পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بسیbیخ ۹ যকৃগে, তুই এখন শো গিয়ে, অনেক ভোরে কাল উঠতে হবে ।” মৃণাল বাক্স বন্ধু করিয়া উঠিয়া পড়িল । ঘরের দুই দিকে দুইখানা বড় বড় থাট, তিন-চার জন করিয়া মাতুয এক-একটাতে বেশ গুইতে পারে। সম্প্রতি এখন এক খাটে শোয় মুণাল, টিনি আর চিনি। অগুটায় মামীম। গোপাল আর কাচুকে লইয়া শয়ন করেন। ফু-থানা খাটেই মশারি টাঙানো, পাড়াগায়ে মশার উৎপাত ত আছেই, তাহার উপর সাপেরও অভাব নাই, কাজেই মশারি বারো মাসই খাটানে থাকে। মামীম বলিলেন, “নে তুই ঢুকে পড়, আমি মশারি ভজে দিচ্ছি। চিনির অাবার যা পাতলা ঘুম, কানের কাছে একটা মশা ভন্‌ভন্‌ করলেই সে উঠে বসবে। না-হয় এমন পা ছুড়বে যে কাউকে আর ঘুমুতে হবে না।” মৃণাল বিছানায় উঠিয়া পড়িল । জায়গার অভাব নাই, টিনি চিনি এক কোণে বিড়ালছানার মত পরম্পরকে স্বাকড়াইয়া কুগুলী পাকাইয়া আছে । মামীমাও হারিকেন লণ্ঠনট নিবাইয়া গুইয়ু পড়িলেন । মৃণালের ঘুম জাসিতেছিল না। আসন্ন বিচ্ছেদকাতর মনটা তাহার কেবলই ছটফট করিতেছিল। কিন্তু মামীম। সারাদিন থাটিয়া খুটিয়া শ্রাস্ত হইয় গুইয়াছেন, এখন বক্‌বক্‌ করিয়া তাহাকে জাগাইয়া রাখা ঠিক নয়। খানিক বাদে এ-পাশ e-পাশ করিতে করিতে মৃণালও ঘুমাইয়া পড়িল । ভোরের দিকে কেমন একটু শীত শীত করিতে লাগিল । চিনি গড়াইতে গড়াইতে মৃণালের কোলের কাছে আসিয়া তাহার আঁচল ধরিয়া টানাটানি করিতে লাগিল, সে গায়ে দিতে চায়। মৃণালের ঘুম ভাঙিয়া গেল, মাথার কাছে একখানা নক্সাকাটা কথা ছিল, তাহাই টানিয়া জানিয়া সে বেশ করিয়া চিনির গায়ে জড়াইয়া দিল । চিনি আবার নিশ্চিন্তমনে ঘুমষ্টিতে লাগিল। যুণালের বালিশের তলায় একটা ইলেক্‌টিক টর্চ থাকিত, সেটা বাহির করিয়া পাশের টেবিলের উপর আলো ফেলিয়া দেখিল, পাচটা বাজিয়৷ গিয়াছে। ভোর হইতে আর দেরি নাই। উঠিয়া পড়িবে কিনা ভাবিতে লাগিল, এখন আবার ঘুমাইতে কুরু করিয়৷ লাভ নাই। কিন্তু শীতের রাত, লেপের মায়া সহজে প্রবাসী ১৩৪৪ ছাড়িতে ইচ্ছা করে না। শুধু শুধু অন্ধকার ঘরে জাগিয়া থাকিতেও ইচ্ছা করে না । কিন্তু ইহারই মধ্যে সমীমারও ঘুম ভাঙিয়া গিয়াছে ! তিনি ভাকিয়া জিজ্ঞাস করিলেন, “মিঠু উঠেছিস নাকি ?” মৃণাল বলিল, “উঠি নি, তবে জেগে আছি। যা শীত, আরও আধ ঘণ্ট। পানেক পরে উঠব। সবে এখন পাচটা ।” মামীম বলিলেন, “আচ্ছ তুই শো, আমি উঠি । দেখতে দেখতে সুধ্যি উঠে যাবে, তোকে সকাল সকাল দুটো রোধে দিতে হবে ত ? না খেয়ে ত আর যাওয়া হয় না 7 রাধী ছুড়িকে ভোরে আসতে বলেছিলাম আজ, এলে এখন বাচি ।” - মামীম বিছানা ছাড়িয়া নামিয়া পড়িলেন । মৃণালও বিছানায় উঠিয়া বসিয়া বলিল, “আমিও উঠলাম মামীম, আমার আর গুতে ভাল লাগছে না ।” বাহিরে তখনও আকাশের গায়ে তারা ফুটিয়া আছে । মামাবাবুরঙ ঘুম ভাণ্ডিয়াছে, তিনিও উঠিবার যোগাড় করিতেছেন । র্তাহার স্ত্রী উfহার সাড়া পাইয়া বলিলেন, “ধষ্ঠি সহি বাপু তোমার। এই দারুণ শীত, হাত প যেন পেটের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে, কেমন ক'রে এই খোলী বারাণায় গুয়ে থাক তাই ভাবি ।” মল্পিক-মহাশয় বিছানায় বসিয়া অন্ধকারে পা বাড়াইয় চটি জুতা খুজিতেছিলেন, তিনি বলিলেন, “শীতে আমার কিছু এসে যায় না, কিন্তু আকাশ দেখতে না পেলে আমি বঁচি না। বর্ষার দিন ক’টা আমার ধে কি কষ্টে কাটে তা অরি ব'লে কাজ নেই ।” মৃণাল বলিয়া উঠিল, “দিজিমাও এমনি ছিলেন, ন মামাবাবু ? তিনি ত ঘরে গুতেই পারতেন না ? বৃষ্টির সময়ও না ।” মল্লিক-মহাশয় চটি পরিস্থ উঠিয়া দাড়াইলেন, বলিলেন, “মায়ের জন্তে ত সব সময় একটা জানালার দু-একটা গরাষ্টে কাটা থাকত, ধরে গুলেও মাথাটা সেই ফাক দিয়ে বার ক’রে রাখতেন । তিনি মারা যাবার পর তোর মামীম জাবার সে জায়গাগুলো শিক বলিয়ে বদ্ধ ক'রে জিয়েছেন।" মামীম বলিলেন, “যা বেয়াল জার ভামের উৎপাত, दक न क'tद्ध कग्नि कि ? छिनि फिनि७ ॐाडूब्रभांद्र पाँट