পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W ভাদ্র | সাদ, মহাগুরুর উদ্যান-গৃহ : এবং অন্ত অনেক টালিকা আদি অাছে, স্বতরাং পৈিক্রম প্রায় পাচ মাইল :খর । দেখিলাম, কেহ কেহ { এক নেপালী সওদাগরও ল) দগুবৎ হইয়া পরিক্রম করিতেছে। পরিক্রম শেষ গলে র-মো-ছে-কে মন্দির দেখিতে গেলাম । ইহা i-থঙ মন্দিরের সমসাময়িক সাধারণত তিব্বতে দেবওঁ মূৰ্ত্তিকার উপর কঠিন প্রলেপ ( প্লাষ্টার ) দিয়া করা হয়। থানে কিছু প্রস্তরের কাজও দেখিলাম। আরও দেখিলাম স্বমূৰ্ত্তকে মুকুটে ভূষিত করা হইয়াছে। শুনিলাম মহান ংস্কারক চোণ্ড-থ-প। এই প্রথার প্রবর্তন করেন । Iথ চেঙি-থ-পা ভুলক্রমে প্রচলিত করেন। কারণ বুদ্ধদেব চক্ষু, তাই তিনি স্বয়ং ভিক্ষুদের ভূষণাদি ধারণ নিষেধ করিয়া গয়াছেন । তবে এই প্রথ। ভারত-নেপালে ৪ বছ শতাবী rবং চলিয়া আসিতেছে । ১৪ই মার্চ প্রাতে নগর-পরিক্রমার পথে বিশেষ মায়োজন চলিতেছে দেখিলাম । পথের পাশে কাঠের স্তম্ভ সাহয় তাহার উপর আড়ভাবে তক্ত লাগানো হইতেছে । রোদিন স্তম্ভগুলি পদ্ধায় ঢাকা থাকায় সেখানে কি হইতেছে iান গেল না । স্থধ্যাস্তের অল্প পূৰ্ব্বে পদাগুলি সরাইলে দfখলাম প্রত্যেকটি স্তস্তুের উপর সুন্দর দ্বিতল মন্দির-বিমান তয়ারী হইয়াছে এবং সেগুলির গবাক্ষ ও অলিন্দে থিনের তৈরি স্বন্দর স্বন্দর দেবমূৰ্ত্তি বসাইয়া দেওয়া ইয়াছে । সমস্ত পরিক্রম-পথ এইরূপে স্বসiঞ্জত হইয়াছিল । বাধ হয় ললিতকলাকে ভূমিসাং করার মত ঈশ্বরভক্তি ভারতে প্রবল হইবার পূৰ্ব্বে সেই পুণ্যভূমিতেও ভোটদেশের ঠায় সাৰ্ব্বজনীন কলামুরাগ ছিল । এখন তিব্বতের তুলনায় ’উরোপ প্রভূতি পাশ্চাত্য দেশেও ললিতকলার আসন এত উচ্চ নহে, ভারতের কথায় কাজ কি ? বস্তুত এদেশে কলাশিল্প অতি সুব্যবস্থিত। একটি পত্তলমূৰ্ত্তি-নিৰ্ম্মাণে তিন জন দক্ষ কারিগরের কলাকৌশলের প্রয়োজন—প্রথম ব্যক্তি ছাচ প্রস্তুত করে, দ্বিতীয়টি ঢালাই "রে এবং শেষ ব্যক্তি মূৰ্ত্তি খোদাই পালিশ ইত্যাদি করে। ১৫ই মার্চ, আসল নববর্ষের দিনে লাসার লোকে পরম্পরের মঙ্গলকামনায়ু মজলীতি গাহিয়া ও উপহার পাঠাইয়া উৎসব করিতেছিল। তবে দ্বিপ্রহরের পরে পান ও গান বস্তুত এই নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর ԳՋտ দুইয়েরই মাত্র সীমা ছাড়াইয়া গেল। আজ আমার সত্তর বৎসরের বৃদ্ধ অধু ( খুড়া ) মহাশয়ও কিশোরের স্থায় কিশোর-কিশোরীদিগের মধ্যে মহা উল্লাসে নৃত্য করিয়া দিন কাটাইলেন। এক দিকে হাতধরাধরি করিয়া সারিবন্দী ছয়-সাতটি স্ত্রীলোক এবং তাহাদের সম্মুখে ঐরুপ এক সারি পুরুষ, সারির উভয় প্রান্তে স্ত্রী ও পুরুষ আবার হাত ধরিয়া দুষ্ট সারি যুক্ত করিয়া দুইটি চন্দ্রাকার অৰ্দ্ধবৃত্ত রচনা করিয়া গানের তালে তালে নাচিতে থাকে। মৃত্যকলা দেখা সমাপ্ত হইল, এইবার চিত্রকলার পাল । ঐতিহাসিক ব্যক্তি ৪ সিদ্ধপুরুষের কয়েকখানি চিত্র আমার প্রয়োজন ছিল । এক জন তরুণ রাজ-চিত্রকর নিকটেই আছে জানিতে পারিয়া তাহার নিকট চলিলাম। দেখিলাম, তাহার হাত ভাল এবং সেই কারণেই সে মাত্র বাইশ-ভেইশ বৎসর বয়সে পাচ জল রাজ-চিত্রকরের মধ্যে স্থান পাইয়াছে। শহরে আরও অনেক চিত্রকর আছে, ট্যাক্সের বদলে তাহাদের এই রাঞ্জ-চিত্রকরগণকে কাগজ কাপড় বং ইত্যাদি চিত্রণের সরঞ্জাম জোগাইতে হয় । পাচ জন রাজ-চিত্রকরের মধ্যে দুই জন বয়োজ্যেষ্ঠ বুদ্ধ কেবল তত্ত্বাবধান করে । অন্তদের তিন বৎসর অস্থর চব্বিশটি চিত্র মহাগুরুকে দিতে হয় । ইহার জন্য তাহদেব জায়গীর নিদিষ্ট আছে যাহাতে ভরণপোষণের ভাবন না থাকে । ভিক্ষু-fচত্রকরদিগের জন্য এরূপ ব্যবস্থা বা নিদিষ্ট কার্যা কিছুই নাই। তরুণ চিত্রকর কুশলী কিন্তু ভোট দেশের চিত্রকলার কঠিন বিধিবিধানে তাহার প্রতিভা জড়তাপ্রাপ্ত হইয়াছে । ২৩শে মার্চ সপ্তদশ শতাব্দীর সৈনিকদের মিছিল বাহির হইল । প্রথমে সাজোয়া পোষাক পরিহিত ধতুৰ্ব্বাণ ও তৃণীর যুক্ত, টুপিতে পালক, ঘোড়সওয়ারের দল চলিল, পরে বিচিত্র পোষাকে পলিতাযুক্ত-গাদী-বন্দুক-সজ্জিত পদাতিকশ্রেণী ৷ রাস্ত দেশী বারুদের গদ্ধে ও গাঙ্গা-বন্দুকের শবে আমোদিত ও মুখরিত হইয়া গেল। এই সকল ধতুৰ্দ্ধারী ও থড়গধারীর পিছনে প্রাচীন রাজবেশে সজ্জিত কয়েক জন লোককে দেখা গেল। কথিত আছে ভোট দেশের সকলে সামন্তরাজকে হারাইয়া দিবার পরে ১৬৪১ খ্ৰীষ্টাব্দের এই তারিখে মোঙ্গল-বিজেতা শু-শী থা পঞ্চম দলহিলfমাকে তিববত রাজ্য প্রদান করেন ।