পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্স ৰিবিন্ধ প্রসজ্ঞ স্ত্র ভারতে “প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বে” ব্রিটেনের সুবিধা ১৯৩৫ খ্ৰীষ্টাব্দের যে ভারতশাসন আইন হষ্টয়াছে তাহার খসড়া প্রস্তুত করিবার নিমিত্ত কয়েক বৎসর ধরিয়া ভারতবর্ষে ও ব্রিটেনে নানা আয়োজন হইয়াছিল। ভারতবর্ষে সাইমন কমিশন ও তাঙ্গার সহায়ক একাধিক কৰ্মীটি বসিয়াছিল। ব্রিটেনে তথাকথিত ভারতসম্বন্ধীয় গোলটেবিল কনফারেন্স বসিয়াছিল । ব্রিটিশ পালেমেণ্টের হাউস অব কমন্স এবং হাউস অব লর্ডসের একটি বাছাই-করা সম্মিলিত কমাটিরও বহু অধিবেশন হইয়াছিল । ফ্ৰয়েণ্ট সিলেক্ট পালেমেণ্টারী কর্মীটি যে রিপোর্ট প্রকাশ ১. এন, তাহাতে নিদিষ্ট পলিসি অর্থাৎ নীতি অনুসারেই ১৯৩৫ খ্ৰীষ্টাব্দের ভারতশাসন আইন প্রধানতঃ প্রণীত হয় । এই রিপোটের এক স্থানে আছে, যে, ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের প্রধান কীৰ্ত্তি ও কৃতিত্ব ভারতের একত্ব সম্পাদন, অর্থাৎ কিনা, ইংরেজরা ভারতবর্ষের প্রভু হুইবার আগে ভারতবর্ষ কেবল একটা ভৌগোলিক নাম মাত্র ছিল ; অনেকগুলা আলাদা আলাদা দেশের সমষ্টির নাম ছিল ভারতবর্ষ, কিন্তু তাতাদের মধ্যে কোন একত্ব ছিল ন}, ইংরেজরা প্রভু হঠয়া তবে সেগুলাকে এক রাষ্ট্রে পরিণত করায় তবে সেগুলার সমষ্টিগত ভারতবর্ষ নাম সার্থক হইয়াছে । এখানে এ বিষয়ে কোন তর্কের উত্থাপন করিব না। এইরূপ কথা বলিবার পর অন্য একটি প্যারাগ্রাফে কমটি বলিয়াছেন, যে, তাহারা ভারতবর্ষের এই ব্রিটিশসম্পাদিত একত্বকে কমাইতে, বলিতে গেলে নষ্ট করিতে যাইতেছেন।৯ কি প্রকারে ও কেন এরূপ করিতে ধাইতেছেন ? ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশগুলিকে আত্মকর্তৃত্ব দিয়া এই

  • Joint Committee Report on Indian Constilutional Reform, Vol. I, Pt. 1, p. 14.

به لا یحیت- سنجb ইহা করা হইতেছে, এবং তাহ করা হইতেছে এই জগু, যে, যাহাতে প্রদেশগুলি স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পথে বিকাশ লাভ করিতে পারে । প্রদেশগুলি যদি বাস্তবিক আত্মকর্তৃত্ব লাভ করিত, যদি তাঁহাদের ব্যবস্থাপক সভাগুলিতে নিৰ্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রাদেশিক আয়ব্যয় ও আইন-প্রণয়ন সম্বন্ধে চুড়ান্ত ক্ষমতা থাকিত, তাহা হইলে প্রদেশগুলিকে আত্মকর্তৃত্বদানের উদ্দেন্ত যাহাই হউক, তদ্রুপ আত্মকর্তৃত্ব অনেকটা মূল্যবান হইত। কিন্তু যে-কেহ ১৯৩৫ সালের ভারতশাসন আইন পড়িয়াছেন তিনিই জানেন, কোন বিষয়েই প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাগুলির চুড়াস্ত ক্ষমতা নাই । প্রাদেশিক গবর্ণরের, তাহার উপর সমগ্র ভারতের গবর্ণরজেনার্যালের এবং তাহার উপর ভারতসচিবের মরজির উপর প্রাদেশিক মন্ত্রীদিগের ও ব্যবস্থাপক সভার কার্য্যকারিত নির্ভর করে ; প্রথমতঃ, গবর্ণর সম্মতি দিলে বা বাধা নাদিলে, এবং তাহার পর গবর্ণর-জেনার্যাল ও ভারতসচিব বাধা না দিলে, মন্ত্রীরা কিছু করিতে পারেন, ব্যবস্থাপক সভাও কিছু করিতে পারেন। ভারতশাসন আইন দ্বারা যে ভারতবর্ধকে খুব স্বশাসন-অধিকার দেওয়া হইয়াছে, ইহা প্রমাণ করিবার নিমিত্ত প্রথম প্রথম কর্তৃপক্ষ বাধা না-দিতে পারেন। কিন্তু যে-ক্ষমতা, যে-অধিকার অপরের মরজিসাপেক্ষ, অপরের অনুগ্রহের উপর নির্ভর করে, তাহাকে স্বশাসন-ক্ষমতা বা স্বশাসন-অধিকার বলা যায় না। যাহা হউক, ব্রিটিশ পালেমেন্টের জমেন্ট সিলেক্ট কর্মীটির এই রিপোর্ট অনুসারে যে প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্ব গবর্ণরশাসিত প্রদেশগুলিকে দেওয়া হইয়াছে, তাহা প্রকৃত আত্মকত্ত্বত্ব বিবেচিত হইবার যোগ্য হইলেণ্ড তাহার দ্বারা ষে ব্রিটিশ ভারতের একত্ব নষ্ট হইয়াছে বা বক পরিমাণে হ্রাস পাইয়াছে, তাহা অস্বীকার করিবার জো নাই । সবে ত প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বের যুগ আরম্ভ হইয়াছে। এখনই দেখুন, এক এক প্রদেশের রাষ্ট্রীয় বা সরকারী কাজ এক এক