পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

マラi了 নুটু মোক্তারের সওয়াল \!S জামাদের ‘হেঁসো- খেজুরগাছের গলা কাটবার জন্তে থাটি ইম্পাতে তৈরি অন্ত্র—এই এর ।” কুটুবাবু এবার সরকারী কৰ্ম্মচারীবৃন্দের দিকে হস্ত প্রসারিত করিয়া বুঝাইয়া দিলেন, এটা বলা হইতেছে তাহাদিগকে । “খেজুরগাছের কাছে রস আদায় করতে হ’লে হেঁসে না হ'লে হয় না। ষ্টেসে চালালে গল গল ক'রে মিষ্ট রসে খেজুরগাছ কলসী পূর্ণ ক’রে দেয়। আজ তেমনই এক কলসী রস আমাদের বিলাতী পাল-দেওয়া কাঞ্চননগরী ক্টসে এই ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব বাহাদুরের কল্যাণে এ চাঞ্চলtর লোকে পেয়েছে, তাতে তাদের বুকফাটা তৃষ্ণার থানিকট নিবারণ হবে। এ জন্তে ঠেসে এবং থেম্বুরগাছ ই-তরফকেই ধন্যবাদ দিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করলাম।” কুটুবাবু বসিলেন। কিন্তু করতালিধ্বনি বিশেষ উঠিল না, মাত্র কয়ট অবোধ ছেলে সোৎসাহে হাততালি দিম্বা উঠিল। এতক্ষণে সভাস্থ সকলে হাতের উপর বারকয়েক হাত নাড়িলেন, কিন্তু শব্দ তাহাতে উঠিল না । তার পর সভাপ্রাঙ্কণ নিস্তষ্ক, সকলেই কেমন অস্বাচ্ছন্দ বোধ করিতেছিলেন । সমস্ত সভাট বায়ুপ্রবাহহীন মেঘাচ্ছন্ন বধারাত্রির মত ক্লেশকর হইয়া উঠিয়াছে । মূখুজ্জে বাবুরা মাথা হেঁট করিস্থ রুদ্ধ রোধে অজগরের মত ফুলিতেছিলেন । কোন মতে সভা শেষ হইয়া গেল, অভ্যাগতরা সকলে বিদায় হইয়া গেলেন, তার পর মুখুজের মাথা তুলিলেম । মাথা তুলিলেন বিষধর অজগরের মতই।--হুটু মোক্তারকে ধ্বংস কfরবার প্রতিজ্ঞ করিয়া তাহার। আপন আপন অন্দরে প্রবেশ করিলেন । 彎 變 @籍 সংবাদটা কিন্তু হটুবাবুর নিকট অজ্ঞাত রহিল না, যথাসময়ে রামপুরে বসিয়াই তিনি কঙ্কণার সংবাদ পাইলেন। বৃদ্ধ মুন্সেক্ষবাবুই উহাকে সংবাদটা দিলেন, কথাটা উহারই কানে আসিয়া পৌছিয়াছিল। সংবাদ শুনিয়া হুটুবাৰু হাসিয়া হাতজোড় করিয়া কাহাকে প্রণাম জানাইলেন । মূপেক্ষবাবু বলিলেন, ‘বাবুদের প্রণাম জানাচ্ছেন না কি ? —ন, মহর্ষি দুৰ্ব্বাসাকে প্রণাম জানালাম । —ত হ’লে বলুন নিজেকেই নিজে প্রণাম করলেন, লোকে ত আপনাকেই বলে কলিযুগের দুৰ্ব্বাস । কুটুবাবু বলিলেন, “না। তা হ’লে কোন দিন লক্ষ্মীর দম্ভ চূৰ্ণ করবার জন্ত সাগরতলে তাকে আবার একবার নিৰ্ব্বাসনে *?ां उtश * 豪 彎 穆 হুটু মোক্তার ঐ এক ধারার মাতুষ । তিনি যে সেদিন বলিয়াছিলেন, “আমার মা আমার মূপে নিমের মধু দিয়েছিলেন সে কথাটা ঠাঙ্গর অতিরঞ্জন নয়, কথাটা B DDBB BBBB BDDBS Bu BBBS BBBBDD হইতেই ঐ তাহার স্বভাব । প্রথম জীবনে বি-এ পাস করিয়া টুবাবু স্কুল-মাষ্টারী গ্রহণ করিয়াছিলেন । মনে মনে কামনা ছিল শিক্ষকতার একটি আদর্শ তিনি স্থাপন করিয়া যাইবেন । কিন্তু ঐ স্বভাবের জগুষ্ট তাহার সে কামনা পূর্ণ হয় নাই, শিক্ষকতা পরিভাগ করিয়া মোক্তারী ব্যবসায় অবলম্বনে বাধ্য হইয়াছেন । ঘটনাট ঘটিয়াছিল এক্টরূপ : গে-বার পূজার সময় উাহার গ্রামের ধনী এবং জমিদার চাটুজ্জেদের বাড়ীতে নিমন্ত্রণ থাইয়ু আসিয়া তাহার স্ত্রী কাদিয়া ফেলিয়া বলিল,

  • আর আমি কোথাও নেমস্তয় খেতে যাব না ।"

কুটুবাবু কি একখান বই পড়িতেছিলেন, তিনি মুখ তুলিয়া প্রশ্ন করিলেন—‘কেন ? এ "কেন’র উত্তর তাহার স্ত্রী সহজে দিতে পারিল না, বলিতে গিয় বার-বার সে কাদিয়া ফেলিল। বিরক্ত হুইয় ফুটুবাবু বই বন্ধ করিয়া ভাল করিয়া উঠিয়া বসিলেন। প্রশ্নের পর প্রশ্ন করিয়া বস্থ কষ্টে অবশেষে জানিলেন, তাহার স্ত্রী দুর্ভাগ্যক্রমে গ্রামের বর্ধিষ্ণু ঘরের সালঙ্কার বধূদের পংক্তিতে থাইতে বসিয়াছিল, ফলে পরিবেশনের প্রতিটি দফণতেই সে অপমানিত হইয়াছে । যে ভাবে গৃহকত্রী ও দাসীর প্রতি প্রত্যক্ষেই দুই ধারার ব্যবহার হইয়া থাকে সেই ভাবেই সে দাসীর মত ব্যবহারই পাইয়াছে । হুটুবাবু কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রহিলেন ; তার পর আপন মনেই বলিলেন—দুৰ্ব্বাস মিথ্যে তোমায় অভিসম্পাত দেয় নি । সে ঠিক করেছিল ।