ভাদ্র জড়ের রূপ পদার্থও ভেদ করিতে সমর্থ—ইহার তরঙ্গাস্তর গ-রশ্মির তরঙ্গাস্তর অপেক্ষাও ক্ষুদ্র এবং প্রচণ্ড শক্তিসম্পন্ন। কুরি এবং জোলিও ঐ রশ্মিকে হাইড্রোজেন-সমম্বিত প্যারাফিনের মধ্য দিয়া প্রেরণ করিয়া দেখাইলেন, ইহা প্রোটন নির্গত করিতে সমর্থ । তাহাদের মতে কমপটন-এফেক্টের ন্যায় হহ হাইড্রেজেন-কোষের সংঘাতে বেগ দান করে । রশ্মি পূৰ্ব্বাপেক্ষ শক্তিমান বলিয়া লক্ষিত হইল। এইরূপে বিভিন্ন পদার্থ অশুসারে ইহার শক্তির বিভিন্নতা লক্ষিত ইষ্টল । চ্যাডউইক্ তখন এই সমস্যার মীমাংসা পূৰ্ব্বক দেখাইলেন যে বেরিলিয়াম-রশ্মি গ-রশ্মি নহে, উহা বিদ্যুৎইন কণামাত্র- বিভিন্ন পরমাণু-কোষের বেগ দান করে। হগৱ ভর রাদারফোর্ডের পূৰ্ব্ব কল্পিত জল এই সংঘাতে তাহাদের জানেব ভরের সমান বলিয়া প্রমাণিত হঠল । ক-রশ্মি বেরিলিয়াম-কোধের ভিতর প্রবেশ পূৰ্ব্বক নিউট্রন নিৰ্গত ❖{ሩ ! কিন্তু একটা বিষয়ে সকলেরই মনে একটু খট্কা বাধিল । ঋণাত্মক বিদ্যুতিনগুলির ভর এত কম অথচ ধনাত্মকের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ ক্ষুদ্র যে প্রোটন তাহার ভর ১৮৩৬ গুণ হইল কিরূপে ? তাহা হইলে কি ধনাত্মক-কণা আরও ক্ষুদ্র হওয়া সম্ভব । ১৯৩২ খ্ৰীষ্টাব্দে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হইতে একই তথ্যের মীমাংসার ফল বাহির হইল । ঠিক ঋণাত্মক fবদ্যুতিমের ন্যায় এক প্রকার বিদ্যুতিনের অস্তিত্ব প্রমাণিত হইল যাহার ভর বিদ্যুতিনের ভরের সমান কিন্তু চাজ ধনাত্মক । লেনিনগ্রাডের স্কোবেলজীন স্বজন-রশ্মি ( cosmic ray ) দ্বারা ইহা দেখাইতে সমর্থ হইয়াছিলেন । এই স্বজনবশ্মি এক প্রকার রহস্যময় রশ্মি । এই জগতে কিছুই স্থির নাই ; এমন কি মহাশূন্তও অস্থির। স্থদুর নক্ষত্র হইতে আলোক-তরঙ্গ আসিয়া সমস্ত শূন্তকে অনবরত অস্থির করিয়া তুলিতেছে। স্বধ্য হইতে অনবরত বিদ্যুতিন-রশ্মি নিৰ্গত হইতেছে। এই বিদ্যুতিন রশ্মি যখন এই পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে আসিয়া পড়ে তখনই "অরোরা"র অদ্ভুত দৃশ্বের আবির্ভাব হয় । বাস্তবিক এই বিদ্যুতিন-রশ্মি পৃথিবীতে আমাদের নিকট আসিয়া পৌছায় না ; বায়ুমণ্ডলের মধ্যে অন্য প্রকার রশ্মি নির্গত করে, তাহাই আমাদের নিকট আসিয়া পৌছায়। প্রায় ত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে কয়েক জন মার্কিন এবং যুরোপীয় বৈজ্ঞানিক বেলুনে চড়িয়া দেখিলেন যে একটি স্বরক্ষিত বিদ্যুত-মাপ-ধস্থ ক্রমশঃ ইহার বৈদ্যুতিক চাজহারাইয়া ফেলিতেছে । স্কোবেলজীন এই আলোকচিত্র, খুব শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে রক্ষিত উতলসন-আধারের সঞ্জন-রশ্মির (Wilson-chamber ) মধ্যে লই য়াছিলেন, এবং চিত্রে যে সমস্ত রেখা পাইয়াছিলেন সেগুলির বক্রতা এবং বিশেষত্ব মিলিকান লক্ষ্য করিয়া কণার ভর এবং চাজ পরিকল্পনা করা কঠিন নয়। কালিফোনিয়ার মিলিকান এবং এণ্ডারসন ও ইংলণ্ডের ব্ল্যাকেট অতি সহজ পরীক্ষা দ্বারা আরও গভীর ভাবে ইহার মীমাংসা করিতে আরম্ভ করিলেন । দুইটি শক্তিমান চৌম্বক মেরুর মধ্যে রক্ষিত একটি বায়বীয় পদার্থ-পূর্ণ আধারে ( chamber ) যখন স্বজন-রশ্মি সম্পাত করা হয় তখন এণ্ডারসন প্রথমে লক্ষ্য করিলেন, কয়েকটি রেখার বক্রতা, ঋণাত্মক বিদ্যুতিনের দ্বারা এত দিন ধাহা লক্ষিত হইতেfছল তাহার বিপরীত। এগুরসন ইহাব নাম দিলেন ধনাত্মক BBBB BBB BBB BB BBBB BBD KBBB BB BB S BBBD S LLLLLLLL S BBBBBB BBB BB BBB
