পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(్సరి আর চখাচীর কাকলি-কঙ্গোল নিয়ে পাঠকের অনুভূতির মধ্যে জীবন্ত হয়ে দেখা দিল। সেই ভটভূমির বিচিত্র দৃপ্ত একদিন ষে ‘আনন্দ-বেদনায়’ কবির জীবনকে উদাস ক’রে তুলেছিল, সেই আনন্দ-বেদনার নিবিড় অনুভূতিতে পাঠকের চিত্তও পূর্ণ হয়ে যায়। কবিতার এই বিশিষ্ট লক্ষণটির দিকে हि রেখেই অ্যাবারক্রম্বি (Aberdrombie ) লিখেছেন— Poetry differs from the rest of literature pre: it does not merely tell us what a cisely in this : man experienced, it makes his very experience itself live again in our minds by means of what I have called the incantation of its words. অর্থাৎ সাহিত্যর অক্সান্ত অঙ্গ থেকে কাব্যের তফাৎ হ’ল শুধু এইখানে : মানুষ যা দেখেছে, যা শুনেছে, যা উপলব্ধি করেছে, কবিতা তার শুধু বর্ণনা দিয়েই ক্ষাস্ত থাকে না। কথার যাদুকে আশ্রয় ক’রে কবির অভিজ্ঞতা আমাদের অনুভূতির মধ্যে নূতন করে বঁাচে । এই সত্যটিকে আরও স্পষ্ট ক'রে দেখাবার জন্য এথানে রবীন্দ্রনাথের আরও কয়েকটি কবিতার অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে দিচ্ছি। ‘বধূ নামক কবিতাটিতে আছে,— কলসী ল'য়ে কঁাথে পথ সে ৰাক। বামেতে মাঠ শুধু সদাই করে ধুধু ডাfশুনে ৰাশবন তেলায়ে শাখ । দীঘির কালে জলে সাঝে ; আলো ঝলে, দু’ধারে ঘন বন ছায়ায় ঢাকা । গভীর থির নীরে ভাসিয়া যাই ধীরে কোকিল ডাকে তীরে অমিয়-মাখ । আসিতে পথে ফিরে আTাধার তরু-শিল্পে সঙ্গস দেখি চাদ আকাশে অাকা । এই লাইনগুলি পড়বার সঙ্গে সঙ্গে আমরা শহরের পারিপাশ্বিক দৃশুগুলিকে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্বত হয়ে একটি নূতন জগতে প্রবেশ করি। এই নৃতন জগতে রাজধানীর পাষাণ-কায়ার পরিবর্তে আছে থোলা মাঠ আর পার্থীর গান, বনের ছায়া আর দীঘির জল, করবী ফুল আর চাদের আলে। ষে অপার আনন্দের অন্তভূতি নিয়ে কবি দেখেছিলেন বাংলা দেশের প্রকৃতির সৌন্দর্য্যরাশিকে আর তাদের রূপ দিয়েছিলেন কবিতায়, উপরের লাইনগুলি পড়বার সময়ে সেই আনন্দের অকুন্ডুতি পাঠকের মনেও সঞ্চারিত হয়ে যায় । বাসের হুঙ্কার আর ট্রামের ঘর্ঘরধ্বনি, ধূমমলিন আকাশ প্রবাসী ●N*リ。 আর ইট-পাথরের অট্টালিকাকে ভুলিয়ে দিয়ে কবি পাঠকের চিত্তকে এমন একটি অভূতপূৰ্ব্ব আনন্দের মধ্যে মুক্তি দিলে, ষে আনন্দ আকাশের নীলিমার পানে ভাঙ্কিয়ে থাকার আনন্দ, অরণ্যের স্যামন্ত্রর মধ্যে চোখ ফুটি ডুবিম্বে গেণ্ডস্থাৎ জানম | ঠিক এমনি ক’রেই আমাদের চেতনার উপরে অরুণে:দয়ের অপরূপ মহিমাটি মনোহর মূৰ্ত্তি নিয়ে আবির্ভূত হx যখন আমরা পাঠ করি— আকাশতলে উঠল ফুটে গুলোর শতদল । পাপডিগুলি থরে থরে ছড়াল দিক-দিগন্তুts ঢেকে গেল অঞ্চক to a fনবিড কলে জল । আবার যখন পাঠ করি— শনি শোন ওই পরে যাবে বঙ্গে এক ডাকছে বুঝি মাঝিরে থেয়া পারাপার বন্ধ হয়েছে আঞ্জি ঞ্জ পূবে হাওয়া বয়, কূলে নেই কেউ, সুকুল বাহ্য়ি ওঠে পড়ে ঢট দরদর বেগে জলে পড়ি জল ছল-চুল উঠে বাঞ্জি .এ :থয় পারাপার বন্ধ হয়েছে অtfঞ্জ সু । তখনও আমাদের চেতনাকে অধিকার ক'রে এসে দাড়াঃ বৰ্ষণমুখর আষাঢ়ের সেই চির-পরিচিত ছবিটি । শীতের কুয়াসাচ্ছন্ন সন্ধ্যায় লগুল শহরের বুকে কোন বাঙালীর ছেলে যদি উপরের লাইনগুলি পাঠ করে, সঙ্গে সঙ্গে তার মনে পড়ে যাবে বঙ্গদেশের একটি মেঘকজ্জল দিবসের স্মৃতি যখন আকাশ থেকে জল ঝ'রে পড়ছে অনিবার, ঝাপসা হয়ে গেছে ওপারের তরুশ্রেণী, নদীর কূলে কূলে জেগেছে উচ্ছল জলের কলরোদন, বিদায় fময়েছে খেয়াঘাটের মাঝি, আর একাকী পথিক পৃষ্ঠঘাটে প্রাণপণে ডাকছে তাকে পার ক'রে দেওয়ার জন্ত । করে ধনধারা নব পল্লবে, কঁপিছে কানন ঝিল্লীর রযে, ষ্টীর ছাপি নদী কলকপ্লোলে এলো পঞ্জীর কাছে র । এই লাইন কয়টির মধ্যেও শব্দের এমন একটি স্বাদু আছে যে পড়বার সঙ্গে সঙ্গে আমরা যেন শুনতে পাই, বর্ষণমুখং