্বেও শীতের প্রকোপ বুঝিয়া লাসার পুরনো বাজার হইতে ২০-৩• সাং দিয়া একটি মঙ্গোলীয় পোস্তীন প্রবাসী ১\988 কিনিলাম, ভিতরে ছাগলের বাচ্ছার লোমযুক্ত চামড় বাহিরে মোট লাল চীনা-রেশম কাপড়। যতই মোট ইউ. এখানকার শীতের পক্ষে পশমী কাপড় তুচ্ছ। ঐ পোষ্ঠীনের উপ মোলায়েম লম্বীপশমযুক্ত চুকটু, মাথায় উলের কানটোপএই সবে দেহের শীত নিবারণ হইল বটে, কিন্তু অক্টোবরশেষের দারুণ শীতে আঙুল ফাটিয়া রক্ত পড়িতে লাগিল উটের পশমের মঙ্গোলীয় দস্তান পরিয়া লেখাপড়া চলিত ডিসেম্বরের দ্বিপ্রহরে তাপমান ৪০° ফারেনহাইট মাত্র উঠিত, জানুয়ারীর মাঝামাঝি তাহা ২০° ডিগ্রিতে দাড়াইল। দি.ে দ্বিপ্রহরে এইরূপ শীত, রাত্রে কিরূপ হইত বুঝিতেই পারেন জল তো জমিয়াই যাইত, ফাউণ্টেন পেন ব্যবহারের পূর্কে লেখাও অসম্ভব হইয়া উঠিল, কেননা শীতে দোয়াতের কাঠি জমিয়া যাইত। অক্টোবরেই গাছের পাতা ঝরিয়া পড়িল এবং মাসখানেকের মধ্যে বৃক্ষলতাগুল্ম সব শুকাইয়া গেল, শুামলত্তার লেশমাত্রও দেখা যাইত না ।

  • 毒 事

তিব্বতের রাজধানী লাস এখন ব্রিটিশ, রুষ ও চীন রাজনীতির লীলাক্ষেত্র। লাসার সে-র, ডে-পুড় প্রভৃতি মঠে রুষ-এলাকার মঙ্গোল বাস করে, তাহাদের সকলে ব। অধিকাংশই যে রাজনৈতিক কার্ধ্যে ব্যস্ত সে-কথা বল চলে না। তবে এ-বিষয়ে সন্দেহ নাই যে তাহাদের দ্বার: রাজনীতির গুপ্ত চাল চলিতে পারে । আমি যে-সময় লাসায় ছিলাম সেই সময় এক জন রুষ-মোঙ্গল অতিশয় আড়ম্বরের সহিত তথায় জীবন যাপন করিতেছিল, পরে জানিয়াছিলাম যে সে ‘শ্বেত রুষ, "লাল" বলশেভিক নহে । ব্রিটিশ-সরকারের তরফে এক জন রায়-বাহাদুর প্রকাতে এবং আরও অনেকে গুপ্ত ভাবে চরের কার্ধ্যে ব্যস্ত ছিলেন । লাসায় পৌছিবার পরই প্রকাশ করিয়াছিলাম ধে আমি ভারতীয়, চিঠিপত্রেও আমার সকল কথাই সোজা ভাবে লেখা থাকিড, স্বতরাং আমার প্রতি দৃষ্টি পড়িতে দেঃি হইল না। তবে আমি ছিলাম সাংস্কৃতিক বিস্তার্থী, স্বত্তরা তিব্বতীয়দের সম্বন্ধে অনধিকারচর্চা করার সময় বা ইচ্ছ আমার হয় নাই। পূৰ্ব্বোক্ত রোজমের সাহেবও প্রথমসাক্ষাতে আমি কি করিতেছি সে-সম্বন্ধে বহু প্রশ্নাজি করেন, কিন্তু পরে তিনি আমার প্রতি অতি সঙ্গনের মত ব্যবহাং