পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র মুটু মোক্তারের সওয়াল అళిత করিলেন না, যেমন ধ্যানে বসিয়াছিলেন তেমনি ভাবেই বসিয়া রহিলেন । মাসখানেক পর কঙ্কণা বাবুদের বাড়ীতে আবার একটা সমারোহ হইয় গেল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে দুৰ্য্যোধন দ্বৈপায়ন হ্রদে আত্মগোপন করিলে পাণ্ডবেরা সমারোহ করেন নাই, কিন্তু কটু মোক্তার পরাজয়ের লজ্জায় মোক্তারী পূৰ্বাচ্চু ছাড়িয়া দিয়া কলিকাতায় পলাইয়া গেলে কঙ্কণার বাবুরা বেশ একটি সমারোহ করিলেন। সেই সমারোহের মধ্যে তাহার ঘোষণা করিলেন—বেটাকে ঢাক বাজিয়ে মোক্তারী ছাড়ালাম, এষ্ট বার টিন বাজিয়ে গ। থেকে তাড়াতে হবে । * বড়কৰ্ত্ত বলিলেন, ‘তার আগে ওই বেটী মহাভারতকে শেষ কর, আঠার পর্কের এক পৰ্ব্বও যেন বেটার না থাকে । 壽 橡 尊 বংসর তিনেকের মধ্যেই কঙ্কণার বাবুদের সে প্রতিজ্ঞাও প্রায় পূর্ণ হইয়া আসিল । মহাভারত সৰ্ব্বস্বাস্ত হইয়া মনে মনে {...স্কুতির একটা সহজ উপায় অনুসন্ধান করিতে লাগিল । কিছু আশ্চর্ষ্য গোয়ার মহাভারত, কিছুতেই বাবুদের পায়ে গড়াইয়া পড়িল না । হুটু মোক্তার সেই দেশ ছাড়িয়াছেন আজও ফেরেন নাই। স্ত্রী আছেন তাহার পিত্রালয়ে। সেদিন জমিদারের হিতৈষী গ্রাম্য মওল আসিয়া মহাভারতকে বলিল, ‘ওরে, বাবুদের পায়ে গিয়ে গড়িয়ে পড় । জলে বাস ক’রে কি কুমীরের সঙ্গে বাদ করা চলে ?” ছন্নমতি মহাভারত উত্তর দিল, ‘কুমীরে বাদ করলেও খায়, না-করলেও খায়। তার চেয়ে বাদ ক'রে মরাই ভাল । মগুল বিরক্ত হইয়া বলিল, "আলক্ষ্মী ঘাড়ে ভর করলে মানুষের এমনি মতিই হয় কি না ? মহাভারত বলিল, "আলক্ষ্মীই আমার ডাল দাদা, উনি কাউকে ছেড়ে যান না।" মণ্ডল অবাক হইয়া গেল, অবশেষে বলিল, “তোর দোষ কি বল, নইলে- ব্রাহ্মণ-জমিদার—’ মহাভারত অকস্মাৎ যেন ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিল, সে চীৎকার করিয়া হাত-পা নাড়িা ভজি করিয়া বলিল, ‘চণ্ডাল-কসাই -চণ্ডাল—কসাই ! عیسی سی দিন দুই পরই গভীর রাত্রে মহাভারতের ঘরের জীর্ণ চালে আগুন জলিয়া উঠিল । নারী ও বালকের জাৰ্ত্ত চীৎকারে লোকজন আসিয়া দেখিল, মহাভারতের ঘর জলিতেছে, কিন্তু মহাভারতের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নাই, সে একজন দীর্ঘকায় কালো জোয়ানের বুকে নিৰ্ম্মম ভাবে চাপিয়া বসিয়া আছে । বহু কষ্টে লোকটাকেই সর্বাগ্রে মহাভারতের কবল মুক্ত করা হইল । সে ইপিাইতে ইণপাইতে ক্ষীণ কণ্ঠে বলিল—জল ! মহাভারত লাফ দিয়া গিয়া জলন্ত চালের একগোছা খড় টানিয়া আনিয়া বলিল—খা ! ঐ লোকটাই মহাভারতের ঘরে আগুন দিয়াছে, লোকট। কঙ্কণার বাবুদের চাপরাসী । মহাভারত তাহাকে পুলিসের হাতে সমর্পণ করিল। পরদিন সে অত্যন্ত হৃষ্টচিত্তে দগ্ধ গৃহের অঙ্গার লইয়া তামাক সাজিয়া পরম তৃপ্তি সহকারে তামাক টানিতেছিল, এমন সময়ে কে তাহাকে ডাকিল— মহাভারত ! মহাভারত বাহিরে আসিয়া দেখিল, জমিদারের গোমস্ত। দাড়াইয়া আছে । সে চীংকার করিয়া উঠিল, “মিটমাট আমি করব না হে! কি করতে এসেছ তুমি ? গোমস্ত হাসিন্ধু বলিল, ‘আরে শোন—শোন— কোন কিছু না শুনিয়াই তাহার, মুথের কাছে দুই হাতের বুড়া আঙল ঘন ঘন নাড়িয়া মহাভারত বলিল, ‘খট থট লবডঙ্ক!--খট খট লবডঙ্ক:-—আর আমার করবি কি ? গোমস্ত মুখ লি করিয়া ফিরিয়া গেল, যাইবার সময় কিন্তু বলিয়া গেল, ‘জানিস বেট চাষী—পৃথিবীটা কার বশ ? fদন দুয়েক পরেই রামপুর হইতে মুটুবাবুর পুরাতন মুহুরীটি আসিয়া মহাভারতকে লইয়া চলিয়া গেল । সেই দিনই দ্বিপ্রহরে রামপুরের ফৌজদারী আদালতে মহাভারতকে সঙ্গে লইয়া কুটুবাৰু উকীলের গাউন পরিয়া আদালতে প্রথম প্রবেশ করিলেন । তিনি উকীল হইয়া ফিরিয়াছেন । তিনি এত দিন কলিকাতায় আইন পড়িতেছিলেন । 彎 এবার কঙ্কণার বাবুর বেশ একটু চিন্তিত হইয়