পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰণৰণ নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর ●b〜" বিক্রমশিলা ধ্বংস হইবার দুই শত বৎসর পরে প্রতিষ্ঠিত তবুও উহাঙ্গেরই ছাচে ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ভোটছাত্রগণ বিক্রমশিলা মহাবিহারে কয়েক শতাব্দী ধরিয়া অধ্যয়ন করিয়াছিল, সম-ম্বে বিহার ত একেবারে উডস্কপুী বিহারের নমুনায় নির্শ্বিত। এইরূপে উক্ত বিহারকে অনেক বিষয়ে নালন্দ-বিক্রমশিলার জীবস্তু নিদর্শন বলা আঞ্জও পড়াইবার সময় সেখানকার অধ্যাপকবর্গ ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রপরম্পরায় প্রাপ্ত বসুবন্ধু, দিওনাগ ও ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তি সম্বন্ধীয় অনেক প্রসঙ্গের অবতারণা করেন । দুঃখের বিষয়, এখন এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে অৰ্দ্ধেক একেবারে নিষ্কৰ্ম্ম, বাকী অৰ্দ্ধাংশের শিক্ষা তাঙ্গদের মতিগতি ও অভিরুচির উপর নির্ভর করে। বিদ্যালয়প্রবেশকালে ছাত্রদের ড-ছঙে নাম লিখাইতে হয় এবং নিয়মিত রূপে সকলের সঙ্গে পানভোজনাদি করিতে হয়, কিন্তু অধ্যয়নে মন দেওয়ার প্রশ্ন আসে না । জন কয়েক ছাত্র ও অধ্যাপকের বিদ্যোৎসাহ আছে সন্দেহ নাই, সেটা কিন্তু এখন অপবাদে দাড়াইয়াছে ! এই সকল ড-ছঙের অধ্যক্ষ খন-পোগণ পূৰ্ব্বকালে যোগ্যতা অনুসারে নিযুক্ত হইতেন, কিছুকাল যাবৎ ঐক্কপ যোগ্যতার দিকে মোটেই দৃষ্টি দেওয়া হয় না। আমার লাস-বাসকালে সে-রা মঠে একটি খন্‌-পোর পদ খালি হয়। সে-রা মঠের শ্রেষ্ঠ বিধান স্বায়ুশাস্ত্রে সে-র সমস্ত তিব্বত ও মঙ্গোলিয়া প্রদেশের মধ্যে সৰ্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করে ) এক মঙ্গোল গে-শে-কে উtহার ছাত্রের এই পদের প্রার্থী হইতে বলে । বলা বাহুল্য উমেদার অনেকে ছিলেন, এবং ঐ পদপ্রার্থীদিগের মধ্যে শাস্ত্রার্থপ্রতিযোগিতায় মঙ্গোল গে-শেই বিজয়ী হইয়াছিলেন । কিন্তু নিৰ্ব্বাচন ও নিয়োগের সিদ্ধান্তের অধিকার স্বয়ং দলাই লামার হস্তে, সেখানে মহাগুরুর মোসাহেবদিগকে সন্তুষ্ট করিতে অর্থের বিশেষ প্রয়োজন। মঙ্গোল বিজ্ঞান তাহার ছাত্রদের বলেন যে তিনি যত দূর উচিত ততট। চেষ্টা করিয়াছেন, কিন্তু উৎকোচ দিয়া খন-পে হওয়া তাহার বিবেকবিরুদ্ধ। শেষে কি হইল জানি না, কিন্তু সকলেই বলিত যে অল্প কেহ রৌপ্য-অর্থবলে শাস্ত্রার্থকে পরাজিত করিয়া ঐ পদ পাইবে । আমি নিজে স্না-উ-ছণ্ডের খনপোর নিকট এক দিম গিয়াছিলাম, উাহাকে দেখিলেই চলে । বুঝা যাইত যে খন্‌-পো নিয়োগে যোগ্যতার কোন প্রশ্ন আসে না । এখনও এই সকল বিহারে প্রাচীন সভ্যতা এবং স্বল্পীর্ঘ ইতিহাসের সজীব ধারা প্রবাহিত হইতেছে। যদি ইহাদের ক্রটি দূর করা যায় তবে এখানে অধ্যয়ন-অধ্যাপনা নিয়মিত হঠবে তাহাতে সন্দেহ নাই, তখন ইহাদের দ্বারা রাষ্ট্রের সেবা ও উপকার আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই হইবে। প্রত্যেক বিহারের অধিকারে বিশাল জমীদারী আছে, রাজনীতির ক্ষেত্রেও ইহাদের অধিকার যথেষ্ট, স্বতরাং রাজনৈতিক ব্যাপারেও মঠাধ্যক্ষদিগের পরামর্শের মূল্য কম নহে, বড় বড় মঠের মন্দিরে-দেবালয়ে এক মণ দুই মণ ওজনের স্বর্ণ ও রৌপ্যের অসংখ্য দীপ দিবারাত্র জলে এবং দেবমূৰ্ত্তির ভূষণে স্বর্ণ-রৌপ্যের গুপের সহিত মণি-মুক্তার রাশি ঝলকিত হইতে থাকে। পাঠক সহজেই বুঝিতে পারিতেছেন যে মঠাধ্যক্ষগণ বিষয়-ব্যাপারেই সমস্ত সময় না দিয়ু যুধি অবসরের কিয়দংশও মৃথাকর্তব্য পালনে ব্যয় করিতেন তাহা হইলে এই ৰিহারগুলি কিরূপ বিদ্যার সাকর হইয়া উঠিত । মঠের বিদ্যালয়ে প্রধানতঃ বিনয়কারিক, অভিসময়ালঙ্কার, অভিধর্শ্বকোষ, মাধ্যমিককারিকা ও প্রমাণবাৰ্ত্তিক পড়ানো হয় । 豪 彎 轉 সে-রায় থাকিতে, ১৩ই অক্টোবর থবর পাইলাম যে রে-ডিঙ মঠের অবভারী লাম। এখানে বিদ্যালাভের জন্ম রহিয়াছেন। অডিশার প্রধান শিষ্য ডোম-তোন-পা শুরুর মৃত্যুর পর ১০৫৮ খ্ৰীষ্টাব্দে এই মঠ স্থাপন করেন । লোকমুখে শুনিয়াছিলাম, ঐ মঠে ভারত হইতে আনীত সংস্কৃত পুথিৰ বেশ বড় রকমের সংগ্রহ আছে ; কিন্তু বিশেষ খোজ করিয়! জানিলাম মঠের নিকটস্থ প্রস্তরগুপের একটি বিশিষ্ট আকার থাকায় লোকে তাহাকেই প্রস্তরময় পুথির রাশি বলে । যাহা হউক, এ সমস্তার যথার্থ-সমাধানের জন্তু এই অবতারী লামার সঙ্গে আলাপ করিলাম । অবতারী লামার বয়স আঠার-উনিশ বংসর মাহ, তাহাকে বেশ তীক্ষ্ববুদ্ধি বলিয়া মনে হইল। এদেশে অবতার লামার শিক্ষাদীক্ষ ভারতের রাজকুমারদের भज्र झ्हेद्न थाएक। अवश्-अश्षाशै छुऊ 8 अश्रुग्नवर्ग