পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sඹ්Sඹ්ෂ প্রবণসী ఎలి8g মাংস নিয়ে কাড়াকড়ি আরম্ভ ক’রে দিলে। কতক তারা রান্না ক’রে থেয়ে শেষ করল—কতক ভবিষ্যতের দুদিনের জন্যে শুকিয়ে রাখল। আশ্চৰ্য্য এই জাত, কি না খায় এরা । ব্যাঙ তো দেখছি এদের উপাদেয় খাদ্য । এদেশের ব্যাঙগুলির ঠ্যাং শরীরের চাইতে দ্বিগুণ লম্বা। কেরিণরা রাতের বেলায় মিডাই ( এরা পচা কাঠ ও গর্জন তেল দিয়ে তৈরি মশাল ) জেলে পাহাড়ের গর্ভে এবং নালায় ব্যাঙ খুজে খুজে বেড়ায় । সভ্য জগৎ থেকে বহু দূরে এই আনন্দময় ধ্যমে অগাধ শাস্তির মধ্যে সপ্তাহ দুই কাটাবার পর দেশে ফিরবার দিন আমাদের ঘনিয়ে এল। দুস্তর জঙ্গল-সমুদ্র পার হয়ে যখন আমরা আবার মৌলমিনে ফিরে এলাম, তখন আমাদের অবস্থা প্রায় অৰ্দ্ধমুতের মত । আট-দশ দিন পরে আমরা রেঙ্গুন যাত্রা করি। ইচ্ছা ছিল এখান থেকে পেগু, ম্যাণ্ডালে, মেমিও প্রভৃতি শহরে বেড়িয়ে তবে দেশে ফিরব । কিন্তু রেজুনে এসে দেখি এখানে বেশ গরম পড়েছে। তা ছাড়া শরীরও দুৰ্ব্বল থাকায় আমরা আর কোথাও যাওয়া সমীচীন বোধ না করে এখানেই স্থিতিলাভ করলাম । চৈত্র-সংক্রাস্তির দিনে এখানে এক প্রকার জলখেলা হয়—ঠিক তেমনই ভাবে, যেমন আমরা ফাগ থেলি । জল-খেলার সম্বন্ধে এদের দেশের রীতি এই যে, এর বৎসরের শেষে, মেয়েপুরুষে, যার যে-বারে জন্ম সেই বারের নামে নাম-করা টুলে বসে পাচ-রকম ফুলের পাত, মাথঘসা ইত্যাদি দিয়ে স্নান করে । স্নানের পর নূতন পোষাক পরে তানাথ ( এই দেশীয় চন্দন ) মেখে বেশভূষা ক’রে বর্ষাকে আহবান করে । তাদের বিশ্বাস, এই সব ক্রিয়া এবং ক্রীড়ার পর অঝোর ধারায় বর্ষ নামে এবং তাতে ক'রে তাদের শরীর এবং মন থেকে গত বৎসরের পাপতাপ मद दूtग्र भू६ शघ्र ; cमझे मरत्र ८म:भद्र€ भशल इग्न । কৃষকদের ধান্ত রোপণ এবং আবাদের প্রচুর স্ববিধা হয়। এর সব এক-এক দিন এক-এক রকম পোষাক পরে । রাস্তার ধারে বড় বড় ট্যাঙ্ক বসিয়ে তাতে জল ভরে এবং কখনও কখনও তাতে বরফ মিশিয়ে ঠাও ক'রে গাড়ী, ঘোড়া, ট্রামবাস, এবং পথচারী পথিকদের সর্বাঙ্গ ভিজিয়ে দেয়। কেউ এতে প্রতিবাদ করে না । ছ-সাত দিন এই সমারোহ চলে এবং তার ফলে না কি এক দিন বৃষ্টিও নামে । বালতি বালতি জল শোকের গায়ে ঢেলে ও অদ্ভুত আমোদ উপভোগ করে । বাইরের নানা শঃ থেকে লোকে পয়সা খরচ ক'রে এই জল-খেলার আ... উপভোগ করতে আসে । শেষের দিনে গাড়ী ক'রে এর একটা শোভাযাত্র বার করে । সোয়েডাগন প্যাগোডা সম্বন্ধে আগেই কিছু বলেছি এই প্যাগোডার দেশে এসে আর একবার সে অপরূপ দুখ ন-দেখে মনে শাস্তি পাচ্ছিলাম না ; এ-সপ প্যাগোড় ধে. দুর্গবিশেষ। এর ভেতরে যাবার চাfর দিকে চারিটি ফটক আছে । সেই ফটক পার হয়ে সিড়ি বেয়ে প্রায় দশ মিনিটের রাস্তা গেলে তবে মধ্যস্থলে পৌছান যায় । সিড়ির দুষ্ট পাশে দোকাণের সারি, সেখানে এদেশের যাবতীয় জিনিষ ( খেলনা থেকে আরম্ভ ক’রে ফুল প্রভৃতি সবই ) কিনতে পাওয়া যায়। মনে হয় ধেন ছোট একখানি গ্রাম । চারি দিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন । মাৰ্ব্বেল পাথরের মেঝেতে সুন্দর বসনে আবৃত হয়ে ধনী নিধন বর্ণীরা দলে দলে, মেয়েপুরুষে এসে বসছে। সবারই হাসিখুশী মুখ, আর সেই মুখে তানাখ পাউডার মাথ। কেউবা ব'সে মাগাঙ্গণ করছে, কেউবা প্রদক্ষিণ করছে । চারি দিকে ছোটবড় নানাবিধ বুদ্ধমূৰ্ত্তি—কোথাও বা শায়িত অবস্থা, কোথাও বা দণ্ডায়মান। এখানে একটি বড় ঘণ্ট। আছে । জনপ্রবাদ, সেট বাজালে আবার তাকে বৰ্ম্মায় ফিরে আসতে হবে। ব্রহ্মদেশ ঘোরা আমার অসম্পূর্ণ থেকে গেছে, তাই মনে ইচ্ছা রইল আবার ফিরে আসব। ঘণ্ট। বাঙ্গালাম, ক্ষতি কি ? এদেশের পোয়ে-নৃত্য দেখতে অতি সুন্দর। অনেকে ব'লে থাকেন, এ-নাচ না দেখে গেলে, ব্রহ্মদেশ ভ্রমণই বুথ হয় । আমরা স্থানীয় কপোরেশনের উদ্যানে এক শনিবার সন্ধ্যায় এই নাচ দেখবার হযোগ পেয়েছিলাম । রেসুল ছেড়ে দেশে ফিরতে মন তেমন সাড় দিচ্ছিল না । কিন্তু দেশের মাটি, দেশের জলবার্তা এবং সব চাইতে দেশের লোক আমাদের টানছিল । ত" ১৩ই এপ্রিল শ্রবুদ্ধের চরণ স্মরণ করে আবার অর্ণবপো । পাড়ি দিলাম। নব বৎসরের প্রারম্ভেই যখন গঙ্গার স্বপরি ি জেটিতে আপনার জনের স্মিত মুখ দেখতে পেলাম, ত” বাস্তবিকই প্রসন্নতায় আমাদের সমস্ত মন ভরে উঠেছিল । كص