পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন ভারতের নারী-কবি শীলা ভট্টারিকা ডক্টর ঐযতীন্দ্রবিমল চৌধুরী, পিএইচ-ডি (লণ্ডন ) জগতে কোনও জাতি যখন বড় হয়, তখন সে জাতি কেবল পুরুষ বা কেবল নারীকে নিয়ে বড় হয় না, হ’তে পারে না। নারী-শিক্ষার বাধা ঘটিয়ে নারীর স্বভাবতঃ বৰ্দ্ধনকুশল মঙ্গলপথ কন্টকসঙ্কুল করার দীনহীন প্রচেষ্টা করে প্রাচীন ভারতসমাজ নিজকে পলু করার উন্নত্ত অভিপ্রায় কখনও জ্ঞাপন করে নি। এ প্রবন্ধে প্রাচীন ভারতের শুধু এক জন মহিলা কবির কথা বলব—ষ্ঠার নাম শীলা ভট্টারিক। তিনি হৃদয়োখ যুক্তিতে বহু শতাব্দী ধ'রে ভাবগ্রাহীবৃন্দের শ্রীতিরঞ্জন ও জ্ঞানপিপাস লিবারণ করেছেন । রাজশেখর ১ ও ধনদদেব২ শীলার স্তুতি-পাঠ ও ভক্তিগর্ত বন্দন! জ্ঞাপন করেছেন । সাহিত্য-মহারথীরাওe তার স্বতঃই তার আবির্ভাব-সময় আমাদের হৃদয়ে কৌতুহলের সঞ্চার করে। শীলা ভট্টারিকার “ধঃ কৌমারহর: স এব হি” ইত্যাদি কবিতা রাজানক রুঘ্যক তার অলঙ্কারসর্বস্ব৪ নামক গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন । এই পুস্তক খ্ৰীষ্টীয় ১১৫০ অব্দে রচিত হয়। খুব সম্ভবতঃ এ পুস্তকের আরও কিছুকাল আগে কবীন্দ্রবচন-সমুচ্চয় নামক গ্রন্থ সংগৃহীত হয়। এখানেও এ কবিতাটি বাণী উদ্ধৃত করেছেন। ( ১ ) জহ্নলের সুক্তি-মুক্তাবলী-সংগ্রহ, ভাণ্ডারকর সংগৃহীত হস্তলিখিত ৩৭ নং পুথি ( পুন৷ ১৮৮৪-৮t ), ফলিও ২৩ খ ; ভাণ্ডারকরের রিপোর্ট ( ১৮৮৭-৯১ ) ১৬থ । (২) শাঙ্গাধর পদ্ধতি, কবিতা-সংখ্যা ১৬৩ ৷ (৩) পরবর্তী পাদটীকাগুলি দেখুন। ( 8 ) কাব্য-মালা সরিজে ( ১৮৯৩ ) দুর্গাপ্রসাদকুভ সংস্করণ, পৃ: ১২৭-২৮, ২• • • অন্যান্য অলঙ্কার-গ্রন্থেও এ শ্লোক উদ্ধ,ত হয়েছে ; যথা, বিশ্বেশ্বর পণ্ডিতের অলঙ্কার-কৌস্তুভ পণ্ডিত শিবদাসের সংস্করণ ( ১৮৯৮), পূ: ৩৩৬ ; শিঙ্গভূপালের রসার্ণবসুধাকর ত্ৰিবেশ্রাম সংস্করণ, ( ১৯১৬) ১৫৩ পৃ: ; রাজচুড়ামণি দক্ষিতের কাব্য-দৰ্পণ, সুব্রহ্মণ্য শাস্ত্রীর সংস্করণ, পৃঃ ১৩-১৪ ; বিশ্বনাথ কবিরাজের সাহিত্যক্ষপণ, কাণের সংস্করণ, পূ: ৩ । দৃষ্ট হয়। “ইদমসুচিতমফ্রমশ্চ পুংসামূ" ইত্যাদি কবিতাটি শীলা ভোজরাজের সঙ্গে শারি-ক্রীড়া করতে করতে কথোপকথনচ্ছলে রচনা করেন - শাঙ্গ ধর-পদ্ধতিতে এরূপ কথিত আছে । স্থতরাং তিনি ভোজরাজের সমসাময়িক ছিলেন । আবার দেখা যায়ু—কবি রাজশেখর শীলার নাম উল্লেখ করেছেন ও স্বতরাং শীলা রাজশেখরের সমসাময়িক বা পূৰ্ব্ববৰ্ত্তিনী ছিলেন। আমরা জানি যে রাজা মিহিরভোজ রাজশেখরের সমসাময়িক (যদিও বয়সে কিছু বড় )। নিশ্চয় এ ভোজরাজের সঙ্গেই শীল কথোপকথন করছিলেন। সুতরাং শীলা খ্ৰীষ্টীয় নবম শতাব্দীতে বর্তমান ছিলেন। শীলার যুগের কবিশেখর রাজশেখর বলেছেন—সংস্কার আত্মার ধৰ্ম্ম ; তাই কবিত্বে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ; শোনাও যায়, দেখাও যায় রাজদুহিতা প্রভৃতি অনেক মহিলা-কবি রয়েছেন । নারীদের কবিত্বশক্তির উচ্চ আদর্শে অনুপ্রাণিত, বিজ। প্ৰভুদেবী লাটী স্বভদ্রা প্রভৃতি মহিল-কবিদের প্রাণের ভক্তি-পুষ্পাঞ্জলিপ্রদানকারী রাজশেখরের “দেখা যায়” এই কথার সবচেয়ে বড় সার্থকতা এক দিকে যেমন তার অন্ত:পুরচারিণী কবি অবস্তিস্বন্দরী, অন্ত দিকে তেমন তার রাজসভার শ্রেষ্ঠ নারীকুলশোভ শীল ভট্টারিকা । সকল দেশের ও সকল জাতির কাব্যের প্রাণ প্রেম। কবি শীলা ভট্টারিকাও এ চিরপুরাতন এবং চিরনবীন বিষয় নিয়ে কবিতা রচনা করেছেন । নর-নারীর প্রেম ও তদন্তচর ( ১ ) বিব্লিওথেকা ইণ্ডিক, গ্রন্থাঙ্ক ২•৮, পৃ: ১৫১ ৷ (২) কবিতা-সংখ্যা ৫৬৪ । এষ্ট কবিতা মন্মটের কাব্যপ্রকাশ ( বাণহটির সংস্করণ, পূ: ৩৪১ ) ও অপ্তান্ত অলঙ্কার-গ্রন্থেও উদ্ধত হয়েছে । (৩) জহলনের যুক্তি-মুক্তাবলী-সংগ্রহ, ভাণ্ডারকার সংগৃহীত হস্তলিখিত ৩৭ নং পুথি (পুনা ১৮৮৪-৮৫ }, ফলিও ২৩থ । ( ৪ ) কাব্য-মীমাংস, বড়োদা সংস্করণ ( ১৯১৬ ), পুং ৫৩ ৷