পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভঞ্জি নুটু মোক্তারের সওয়াল శ్రీలగి ৫ টু যে আমাদের ইন্দ্রপুরী বানিয়ে ফেলেছে—এn! বঃ—বা — বা বলিহারি—বলিহারি । কর্তার পুত্র এক জন থানসামাকে বলিলেন, ‘একবার উকীলবাবুকে খবর দাও দেখি—বল কঙ্কণার বড়কর্তা সেজকর্তা এসেছেন।" হুটুবাৰু বিস্থিত হইলেন, এবং অভ্যস্ত ব্যস্ত হইয়া নীচে নামিয়া আসিয়া বলিলেন, “জাস্কন, জাস্কন, আস্কন ! মহাভাগ্য আমার আঙ্গি " বড়কওঁ বলিলেন, “সে তো না বলতেই এসেছি হে, এখন বসতে দেবে কি না বল, না তাড়িয়ে দেবে ? হুটুবাবু একটু অপ্রস্তুত হইয়া বলিলেন, ‘দেখুন দেখি, তাই কি আমি পারি, না কোন মাহুষে পারে ? বড়কওঁ৷ মুচকি হাসিয়া বলিলেন, ‘আঞ্জ তোমার সঙ্গে সওয়াল করব, দাড়াও । দেশের মধ্যে তো তুমি এখন সব চেয়ে বড় উকীল-এ-ঞ্জেল ও-জেল থেকেও তোমাকে নিয়ে যায়—দেখি কে হারে ? হুটুবাবু ব্যস্ত হইয়া বলিলেন, ‘বেশ এখন বহন ' বড়কর্তা বলিলেন, ‘ধর, তোমার বাড়ী ভিখারী এসেছে, তাকে বসতে বলে আর কি আপ্যায়িত করবে, যদি ভিক্ষেই তাকে না দাও।” ফুটুবাৰু জোড়হাত করিয়া বলিলেন, “আমার কাছে আপনার ভিক্ষে চাইবেন, এ যে বড় অসম্ভব কথা, আশঙ্কার এ ষে বলির স্বারে বামনের ভিক্ষে চাওয়া । বেশ আগে বহন ।" বড়কৰ্ত্ত বার-বার ঘাড় নগড়িয়া বলিলেন, “উহু । আগে তুমি বল যে দেবে, তবে বসি—নইলে যাই।” চট্টবাবু বলিলেন, বেশ বলুন, সাধোর মধ্যে যদি হয় তবে দেব জামি ? বড়কওঁ বলিলেন, “তোমার ছেলেটিকে আমাকে ভিক্ষে দিতে হবে, আমার নাতনীটিকে তোমাকে আশ্রয় দিতে হবে ।” র্তাহার পুত্ৰ আসিয়া কুটুবাবুর হাত দুটি চাপিয়া ধরিল, ফুটুবাৰু বিম্মিত হইয় তাহাদের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। कथ| ! সেজকৰ্ত্ত বলিলেন, ‘তোমার ছেলে খুব ভাল, বি-এতে এম-এতে ফাষ্ট হয়েছে, তুমিও এখন মস্ত ধনী, বড় বড় জায়গা থেকে তোমার ছেলের সম্বন্ধ আসছে—সবই ঠিক । কিন্তু কঙ্কণার মুখুজেদের বাড়ীর মেয়ে ধনে কুলে মানে অযোগ্য হবে না। রূপের কথা বলব না, সে তুমি নিজে দেখবে ।" ঘটুবাবু বড়কর্তার এবং সেজকৰ্ত্তার পায়ের ধুলা লইয়া বলিলেন, “আপনাদের নাতনী আমার বাড়ী আসবে— সত্যিই সে আমার সৌভাগ্য ’ সমারোহের মধ্যেই যে বিরোধের সূত্রপাত হইয়াছিল—সমারোহের মধ্যেই তাহার অবসান হইয়া গেল । 嶺 夢 鬱 বিবাহ শেষ হইয়া গেল । অনুষ্ঠান শেষ হইলেও উৎসবের শেষ তথনও হয় নাই । সমাগত আত্মীয়স্বজনদের সকলে এখনও বিদায় লয় নাই । কয়েকটি হাভাতে অতিলোভী আত্মীয় বিদায় লইবে বলিয়া বোধ হয় না। তাঁহাদের ছেলে গুলার জালায় ছবি, ফুলদানীগুলি ভাঙিয়া প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছে । মুটুবাবু প্ৰাতঃকালে একখানা ইঞ্জি-চেয়ারে শুইয়া তামাক টানিতে টানিতে ঐ কথাই ভাবিতেছিলেন। নিয়মের ব্যতিক্রমে, অপরিমিত পরিশ্রমে শরীর তাহার অকুস্থ - বেশ একটু জবও যেন হইয়াছে। চাকরটা আসিয়া সংবাদ দিল—র্তাহার ফাউণ্টেন পেনট পাওয়া যাইতেছে না । হুটুবাবুর রক্ত যেন মাথায় চড়িয়া গেল । তিনি তৎক্ষণাৎ গৃহিণীকে ডাকিতে বলিলেন । গৃহিণী আসিতেই তিনি বলিলেন, ‘রতনপুরের কালীর মাকে, পারুলের শুামঠাকরুণকে আজই বাড়ী যেতে বলে দাও।” সবিস্ময়ে গৃহিণী বলিল, তাই কি হয় ? নিজ থেকে না গেলে কি যেতে বলা যায়! আপনার লোক—" হুটুবাবু বলিলেন, “আপনার জনের হাত থেকে আমি নিস্তার পেতে চাই বাপু, দোহাই তোমার বিদেয় কর ওদের । বরং কিছু দিয়ে থুয়ে দাও-চলে যাক ওর, নইলে ঘরদোর পর্ধাস্ত ভেঙে চুরমার করে দেবে ? গৃহিণী একটু বিত্রত ভাবেই অন্দরের দিকে চলিয়া গেলেন। মুটুবাৰু ক্লাস্তভাবেই চেয়ারে গুইয়া বোধ করি