পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՅtyք অম্ভরীনের পত্র ঃ ভারত-শিল্পের অনুশীলন (ԿՓՏ ভাল ফটােগ্রাফ কিংবা বহু মূল্যের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে Etoll 44-2 fosfofa (colour-facsimile ) "Itaobi আমাদের দিতে পারে। কিন্তু সাধারণ সস্তা দামের পুস্তকে, উচ্চ শ্রেণীর শ্রেষ্ঠ প্রতিলিপি দেওয়া সম্ভব হয় না । স্কুরোপে শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক উপায়ে উৎকৃষ্ট চিত্রের হুবহু নকল ছাপা হয়। কোন কোন ভারতীয় চিত্রের উৎকৃষ্ট বর্ণপ্রতিলিপি ছাপা হয়েছে । আমার মতে যাদের পক্ষে আসল fচত্র দেখবার স্থযোগ নেই—এই সকল শ্রেষ্ঠ পদ্ধতির প্রতিলিপি বিশেষ উপযোগী । অনেক বই পড়ে, বা হাফটোন প্রতিলিপি ঘেটে যা না পাওয়া যায়, তার চেয়ে অনেক বেশী—এই শ্রেণীর হুবহু প্রতিলিপিতে আছে । বিশেষজ্ঞের রচিত পুস্তকে শিল্পের তত্ত্বাংশ, দার্শনিক অংশ, শিল্পের উৎপত্তি, জীবন-চরিত, ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব, কালfনর্ণয় ইত্যাদি নানা অবাস্তর কথা থাকে। তাহার দ্বারা শিল্পের স্বরূপনির্ণয় ও রসাস্বাদন হয় না । সাক্ষাং দৃষ্ট্রির পথে, ছবি ও পুতুলের সঙ্গে মিতালি পাতাতে হবে। পুথির পাতায়, কিংবা খেলো হাফটোনের ছবিতে—শিল্পের মহিমা প্রায় খুঁজে পাওয়া যায় না। আসল প্রতিমা ও আসল চিত্র অনবরত দেখতে দেখতে তবে আমাদের দৃষ্টিশক্তি, শিল্পকে বুঝবার, তাহার রূপের যথার্থ অস্বাদনের সামর্থ গড়ে ওঠে । তত্ত্বাংশের লিখিত কথা-কাটাকাটির মধ্যে শিল্পের দেবতা অস্তৰ্হিত হন । শিল্প-সাধনার পথ নিৰ্ব্বাক আরাধনার পথ। সাক্ষাৎ দৃষ্টির পথে তাহার রূপের আরাধনা করতে হবে । রূপ-বিদ্যা চক্ষু-গ্ৰাহ বিদ্যা । পুথি পড়ে এই বিদ্যা দখল করা যায় না। অনেক গান শুনতে শুনতে তবে সঙ্গীতের রসবোধশক্তি গড়ে ওঠে । অনেক ছবি দেখতে দেখতে তবে ছবি দেখবার, তার রস জাম্বাদন করবার শক্তি জন্মায়। ভারতের মৰ্ম্মস্থান তার শিল্পকলার মধ্যে নিহিত আছে। তার স্বরূপ দৃষ্ট্রির অধিকারলাভ, মানব-জীবনের শ্রেষ্ঠ সাধন, শ্রেষ্ঠ অধিকার। আপনার সাধক, আপনার ভক্ত, আপনার সেই অধিকার নিয়ে জন্মেছেন। আপনার সাধনার বলে ভারতের শিল্পদেবতার জ্যোতিঃদর্শন এক দিন নিশ্চয় লাভ করবেন। আমি দুর্ভাগ্য, আমার ভাগ্যে তা ঘটল না। আপনাদের মধ্যে যদি আপনার মত ভারতের শিল্পের ভক্ত ও সাধক مساس ۹b অনেকে থাকেন, (আমার বিশ্বাস—হয়ত অনেকে আছেন),— তাদের সাধনার সহায়তার জন্য পুথির বদলে ভাল ভাল ছবির প্রতিলিপির পোট ফলিয়ে পাঠানর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। জানবার তৃষ্ণ বেশী হ'লে, তৃষ্ণার তৃপ্তির স্বধা-বারির কখনও অভাব হয় না, এই আমার বিশ্বাস । তৃষ্ণ তীব্র হয়ে ধখন গর্জন ক'রে ওঠে, আকাশের বর্ষণ তখনই স্কলভ হয়। আপনারা যদি এক-যোগে এই চিত্র-চর্চার স্বধোগ দাবি করেন—সরকারের পক্ষ থেকে কোন আপত্তি হবে বলে আমার মনে হয় না। আপনার আমার এই প্রস্তাব গ্রহণ করলে মাঝে মাঝে ছবির মুরুখ খা ( Portfolio of pictures ) পাঠানর ব্যবস্থা করা যেতে পারে । আপনি ভারতীয় শিল্প সম্বন্ধে অনেক পুস্তক পড়েছেন । আরও দু-চার থানা পুস্তকের ফর্দ নীচে লিখে পাঠালুম, এবং এই সঙ্গে আমার লেখা দু-চার থানা পুস্তিকা ও প্রবন্ধ পাঠালুম। যদি ভাল লাগে পড়ে দেখবেন। আমি সাহিত্যিক নই, সুতরাং পণ্ডিত সমাজে আমার রচনা পঠনীয় নয় । আপনার কারাগার বরণ ক'রে যে মুক্তি পেয়েছেন, কৰ্ম্মের বন্ধন থেকে অস্তত: কিছু দিনের জন্য ধে মোক্ষ লাভ করেছেন, বহু চেষ্টাতেও আমরা তথাকথিত স্বাধীন ও মুক্ত পুরুষ—তাহার কিছুই পাই নি। মধ্যে মধ্যে ছবি, পুতুল ও পুস্তকের প্রাচীর নির্মাণ করে, রূপ সাধনার শৃঙ্খল নিৰ্ম্মাণ করে, সামাজিক ও কৰ্ম্মজীবনের মুক্ত ক্ষেত্র হ’তে পালিয়ে এসে, আপনার কুঠরির মধ্যে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করি। কিন্তু আমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও কর্মজীবনের সহচরগণ দেীবারিকের মূৰ্ত্তি গ্রহণ করে, ওয়ার্ডারের থাকী পরে, আমার স্বরচিত চোর-কুঠরি বা প্রিস্ন-সেল থেকে ক্রমাগত টেনে বার করে, তথাকথিত মুক্তির পথে, কৰ্ম্মের অবরোধের পথে, সাধনার বাধার পথে । আমার এক বন্ধু আছেন, তিনি সৰ্ব্বদাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন যেন তিনি তার হাত পা কেটে দিয়ে, চলাফেরার পথ বন্ধ করে দিয়ে—তাকে আসল মুক্তি দেন । চীনদেশে এক জন ভারতের ধৰ্ম্ম-সাধক গিয়েছিলেন ধৰ্ম্ম প্রচার করতে। অনেক মঠ ও মন্দির প্রতিষ্ঠিত করে, শেষ জীবন তিনি উার সাধন-মন্দিরে একটি ক্ষুত্র কুঠরিতে